Advertisement
School Closed (স্কুল বন্ধ)
Advertisement

রাজ্যে আবার এক সরকারি স্কুল বন্ধের নোটিশ এলো। হুগলির হরিপাল থানার বাহিরখন্ড গ্রামে এক নিম্নবুনিয়াদি প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের অভাবে বন্ধের নোটিশ দিতে এসেছিলেন হুগলী জেলা স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকেরা। আর এতেই বিতর্কের মুখে শিক্ষা দতরের কর্মীরা। শুধু বিরোধিতাই নয়, স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হলো তাদের।

Advertisement

রাজ্যের একের পর এক সরকারি স্কুল বন্ধের নোটিশ বের করছে ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে। এতে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ অভিভাভবকরা। কিন্তু সরকারের সাফাই স্কুলে ছাত্র অনেক কম! স্কুলগুলি কাকে নিয়ে চলবে। শহর অঞ্চলে স্কুল বন্ধ হওয়ার হার অনেক বেশি যদিও। শিক্ষাবিদমহলের প্রশ্ন সরকারি স্কুল ছেড়ে বেসরকারি স্কুলে কেন যাচ্ছে ছাত্ররা।

Advertisement

কেন এই স্কুল বন্ধ হবে?

ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বলেন আরো ১ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ টি স্কুল আছে কেন এটিকেই স্কুল বন্ধ করার নোটিশ এলো। ১৯৯১ সাল থেকে এই স্কুলটি চলছে ক্লাস ফোর অবধি বাচ্চাদের নিয়ে। বর্তমানে একেবারে শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়তে চলেছে স্কুলটি। তিনজন শিক্ষক নিয়ে স্কুল তৈরি হয় তারপর দুজন শিক্ষক বদলি হয়ে যায়। ২০১৯ সাল থেকে একজন শিক্ষকই পড়াচ্ছে। কিন্তু তার অবসরের সময় চলে আসায় আর কোনো শিক্ষক থাকবেনা।

Advertisement

শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত, বহু ট্রেন বাতিল।

এপ্রিল থেকে পাকাপাকিভাবে স্কুল বন্ধের নোটিশ ‍দেবে বলে সরকারি স্কুল শিক্ষা দফতরের অফিসার আসেন। তখন গ্রামবাসীরা তাদের তালাবন্দি করে রাখেন এক ঘণ্টা, বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান মিতা ঘোষের স্বামী গৌতম ঘোষ যায়। কিন্তু, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, তাকেও আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। এদিকে তৃণমূল নেতাদের দাবি এখানে কোনো দুর্নীতির প্রশ্ন নেই। শিক্ষা দপ্তররের আধিকারিকরা ঠিক করেছে শিক্ষক নিয়োগের অভাবের জন্য স্কুল বন্ধ হতে চলেছে।

আরও পড়ুন, সকল পোস্ট অফিসের গ্রাহকদের জরুরী নির্দেশ, 31শে মার্চের মধ্যে এই কাজ না করলে একাউন্টের টাকা তোলা যাবে না।

রাজ্যের শিক্ষাব্যাবস্থাকে আকর্ষণীয় ভাবে ছাত্রদের কাছে পৌঁছে দিতে একের পর এক পথ নিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষক দুর্নীতি রাজ্যের কাছে বড়ো লজ্জার বিষয়। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে তড়িঘড়ি টেট পরীক্ষা করে আগের পাশ করা ক্যান্ডিডেটদের দিয়ে ইন্টারভিউ ও শুরু করে দিয়েছে। পর্ষদ ঘোষণা করেছে, এবার থেকে দুবার টেট হবে বছরে তাহলে আর শিক্ষকদের কোনো সমস্যা থাকবেনা। যোগ্য শিক্ষকের সংখ্যা স্কুলে বাড়লে আশা করাই যায় ছাত্ররা আসবে বেশি করে। তাই পর্ষদ এই ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাইছে।
সংবাদসুত্র TV9.

EK24 News
Advertisement
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement