নবান্নের বৈঠকে ডিএ ঘোষণার শেষ সুযোগ।
আজ সেপ্টেম্বরের 7 তারিখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সভা করবেন নবান্নে। সেখানেই কি মিলতে পারে ডিএ ঘোষণার (DA) ইঙ্গিত? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে হবে বৈঠক। আজকের সভার জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। ইতিমধ্যে নবান্নে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আজকের টি ছাড়াও অন্য সভাটি হতে চলেছে আগামীকাল তথা 8ই সেপ্টেম্বর। এই সভাটি অনুষ্ঠিত হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।এই সভা ডাকা হয়েছে তৃণমূল বুথ কর্মীদের নিয়ে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জায়গা থেকে ডাকা হয়েছে রাজ্যের তৃণমূলের সকল বুথ কর্মীদের। এই বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের সব স্থানে।
PPF Account বা যেকোনো PF থাকলেই মিলবে এই বিরাট সুবিধা।
পূজার আগে এমন একটি প্রশাসনিক বৈঠক এবং এর পরের দিনই একটি দলীয় বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রত্যেকে। অন্যদিকে এই দুই জোড়া সভা নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনে। সমস্ত জায়গা বেশ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই নিয়ে সব প্রশাসনের কর্মীরা বেশ দায়িত্বপরায়ণ।
তবে উৎসবের মরসুম শুরুর আগে এই জোড়া বৈঠককে প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ পুজোর আগে রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজ ও জলকল্যাণমূলক প্রকল্প রাজ্যের নিচুতলার মানুষের কাছে কতদূর পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে, তা প্রশাসনিক বৈঠকে জানতে চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ডিএ নিয়ে এত মামলা চলছে, তাই পুজোর আগে এটাই ডিএ ঘোষণার একটি শেষ সুযোগ বলে মনে করছেন। কারন এর পর আর অন্তত পুজোর আগে, ডিএ ঘোষণার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তাই বৈঠকে সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারণ প্রত্যেকটি দপ্তরের যারা সচিব থাকেন, তাদের কাছেই সব কাজের খতিয়ান থাকে বিশেষ ভাবে। জেলা পর্যায়ে কাজ কতদূর অগ্রসর হয়েছে তা জানতে জেলাশাসকদের ভার্চূয়াল উপস্থিতি রাখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
আবার আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভাকেই দলের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর শেষ বৈঠক বলা হচ্ছে। কারণ উৎসবের মরসুম কেটে গেলেই রাজ্যে শীত পড়ে যাবে। সেই শীতেই হতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট।
সেই ভোটের আগে দলের সর্বস্তরের নেতানেত্রীকে এক ছাতার তলায় এনে নির্দেশ দেওয়ার সুযোগ থাকছে মমতার কাছে। রাজনৈতিক বৈঠক হলেও, প্রাশসনিক কর্তাদের কড়া নজর থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকেও। এখান থেকেই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী সারা রাজ্যের তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেবেন নিজের বার্তা।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিভাবে নিজের দলের ভাবমূর্তিকে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা যাবে, এমন সকল বিষয়ে গুরুত্ব দিতেই এই বৈঠক। আবার এই অল্প সময়ে যদি রাজ্যে কোন কাজ বাকি থাকে সেগুলি যাতে ভোট ঘোষণা হবার আগে সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত বকেয়া ডিএ পরিশোধ, কলকাতা হাইকোর্টে আজ জানিয়ে দিলো নবান্ন।
রাজ্যের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা নিয়োজিত। তারপরে সেটি যদি হয় ভোটের আগে, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই বেশি গুরুত্ব পায় ডিএ ঘোষণার। আরো আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.