WB Scholarship এর টাকা ঢুকলো পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে, 1000 কোটি টাকা পাঠাল সরকার।
পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষায় সহযোগিতা করতে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রকমের স্কলারশীপ (WB Scholarship) প্রোগ্রাম চালু করেছে। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পড়ুয়াদের জন্য একাধিক স্কলারশীপ বা বৃত্তিমুলক প্রোগ্রাম চালু করেছে। আর এইবছর সেই টাকা ইতিমধ্যেই ঢুকতে শুরু করেছে পড়ুয়াদের একাউন্টে। আর এবার যারা নতুন ভর্তি হয়েছে, তারাও আবেদন করতে পারবে।
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক সামাজিক প্রকল্প তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন। তৃণমূলের আমলে এরকম একাধিক প্রকল্পের নাম করা যায়, যেগুলো থেকে রাজ্যের প্রায় সমস্ত মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM) বরাবরই চেয়েছেন, রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা টাকার অভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না, এই পরিস্থিতির বদল ঘটিয়ে সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের যাতে আর্থিকভাবে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা (WB Scholarship) করা যায়, যার মাধ্যমে গরিব অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।
মাঝারী মেধাবী পড়ুয়ারা আবেদন করুন এই স্কলারশিপে, আর পেয়ে যান পড়াশোনার সব খরচ।
আর তাই রাজ্যের দু:স্থ, মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student Credit Card) এবং স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Merit Cum Means Scholarship) এর সূচনা করেন। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। আবার স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ (WB Scholarship) এর মাধ্যমে যেকোনো পড়ুয়া প্রতিমাসে 1 হাজার থেকে 8 হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহযোগিতা পেতে পারেন।
এবার দেখা গেল, 2021-22 সালে 8 লক্ষের বেশি পড়ুয়াকে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ এর টাকা দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যশিক্ষা দপ্তরের (State Education Department) পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। 1 হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার এই আর্থিক বছরে এই খাতে ব্যয় করেছে।
রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলা থেকেই আবেদনকারীরা এই টাকা পেয়েছেন। তার মধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি নতুন আবেদনকারীরা এই টাকা পেয়েছেন। নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা 7 লক্ষের বেশি। পুনর্নবীকরণ করিয়েছেন 1 লক্ষ 40 হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী। এছাড়াও পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাতেও বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে এই স্কলারশিপ (Scholarship) এর টাকা ঢুকে গিয়েছে।
কলকাতা জেলায় এই স্কলারশিপ পুনর্নবীকরণ এর সংখ্যা বেশি। এখানে 16 হাজার পড়ুয়া এই স্কলারশিপের পুনর্নবীকরণ করিয়েছেন। তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায় 14000 পড়ুয়া পুনর্নবীকরণ করিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Bandyopadhyay) নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থ যাতে কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।
দারুণ খবর, পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপে আবেদন করলে পাবেন 48 হাজার টাকা
তার জন্য স্কলারশিপের টাকা প্রতি মাসে যেন সেই পড়ুয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সঠিক সময়ে চলে যায়। সেই নির্দেশ মতোই পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে স্কলারশিপ (WB Scholarship) এর টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিক (HS) থেকে পি এইচ ডি (P.Hd) স্তর পর্যন্ত এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যায়। সেক্ষেত্রে পরিবারের বছরে 2.5 লক্ষ টাকা বা তার কম আয় হতে হবে।
স্কলারশিপে আবেদন (WB Scholarship) করতে হলে শেষ পরীক্ষায় 75 শতাংশ নম্বর বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এবার সেই নম্বর 60% করা হয় অর্থাৎ কমিয়ে দেওয়া হয়। তার ফলেই আবেদনকারীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। গত বছর নভেম্বর মাস থেকেই এই স্কলারশিপের (WB Scholarship Portal) পোর্টাল চালু করা হয়। বহু সংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় রাজ্য সরকার চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে এই স্কলারশিপের জন্য বাড়তি টাকাও বরাদ্দ করেছে।
কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কৃষক বন্ধু সহ একাধিক প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষদের জন্য পরিকল্পনা করেছেন এবং তা বাস্তবায়িত করেছেন। যার ফলে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যের দু:স্থ অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থের অভাব যেন তাদের ক্ষেত্রে বাধা না আসে, তার জন্যই এই ধরনের স্কলারশিপ (WB Scholarship) এর টাকা রাজ্য সরকার নিয়মিত তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যেসমস্ত ছাত্ররা এখনও কোনও স্কলারশীপ পায়নি তারা নিচের স্কলারশীপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন। এবং এই ধরনের আরও খবর পেতে EK24 News এর সঙ্গে থাকুন। আপনার মন্তব্য এবং কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Written by Rajib Ghosh.
পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ও সাধারণ প্রত্যেক পড়ুয়াকে এবার 10 হাজার টাকা করে দিচ্ছে
Dear dada-
আমি বলতে চাই স্বামী বিবেকানন্দ মেরিটকাম
মিন্স হওয়ার আগে। পোস্ট মেট্রিক minority 2021-22 যারা যারা জমা দিয়েছে এবং সেই svmcm এ এলিজিবল কিন্তূ সে svmcm কনভার্ট করেনি । করেনি মানে কোনো কারণে করতে পারেনি। সেটা কি কনভার্ট হতে পারবে? আর যদি কনভার্ট করতে গিয়ে কোনো ডকুমেন্টস ভুল আপলোড করে ফেলে তাহলে এ ক্ষেত্রে কি করা উচিৎ কিংবা এই বিষয়ে পোর্টাল কিনে সির্থান্ত নিবে? এর উত্তর টা একটু দেবেন প্লিজ। Thank you
Dear
Sir / Mam আমি শ্রী দীনেশ মৃধা, পিতা মৃত দেবেন্দ্রনাথ মৃধা আমি M.B.B.S
পড়তে চাই। সামথ্ব না থাকায় পড়াশোনা করতে পারছি না সায়েন্স ৬২% নাম্বার আছে।
Dear
Sir / Mam আমি শ্রী দীনেশ মৃধা, পিতা মৃত দেবেন্দ্রনাথ মৃধা আমি M.B.B.S
পড়তে চাই। সামথ্ব না থাকায় পড়াশোনা করতে পারছি না সায়েন্স ৬২% নাম্বার আছে। আমি scheduled Cast
I am a student of class xii
Sir
আমি মহ সামসুজজোহা পিতা মহ আমিনুর রহমান
আমি MBBS করতেছি রাশিয়াতে। 68 % আছে আমি কি ভাবে সরকারি সহায়তা পাবো জানাবেন।
Dear
Sir / Mam আমি সত্যজিৎ ধর আমি B.B.A. Business Analytics নিয়ে পড়তে চাই। সামথ্ব না থাকায় পড়াশোনা করতে পারছি না commerce 76.4% নাম্বার আছে। আমার কাস্ট OBC
দুয়ারে সরকারের কাছে আবেদন করেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বার্ধক্যভাতাকোনোটাইপায়নি অথচ যাদের নাপেলেও চলবে তারা পেয়ে গেল একেমন বিচার? আমার দুই বোন বড্ড অসহায় একজন অবিবাহিত অন্য জন নিসন্তান বিধবা গ্রামে থাকে।কি করে পাওয়া যাবে?যদিবলেন।