DA মামলার রায় কোন পক্ষে দিলো আদালত? DA Case Judgement জানতে হলে পড়ুন বিস্তারিত।
DA বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে জল্পনার অবসান হল আজ। আজই হাই ভোল্টেজ মামলার DA Case Judgement প্রকাশিত হলো। চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহামারীর সময় থেকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সময় সীমার শেষ হওয়ার আগে রাজ্য সরকার আদালতের কাছে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পাল্টা পিটিশন জারি করে।
আজ শুনানিতে কি হবে সেই চিন্তায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা, দিনরাত এক করছিলেন। অবশেষে, আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিনে (DA Case Judgement) রাজ্যের অর্থাৎ রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করে দেয় মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি এই নিয়ে পরপর তিনবার খারিজ করল মহামান্য আদালত। “রোপা রুল” অনুসরণ করে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা DA মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবিও করেছিল রাজ্য।
আজ মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ও হরিশ ট্যন্ডন তাদের সিদ্ধান্তে (DA Case Judgement) বলেছেন রাজ্য সরকারের এই আর্জি পুরোদস্তুর অবাস্তব এবং যুক্তিহীন। আদালত জানিয়েছে রাজ্যের আবেদনের কোন মেরিট বা গ্রহণযোগ্যতা নেই। আর কোনভাবে তাদের পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করবে না আদালত। কেন্দ্র সরকার তার কর্মচারীদের ৩৪ শতাংশ হারে DA দেয়। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তা পেলেও কেন্দ্রের থেকে তা ৩১ শতাংশ হারে কম DA বা মহার্ঘ ভাতা পান।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা DA বা মহার্ঘ ভাতা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় সরকারের ওপর। তার কিছু সময় পরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কিছু সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আইন অবমাননার পিটিশন জারি করে। ফলে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। এদিকে রাজ্য সরকারী কর্মীদের কন্টেম্পট পিটিশন মামলার (DA Case Judgement) শুনানি আগামী ৭ নভেম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাবে জানিয়ে দিয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের বাড়ছে DA Rates, পূজোতেই মিলবে সুসংবাদ, Big News.
রাজ্য পূর্বে জানিয়েছিল তাদের ভান্ডারে বা তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থের অভাব থাকার দরুণ তারা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতে পারছেন না। কিন্তু তাদের এই এই যুক্তির কোন বাস্তবতা গ্রাহ্য করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে পুজোর আগে মহাখুশি সরকারি কর্মচারীরা। তবে আদালত রায় দিলেও রাজ্য ডিএ দেবে কিন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন খোদ কর্মীরাই।
কর্মী মহলের মত, রায় (DA Case Judgement) দিয়ে কি হবে, যদি ডিএ ই না ঘোষণা হয়, তবে জয় পেয়ে কি হবে। অন্যদিকে কর্মীরা মনে করছেন, সুপ্রীম কোর্টে গেলেও একই রায় হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আরও কিছুটা সময় অতিবাহিত হবে। আর এই দেরী করে দেওয়াটাই রাজ্যের প্রাপ্তি। এ বিষয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন বা বক্তব্য থেকে থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
যদি সুপ্রিম কোর্টে যেতেই হয় তাহলে সমস্ত বকেয়া আদায় করতে হবে এবং এর সঙ্গে কোন সমঝোতা করা ঠিক হবে না।
এত বয়স হোল, কংগ্রেস,যুক্ত ফ্রন্ট, প্রেসিডেন্ট রুল, কংগ্রেস,বাম ফ্রন্টের দীর্ঘ জমানায় এই রকম বালখিল্য আচরণ দেখিনি ।।
কি লাভ হচ্ছে?