প্রায় ৮ মাসের ওপর রাজ্যে Bangla Awas Yojana বা বাংলা আবাস যোজনার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আবাস যোজনার নাম বদলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নাম দিয়েই এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল।
রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের মোদি সরকার রাজ্যের জন্য Bangla Awas Yojana বা বাংলা আবাস যোজনার টাকা পাঠানো বন্ধ করে রেখে দিয়েছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবাস যোজনা প্রকল্পে ৮২০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ফলে রাজ্যে যে আবাস যোজনায় গরীব মানুষের পাকা বাড়ির কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল, সেই কাজগুলি আবার চালু হতে পারে।
প্রায় এক বছর সময়কালের মধ্যে গরিব মানুষের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণের এই প্রকল্পে মোট ১৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে বরাদ্দ করতে হবে। আবাস যোজনার এই প্রকল্পে মোট টাকার ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, আর বাকি ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। তাই হিসাব অনুযায়ী, ৮২০০ কোটি টাকা কেন্দ্র দেওয়ার পরেও প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার উপরে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর এখানেই এই বিষয়ে চর্চা হতেই পারে।
রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ টাকা দেওয়ার পরেও সেখানে কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কোনো নামকরণ কিম্বা Bangla Awas Yojana করা যাবে না। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নামেই এই প্রকল্প চলবে। এই প্রশ্ন বিভিন্ন মহল থেকে উঠতে শুরু করেছে। তার কারণ, আবাস যোজনা প্রকল্পের সম্পূর্ণ ১০০% টাকা কেন্দ্র দেয় না। আর বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার ৮২০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে, এবার রাজ্যে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি শুরু হবে।
এই টাকা শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের নয়, রাজ্য থেকে যে সমস্ত কর বাবদ টাকা পাওয়া যায়, তার একটি অংশ নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যকে ফেরত দিতে হয়। ফলে একেই সম্পূর্ণ ১০০% টাকা কেন্দ্রের নয়, তার উপরে দীর্ঘ সময় ধরে Bangla Awas Yojana বা বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে ওই ৬০ শতাংশ টাকা না পাঠানোর জন্য প্রকল্পের কাজ পশ্চিমবঙ্গে প্রায় থমকে গিয়েছিল। এবার সেই কাজ শুরু হতে চলেছে।
Bangla Awas Yojana এর টাকা কবে পাবেন?
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গ্রামসভার মাধ্যমে আবাস যোজনার সমস্ত তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে। ফলে সেই প্রক্রিয়া প্রশাসনিকভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে।
বনগার ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বাসিন্দা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করার জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আর পাননি। ফলে তার বাড়ির কাজ থমকে গিয়েছে। হীরালাল দেবনাথ নামে এক বাসিন্দা দ্বিতীয় কিস্তির ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে আর তৃতীয় কিস্তির ১০ হাজার টাকা পাননি। ফলে তার বাড়ির কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি চৌবেরিয়া ২ পঞ্চায়েতের দমদমা এলাকায় বিপিএল তালিকাভূক্ত গরিব মানুষেরা এখনো পর্যন্ত পাকা বাড়ি নির্মাণ করতে পারেননি। দীর্ঘদিন ধরে Bangla Awas Yojana নাম দেওয়ায় কেন্দ্র আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ রাখায় রাজ্যে যারা পাকা বাড়ির জন্য প্রথম কিস্তি বা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন তারা পরবর্তী কিস্তির টাকা আর পাননি। ফলে গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির সেই স্বপ্ন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস ধরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ ছিল। ফলে সমস্ত কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার কেন্দ্র তাদের বরাদ্দ ৬০ শতাংশ টাকা পাঠানো হয়। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার প্রস্তুত। ফলে আবাস যোজনা প্রকল্পে (Bangla Awas Yojana) যে সমস্ত পাকা বাড়ি নির্মাণ হওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত ছিল, সব কাজ এক্ষুনি শুরু হয়ে যাবে।
বনগাঁ ব্লকের গঙ্গানন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রধান জানান, আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় তৃতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরকম উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। এবার সেই টাকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানান, ৩৩৮০ জন প্রাপকের নাম তালিকাভুক্ত করা রয়েছে। তাদের পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানান, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রাপকের নাম তালিকাভুক্ত করা রয়েছে। আবাস যোজনা প্রকল্পে শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ডিসেম্বর মাসের রাশিফল। মেষ-মীন রাশির জাতক-জাতিকারা মাসের এই দিনগুলি সাবধান থাকুন।
বিভিন্ন সময়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, আবাস যোজনা প্রকল্পে কাটমানি দিতে হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, Bangla Awas Yojana বা আবাস যোজনা প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে হয়। সুতরাং কাউকেই টাকা দেওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই। এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্র টাকা পাঠিয়েছে। কাজ শুরু হচ্ছে। তবে কাটমানি কেউ চাইলে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হবে। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
বনগাঁ জেলার তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানান, আগেও আবাস যোজনার বাড়ি গরিব মানুষেরা পেয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গেই এই কাজ পরিচালিত হয়। এবারও তারা সেই ভাবেই আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি সহ বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ তুলে Bangla Awas Yojana নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, Bangla Awas Yojana প্রকল্পে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।
রান্নার গ্যাস চুরি ও সিলিন্ডারে কম দেওয়া চলবে না, কড়া ব্যবস্থা নিলো সরকার।
প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় কিস্তিতে ১০০০০ টাকা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ৮২০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। বাকি প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার বরাদ্দ করবে। আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ টাকা, বাকি ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। খুব শীঘ্রই Bangla Awas Yojana প্রকল্পের কাজ রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে।
Written by Rajib Ghosh.
Sir I’m poor man. I live in chhat baromasiya.p o Shilduar.p s Sitai. District Cooch Behar. West Bengal pin no 736167.Amer Ekiti pakabarir jurori
Sir Amer BPL Card no 001298614.Amer Shram card a/c no 711425121627 (UAN) Adher no 240662448183. Mobile no 8448073144
BPL Crad no PHH 0012928614
Sir Amer BpL Card no 0025815270 Amer sharm Card a/c no 2601000100111966 ,Adher no 691435822159 ,Mobile no 7418484700 , BpL Card no PHH 0025815270
আমার নাম-Shrimanta Jana. আমার রেশন কার্ড RKSY-1. আমি কি? বাড়ি পাবোনা