HS Exam 2023 – পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও দুই দফায় হবে।
সবেমাত্র শেষ হয়েছে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এর মধ্যেই আগামী বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Exam 2023) নিয়ে বড় ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। কেন্দ্রীয় বোর্ডের মতোই দুই ধাপে নেওয়া হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। কি কি নিয়ম হচ্ছে, দেখে নিন বিস্তারিত।
কেন্দ্রীয় বোর্ড আইসিএসই ও সিবিএসই বোর্ড সহ একাধিক রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষা গুলি ইতিমধ্যেই বছরে দুবার পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে আগের থেকেই। সেমিস্টার ওয়ান ও সেমিস্টার টু হিসাবে, ছয় মাস অন্তর অন্তর দুটি ভাগে পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আর কার্যত সেই পথে হেটেই, পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ও সেই ফরম্যাটে নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE).
আর সংসদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও সেই নীতিতে সায় দিয়েছে। এবং ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার স্কুল উচ্চ শিক্ষায় নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে। আগামী ৬ই মে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক রেজাল্ট (HS Result 2022) ও আগামী বছরের পরীক্ষা (HS Exam 2023) নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
সেই বৈঠকে কমিটি এবং শিক্ষামন্ত্রী যদি সায় দেন তবে আগামী বছর (HS Exam 2023) থেকেই চালু হবার কথা। এদিকে আগামী বছরের পরীক্ষা নিয়ে এখনই মুখ খোলেননি সংসদের শীর্ষ কর্তারা। আর এই বিষয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে না চাইলেও সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন “আগামী ৬ তারিখ কমিটির বৈঠক রয়েছে। ওই দিন আলোচনার পর যা বলার বলব।”
সংবাদ সুত্রের খবর, এবারের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা থেকেই নতুন নিয়মেই পরিক্ষা নিতে চাইছিলো সংসদ অর্থাৎ সেমিস্টার সিস্টেমে পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু একে অতিমারী আর অন্যদিকে ক্লাসই হয়নি। তাই হটাত করে নতুন এক ফরম্যাট চালু করলে সেটা অন্ধকারে হাতড়ানোর সমতুল্য। তবে এবছর শিক্ষা বর্ষ শুরুর (HS Exam 2023) সাথেই এই পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেমিস্টার সিস্টেমে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিতে গেলে সিলেবাস সংশোধন বা সিলেবাস বিভাজনের প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের আগেই জানাতে হবে সেমিস্টার ওয়ান, সেমিস্টার টু কি ধরনের সিলেবাসের উপরে পরীক্ষা হবে। তাদের জন্য স্যাম্পল প্রশ্ন তৈরী করতে হবে। শিক্ষকদের জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরী করতে হবে। যেগুলো সময় সাপেক্ষ (HS Exam 2023)।
শুধু তাই নয়, উচ্চমাধ্যমিকের একাধিক বিষয় রয়েছে। তার জন্য প্রতিটি বিষয় ভিত্তিক সেমিস্টার ধরে ধরে সিলেবাস তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যাবে। তার জন্যই আগামী বছরের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রক্রিয়া আগে থেকেই শুরু করতে চায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। HS Exam 2023
আর সবচেয়ে বড় কথা, প্রত্যেক বছরের পরীক্ষার্থীরা বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন সল্ভ করে প্রস্তুতি নিতে পারে, কিন্তু সিলেবাস বা প্রশ্নের ধরন আলাদা বা নতুন হলে সেই সুযোগ থাকবে না, তাই তাদের ঠিক মতো প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে, নতুবা সার্বিক রেজাল্ট এর উপর প্রভাব পড়তে পারে।
এই বিসয়ে শিক্ষাবিদেরা মনে করছেন, আইসিএসই, সিবিএসই-র মতো বোর্ড গুলি এই ব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই কার্যকরী করেছে সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা পর্ষদের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকরী না হলে আগামী দিনে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর থেকে সেমিস্টার ভিত্তিক বছরে দু’ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া গেলে ছাত্রছাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলেই মনে করছে সংসদ।
নতুন এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা (HS Exam 2023) নেওয়াকে আপনার কেমন মনে হয়? এতে সুবিধে হবে? নাকি কঠিন হবে? অনেকেই মনে করছেন সিলেবাসের চাপ কমবে। আপনি কি মনে করেন? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
EK24 নিউজে সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন ek24 নিউজের ওয়েবসাইটে।
Written By Purabi Deb
আরো পড়ুন, ২ টাকার কয়েন করবে বাজিমাৎ, বাড়ি বসেই হতে পারেন ৫ লাখ টাকার মালিক
এয়ারটেলের মারকাটারি অফার! মাত্র ১০ টাকাতেই পেয়ে যাবেন অতিরিক্ত ৬ জিবি
The syllabus of west bengal board is very easy in comparison with ISC and CBSE.Naturally the student of west bengal board gets advantages at the time of admission in colleges.So firstly syllabus should be modified in the light of All india level then term basis examination may introduce.
আমি চাই সিলেবাস টা পরিবর্তন হোক। সিলেবাস টা পরিবর্তন হলে ছাত্রছাত্রীদের আগামী ভবিষ্যত ভালো হবে এটা ঠিক চিন্তাভাবনা ভারত সরকারের।কিন্তু সরকারের ও আরও চিন্তা করা উচিত তাদের বেকারত্বের হার বাড়িয়ে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো। শিক্ষিত করে শিক্ষিতের মর্যাদা দেওয়াটা দরকার।