Power Cut – বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যা হলেই ফোন করুন এই নম্বরে, মিলবে মূহুর্ত্তের মধ্যে সমাধান
গরমের দাপটে একেবারে নাজেহাল রাজ্যবাসী (Power Cut)। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দাপট এতটাই বাড়তে শুরু করে যে, বাড়ির বাইরে পা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। যদিও শনিবার ২২ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে তাতেও যে খুব একটা স্বস্তি মিলবে সেরকমটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এই তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি থেকে একটু স্বস্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ঝড় বৃষ্টি।
যদিও উত্তরবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে সেইভাবে ঝেপে বৃষ্টি আসবে কিনা এক্ষুনি বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে হয়তো ছিটেফোঁটা বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর (Power Cut)। ফলে এরকম একটা পরিস্থিতিতে ঘরের ভিতরে থাকতে গেলে ফ্যান ছাড়া এক মুহূর্ত থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এখন আবার অধিকাংশ মানুষই এসি ব্যবহার করেন।
ফলে তীব্র গরম বাড়তেই স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ নিয়ে চরম সমস্যা। এই তীব্র গরমের মধ্যেও কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় ৩-৪ দিন ধরে লোডশেডিং বা Power Cut দেখা গিয়েছে। যার ফলে বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় অবরোধ পর্যন্ত করেছেন। যখন এক মুহূর্ত ফ্যান ছাড়া থাকা সম্ভব হচ্ছে না, সেই সময় যদি ৩-৪ দিন ধরে লাগাতার লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয়, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াতে পারে তা সহজেই বোঝা যায়।
একটু হলেও মিলবে মুক্তি, বৃষ্টি কবে হবে? আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে? বিরাট আপডেট।
আর তার জেরেই কলকাতার বেলেঘাটা, হরিদেবপুর, যোধপুর পার্ক সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় চরম ভোগান্তি শুরু হয়। পথ অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা (Power Cut)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সিইএসসির সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, CESCর সঙ্গে বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নির্দেশ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ডি জি সেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সব সময় বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, WBSEDCL বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের জন্য ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম (Control Room) খুলেছে। সেই কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর হলো- 8900793503, 8900793504 কলকাতার একাংশে ৩-৪ দিন ধরেই লোডশেডিং পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য চরম ভোগান্তি শুরু হয় স্থানীয় মানুষদের। এর জেরে বেলেঘাটার আলোছায়া মোড়ে স্থানীয়রা পথ অবরোধ শুরু করেন।
সেখানে এই বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যেই একটি ট্রান্সফর্মার পুড়ে যায়। ফলে ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তাতেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ। এদিকে হরিদেবপুর পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে তৃণমূল সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে যান।
রেশন কার্ড গ্রাহকদের মে মাসের আগে সেরে ফেলতে হবে এই কাজ, নইলে চাল – গম তুলতে গিয়ে সমস্যায় পরবেন।
তারপরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এই তীব্র গরমে যাতে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হলে তাড়াতাড়ি সমাধান করে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে সব সময় বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।