কোলকাতা হাইকোর্টে বকেয়া ডিএ মামলায় (WB DA Case) রাজ্য সরকার হেরে যাওয়ার পর (Dearness Allowance), উচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নবান্ন। আর তার পর প্রথমে ত্রুটিপূর্ণ আবেদন করে, এবং আরও কিছুটা সময় পেয়ে ১৫ দিন পর আবার আবেদন করে, এবং সেই আবেদন গৃহীত হয়।
প্রথম দিনের শুনানিতে দুই পক্ষ কে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সুযোগ দিয়ে পরের দিনে হেয়ারিং ডেট ফেলা হয়। তারপর পর পর দুটি ডেট বিভিন্ন কারনে শুনানি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ এর মধ্যে কেটে যায় প্রায় ২ মাস। আর আজকের শুনানিতে আবার ত্রুটি ধরা পড়লো রাজ্য সরকারের। আর এরপরই সুপ্রীম কোর্ট আবার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার কে।
বকেয়া ডিএ মামলার শুনানির আপডেটঃ
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কেন বকেয়া ডিএ দিচ্ছে না, সেই মামলায় রাজ্যের পক্ষ থেকে জমা করা হলফনামায় আবার ত্রুটি ধরা পড়লো, তারই জেরে সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। ২ মাস পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারকে আজ ফের ত্রুটিমুক্ত হলফনামা জমার নির্দেশ দিলো সুপ্রীম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৫ মার্চ ফের পশ্চিমবঙ্গ ও রাজ্য সরকারী কর্মীদের ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। অর্থাৎ আরও দুই মাস পিছিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মীদের বকেয়া ডিএ মামলার ভবিষ্যৎ।
আজ সুপ্রীম কোর্ট সুত্রে জানা গেছে, ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার ত্রুটিপূর্ণ হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যই আজকের DA Case বা বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রীম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে ফের ত্রুটিমুক্ত হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্যাট (SAT) ও হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৩ বার জয় পায় রাজ্য সরকারী কর্মীরা। শেষ বার ৩ মাসের মধ্যে DA দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর তারপর রাজ্য হাইকোর্টের রায়ের পুনঃবিবেচনার আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই সুপ্রীম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। আর তারপর কেটে গেছে ২ মাস। এক দিক দিয়ে বলতে গেলে রাজ্য সরকার যে সময় অতিবাহিত করার নীতি নিয়েছে, কার্যত তা এক প্রকার সফল। তার মধ্যে ডিএ মামলা চলার কারনে ২ বছর ডিএ ঘোষণা ও বন্ধ হয়ে গেছে।
লটারি কাটার সঠিক পদ্ধতি, একবার শিখুন, বারবার জিতুন, এতদিন এইভাবে টিকিট কাটলে লটারি লেগে যেত।
এদিকে মামলাকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, রাজ্য ইচ্ছে করেই ত্রুটিযুক্ত আবেদন জমা দিচ্ছে, যাতে আবার ডেট পড়ে। আবার শুনানি পিছিয়ে যায়, আবার সময় নষ্ট হয়। যাতে ডিএ দেওয়া না লাগে। নাহলে আপনারাই বলুন, রাজ্যের এত বড় বিজ্ঞ আইনজীবী, এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বার বার কেন ত্রুটিপূর্ণ হলফনামা জমা দেবেন? তবে সেই সুযোগ আর বেশিদিন থাকবে না। এরপর ডিএ দিতেই হবে।
মোবাইল রিচার্জের দারুণ অফার, মাসে 70 টাকার খরচে পান অফুরন্ত ইন্টারনেট আর কলিং!
অন্যদিকে রাজ্য সরকারী কর্মীরা আদালতের আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ও আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২৭শে জানুয়ারী কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আজ আবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর, কর্মীদের পক্ষ থেকে আজ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ২৭ শে জানুয়ারী থেকে লাগাতার অসহযোগ আন্দোলনে সামিল হচ্ছে রাজ্য সরকারী কর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ডিএ আদায় করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজ্য সরকারী কর্মীরা। ইউনিটি ফোরাম, সরকারী কর্মচারী পরিষদ, শিক্ষক সংগঠন মিলে আগামী ২৭ তারিখ থেকে জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ব্যাপারে প্রথম আপডেট পেতে EK24 News ফলো করুন।
পেনশন নিয়মের বড় বদল, চাকরি শেষ হলেই পেনশন নয়, পেনশন চালু করতে যান বেরিয়ে যাবে।
রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে হলফনামায় ভুল রেখেছে যাতে মামলা পিছিয়ে যায়। কেন সুপ্রীম কোর্ট সরকার কে জরিমানা করল না এর উত্তর সুপ্রীম কোর্ট কে দেওয়া উচিত আমি মনে করি। দিনের পর দিন এভাবে চলতে পারে কি? মহামান্য আদালত বলুন কেন কর্মচারী বৃন্দ অসহায় হয়ে কোর্টে গেছেন।