Advertisement
TET 2014 Update
Advertisement

TET 2014 Update – চাকরি সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দেননি বহু শিক্ষক, জয়েনিং রিপোর্ট নেই, পদচ‍্যুত চেয়ারম্যান।

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (TET 2014 Update) অভিযোগে CBI তদন্ত চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টিকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণাতে শুরু করেছে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রথম ধাপে 269 জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এরপর এই শিক্ষক পদে বাতিলের সংখ্যা বহুগুণ বাড়তে পারে। 2014 সালের পর যারা প্রাথমিক শিক্ষকের (TET 2014 Update) চাকরি পেয়েছেন, তাদের সকলকেই চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের পর্ষদ সচিবের তরফে গত 20 জুন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে বলা হয়, যারা 2014 সালের TET উত্তীর্ণ, প্রাথমিকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকের আসল নথিপত্র চেয়ে পাঠাতে হবে। সমস্ত জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের মতোই কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকেও (TET 2014 Update) এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

এর পরই দেখা গেল, কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী হিতেন বর্মনকে সরিয়ে দেওয়া (TET 2014 Update) হয়েছে। তার জায়গায় আপাতত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) দায়িত্ব সামলাবেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তদন্তের মধ্যেই কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

সদ‍্য চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রাক্তন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেছিলেন, আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছিল। জেলার সমস্ত এসআইকে মেইল করে দ্রুত কাগজপত্র পাঠাতে বলেছি। যারা সেই সময়ে দায়িত্বে ছিলেন তারা সমস্ত কাগজপত্র ভেরিফাই করে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন। তবে আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য (TET 2014 Update) নেই।

EK24 News

প্রাক্তন মন্ত্রী হিতেন বর্মন আরো বলেন, 2014 সালের TET পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই নিয়োগপত্র পেয়েছেন। তাদের সব নথি ফাইলে নেই। TET কোয়ালিফায়েডদের সবাই অ্যাডমিট কার্ড এবং তাদের যোগ্যতা সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র জমা দেননি। এমনকি জয়েনিং রিপোর্ট নেই।

Advertisement

তিনি আরও জানান, জেলা দপ্তরে 2014 সালে কতজন TET উত্তীর্ণ প্রার্থী (TET 2014 Update) জেলায় নিয়োগ পেয়েছেন, সেই হিসাব নেই। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, টেট পাশ করার সার্টিফিকেট নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় দেখাটা বাধ্যতামূলক ছিল না। শুধুমাত্র মার্কশীট, অ্যাডমিট কার্ড নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য ভেরিফাই করা হয়েছিল। যদিও সমস্ত পাশ করা পরীক্ষার্থীদের টেট পাশ সার্টিফিকেট দেয়নি পর্ষদ।

দেশজুড়ে রেশন কার্ড নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, বদলে গেল সমস্ত নিয়ম।

তারপর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। যিনি চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন, তার এই বক্তব্যের পরেই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ওঠে। প্রাক্তন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে এই কারণ ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তার কারণ, সেই সময় যিনি চেয়ারম্যান পদে ছিলেন, অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার সময় নিয়ম মেনে কেন কাজ করেননি?

এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আদালতের নির্দেশে 269 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে 32 জন এই জেলার রয়েছেন। আর এবার সংখ্যাটা বাড়তে পারে, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ব্যাপারে আপনার কি মতামত, নিচে কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন।
Written by Rajib Ghosh.

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে আবার বন্ধ হতে পারে স্কুল, আজ জানিয়ে দিলো শিক্ষা দপ্তর।

Advertisement
Advertisement
9 thoughts on “TET 2014 Update – বহু প্রাথমিক শিক্ষক সব ডকুমেন্ট দিতে পারলেন না, চাকরী খোয়ানোর সম্ভাবনা বাড়লো, Breaking News.”
  1. শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক করতে হলে। এটা করা অত্যন্ত জরুরী। আমার মনে হয় ৮০% টিচার্স টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার 11 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে যতজন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছেন তা সবই টাকারই কামাল।🤣🤣🤣🤣

    1. পুর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৪নং ওয়ার্ড এ আমি থাকি দয়া করে আমাকে আপনাদের এই চাকরিতে নিয়োগ করুন।🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻😭😭😭😭

  2. এইবার সময় এসেছে – যাদের চাকরি গিয়েছে তাদের উচিত যাকে টাকা দিয়েছে তার নাম প্রকাশ্যে আনা।

  3. Advertisement
  4. নচিকেতার গানটি মনে পড়ে যায় । শুধু বলে বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র এর দেশ আর মূর্খরা তাকে নিয়ে রাজনীতি করছে ছোটো ছেলেরা এখন বলে পড়ে কী হবে টাকা ছাড়া চাকরি হয় না তাই আমাদের পাড়ায় একজনও আর পড়াশোনা করে না বাইরে চলে গেছে আমি অভাগা না পারছি বাইরে যেতে আর না পারছি মন দিয়ে পড়তে

  5. তৎক্ষণাৎ এই সমস্ত গরু ও ছাগলদের যাদের Tet পাশ certificate নেই ঘাড় ধরে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া উচিত।

  6. Advertisement
  7. আমার মনে হয় A. C room এ বসে থাকা যে সমস্ত রাঘব বোয়ালরা রয়েছেন তাদের যাতে চাকরি টা চলে যায় কারণ টাকা না দিলে চাকরি হচ্ছিল না, ফলস্বরূপ বাধ্যতামূলক টাকা দিয়ে অনেকেই চাকরি নিয়েছে,, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনেক টাকার উপর বসে আছেন, এদের জন্য সব হয়ে যাবে,,, দুঃখের বিষয় হলো সবার আগে কলমের খোঁচায় তো উনাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড যাতে হয় সেই ব্যবস্থা করা উচিৎ,,,।

  8. পুর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৪নং ওয়ার্ড এ আমি থাকি দয়া করে আমাকে আপনাদের এই চাকরিতে নিয়োগ করুন।🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻😭😭😭😭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement