রায় দিয়েই খালাস হাইকোর্ট, টাকা জোগাড় করবে কে,Dearness Allowance নিয়ে মন্তব্য সাংসদের। হাইকোর্ট তো রায় দিয়েই খালাস
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মীদের Dearness Allowance মামলা নিয়ে আদালত ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরও সরকার তা না দিয়ে বরং এই নির্দেশের ফের পুনঃবিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। আর আজ ডিএ নিয়ে সরকারের কি চিন্তাভাবনা, তা সর্বপ্রথম সামনে আনলো তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গে ডিএ (Dearness Allowance) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত, কিন্তু টাকা জোগাড় করার কোনো দায় নেই তাদের। সরকারের আর্থিক দিকটা তো দেখতে হবে। কর্মীদের প্রতি রাজ্য সরকার সহানুভূতিশীল। কর্মীদের দাবির দিকটা সরকার জানে। কিন্তু রাজ্যের আর্থিক বিষয়টা বিবেচনা করে দেখার প্রয়োজন। সেই কারণে হাইকোর্টে সরকারের পক্ষ থেকে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
প্রসঙ্গত 20 মে কলকাতা হাইকোর্ট Dearness Allowance মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে 3 মাসের মধ্যে কর্মচারীদের DA মিটিয়ে দেওয়ার জন্য জানিয়েছিল। তারপর থেকেই রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা শুরু হয়।
কোষাগারের যে পরিস্থিতি তাতে এক্ষুনি কর্মচারীদের সম্পূর্ণ Dearness Allowance মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব কিনা সেই বিষয়ে একাধিক আলোচনা হয়। সেখান থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে জানা যায়, তাতে রাজ্যের কোষাগারের বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে এক্ষুনি কর্মচারীদের সম্পূর্ণ DA দিয়ে দেওয়ার মত আর্থিক পরিস্থিতি নেই।
কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও একাধিকবার স্বীকার করা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের Dearness Allowance দিতে হলে মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কিভাবে কর্মচারীদের DA দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে তাই নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো রাস্তা বের হয়নি। ঠিক সেই কারণেই ফের রাজ্য সরকার ডিএ মামলায় হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে।
রিভিউ পিটিশন করেও, বকেয়া ডিএ মেটাতে কোন বিকল্প পন্থা বেছে নিলো সরকার?
বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি যে জায়গায় পৌঁছেছে, তার উপরে অধিকাংশ মানুষ কাজের জায়গায় সমস্যার সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতে অনেকের মতে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যথেষ্ট ভালই বেতন পেয়ে থাকেন। তার উপরে DA নিয়ে একাধিকবার তাদের আন্দোলন, সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্নচিহ্ন এনে দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, সরকার হয়তো ঠিক সময়ে কোষাগারের পরিস্থিতি একটু ঠিক হলে DA দিতে পারেন।
আবার অনেকের মতে, সরকারি কর্মচারীদের Dearness Allowance ন্যায্যপ্রাপ্য। সেটা সঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। সে যাই হোক না কেন, তবে বাস্তব পরিস্থিতি যথেষ্ট সমস্যাজনক। সাধারণ মানুষের কাছে জীবন যাপন করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ন্যূনতম বেতনে বহু মানুষকে বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করতে হচ্ছে।
বহু মানুষ ছোট ছোট ব্যবসার মাধ্যমে সংসার প্রতিপালনের চেষ্টা করছেন। অধিকাংশ মানুষই এই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। যদি বাজারের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভবত তাহলে একটু স্বস্তি পেতেন সাধারন মানুষ।
Written by Rajib Ghosh.
DA না দিলেও, স্বাধীনতা দিবসে পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।