টেট জালিয়াতি করে স্কুলে চাকরি, মোট 8163 জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ, চাকরী নিয়ে টানাটানি।

টেট জালিয়াতি করা শিক্ষকদের মহা বিপদ।

সিবিআই তদন্তে টেট জালিয়াতির অভিযোগে হাজার হাজার ভুয়ো শিক্ষকের (WB TET Scam) নাম উঠে এলো। ক্ষুব্ধ বিচারপতি। অভিযোগ প্রমানিত হলে চাকরি তো যাবেই, তার সাথে এতদিনের প্রাপ্ত বেতন সব ফেরত দিতে হবে।

Advertisement

আবারও সিবিআই (CBI) তদন্তে সামনে এলো টেট জালিয়াতি ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত চূড়ান্ত দুর্নীতির খবর। এই খবরে একাধারে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ, পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেও প্রাথমিক ও হাইস্কুলের নবম-দশম-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষকতা করছে রাজ্যের প্রায় দশ হাজার শিক্ষক!

Advertisement

স্কুলে টেট জালিয়াতি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় একে একে প্রায় দশ হাজার ব্যক্তির নাম সামনে এলো সিবিআই তদন্তে। ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার এবং ওএমআর শিটের জালিয়াতির তালিকা (টেট জালিয়াতি) সিবিআই তরফে আদালতে পেশ করা হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ৮১৬৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের নাম সামনে এসেছে।

শিশুরাই হলো দেশের ভবিষ্যৎ। নবম – দশম – দ্বাদশ – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ডাহা ফেল করা শিক্ষকদের পড়ানোর ঘটনায় শুদ্ধ বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা পরীক্ষায় প্রায় সাদা সাদা জমা দিয়েই ৮১৬৩ জন ভুয়ো শিক্ষক শিক্ষকতা করছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে। কেউ কেউ আবার মাত্র পাঁচ কিংবা ছটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চাকরির নিয়োগ পত্র পেয়ে গেছেন।

সরকারি প্রকল্প এর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর উপহার পৌছাল। তবে সবার জন্য নয়। কারা পাবে, জানুন।

সিবিআই তদন্তে সামনে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে দুর্নীতির ফলে টেট জালিয়াতিতে নিযুক্ত হয়েছেন ৯৫২ জন ভুয়ো শিক্ষক ও শিক্ষিকা। একইভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে নিযুক্ত হয়েছে ৯০৭ জন ভুয়ো শিক্ষক ও শিক্ষিকা। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পর্যায় নিযুক্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৩৮৮১ জন এবং ২৮২৩ জন।

Advertisement

সিবিআই রিপোর্ট পড়ার পরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেশের ভবিষ্যৎকে নিয়ে এমন দুর্নীতিযুক্ত কার্যকলাপ তিনি বরদাস্ত করতে পারেননি। তার ভাষায়, ” বেআইনি পদ্ধতিতে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আগামীদিনে আদালত কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।”

ডিসেম্বরেই প্রাইমারী টেট পরীক্ষা, জেনে নিন নতুন সিলেবাস ও প্রশ্নের ধরণ।

হাইকোর্টের এই নির্দেশ স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন বা বক্তব্য থেকে থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
Written by Rajeswari Sur.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment