বেতন বৃদ্ধি ও বকেয়া ডিএ এর দাবী চরমে।
2016 সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বকেয়া ডিএ নিয়ে মামলা চলছে। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অফিস ছেড়ে আদালতে ছুটছেন কর্মীরা। সেখান থেকে অর্ডার পেয়েও মিলছেনা পাওনা টাকা। রাস্তায় অবরোধ করে জুটছে পুলিশি ঘুসি। কিকরে পাবে ডিএ? আর আদালতই কিভাবে ডিএ আদায় করবে? তাঁরাই তো ঠিক মতো বেতন পাচ্ছে না? এর চেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে। বক্তব্য, ৩০ বছর চাকরী করার পর ভলেন্টিয়ারি অবসর নেওয়া মহাকরনের এক অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ রাজ্য সরকারি কর্মীর।
বিচারের আশায় মানুষ ছোটেন আদালতে, এবার সেই আদালতই পাচ্ছে না বিচার। Dearness Allowance এর দাবি নিয়ে সরকারি কর্মচারীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কর্মচারীদের ডিএ দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে আদালত থেকে কর্মচারীদের DA দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই আদালতের কর্মীরাই পাচ্ছেন না DA, এরকমই অভিযোগ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের কর্মচারীদের ৬টি সংগঠনের মধ্যে ৫টি সংগঠন।
শুধু অভিযোগ নয়, কলকাতা হাইকোর্টের ৫ সংগঠনের প্রায় ৩০০ জন স্থায়ী কর্মচারী বেতন বৃদ্ধির দাবিতে, কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আর এই বিক্ষোভের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। থমকে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচার প্রক্রিয়া। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজারের বেশি মামলা শুনানির জন্য তালিকা নথিভুক্ত করা থাকে কলকাতা হাইকোর্টে। বিবাহবিচ্ছেদ, জমি সংক্রান্ত মামলা, পারিবারিক বিবাদ সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানির মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে 7% ডিএ নিয়ে নয়া খবর, আনন্দে আত্মহারা সরকারি কর্মীরা।
শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের কর্মচারীদের অবস্থান বিক্ষোভের জন্য মুলতবি হয়ে গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলা। বেশ কয়েকটি আগাম জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানিও স্থগিত হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পুলিশি সংক্রান্ত মামলা, পুরসভার সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।
2023 সালেই সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন 3 টি বড়োসড় সুখবর, বকেয়া ডিএ নিয়ে কি জানানো হয়েছে?
সম্প্রতি কলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে পড়ুয়ারা আন্দোলন বিক্ষোভ করেন। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল এদিন। সেই মামলাও বিক্ষোভের জেরে পিছিয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের কর্মচারীদের অবস্থান বিক্ষোভের জন্য বহু আইনজীবী এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। এর ফলে এই সমস্ত মামলার আবার নতুন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতের কর্মচারীরা যে সমস্ত কাজ করেন তার মধ্যে রয়েছে, কম্পিউটারে মামলার রেকর্ড লিপিবদ্ধ করা, বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র গচ্ছিত রাখা, মামলার পরবর্তী শুনানি এবং সেই সংক্রান্ত নির্দেশগুলি নথিভুক্ত করা, বিভিন্ন মামলার তালিকা অনুযায়ী ডাক দেওয়া, এজলাসে বিচারপতি এলে মামলার ফাইল কোথায় রয়েছে, একমাত্র আদালতের কর্মচারীরাই সেগুলি ঠিক করেন।
আদালতের কর্মচারীদের দাবি, রাজ্য সরকার তাদের মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে না। নতুন পে কমিশন অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি বা সঠিক বেতন তারা বেতন পাচ্ছেন না। অন্যান্য কর্মচারীরা পে কমিশন অনুযায়ী ১ বছরের বকেয়া বেতন সহ সুবিধা পেলেও আদালতের কর্মচারীদের ওই বকেয়া দেওয়া হয়নি। এই সমস্ত দাবিতেই তারা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
ব্যাংকের Fixed Deposit এর নিয়মে বিশাল পরিবর্তন, জনগনের মাথায় হাত, এবার শুধু লসই লস।
আর আদালতের কর্মচারীদের অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে বিচারপতিদের অনেকেই এজলাসে বসেননি। প্রধান বিচারপতি সহ কয়েকজন বেঞ্চে বসলেও মামলার শুনানি মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচার ব্যবস্থা কার্যত থমকে গিয়েছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সাধারন সরকারি কর্মী থেকে, শিক্ষক, পুরকরমী থেকে পুলিশ, বিদ্যুৎ কর্মী থেকে দমকল, সবাই বেতন বৃদ্ধি সঙ্ক্রান্ত বঞ্চনার স্বীকার। কিন্তু সেই ভাবনা রাজ্যের নেই। অথচ তাঁরাই রাজ্যের সমস্ত কাজ সামলান। কবে তাদের দিকে মুখ তুলে তাকাবে সরকার, এখন সেটাই দেখার।
Written by Rajib Ghosh.
MLA & minister of the west bengal bidhan sova are salary so high…. other than West Bengal govt employees salary????????? what are the doing chief minister????
খেলা, মেলা আর শ্রীতে একবার টাকা দিলে বার বার তার সুফল (ভোট) পাওয়া যাবে। কিন্তু ডি এ দিলে কিছুই পাওয়া যাবে না, কারণ এটা “ন্যয্য অধিকার”। তাই চপ শিল্পী সরকারের ডি এ দেবার একেবারেই ইচ্ছা নেই। প্রসঙ্গতঃ, চপ শিল্পেও কিন্তু ডি এ হয় না।
আপনাদের আন্দোলনের সাফল্য কামনা করছি। দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করুন।রাজ্য অচল করে দিন।