Electricity Bill থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন মানুষ! কারেন্ট বিল বা বিদ্যুৎ বিল একধাক্কায় হচ্ছে অর্ধেক, নয়া পদ্ধতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের।
ইলেকট্রিসিটি বিল বা বিদ্যুৎ বিল আসলেই অধিকাংশ মানুষ পড়ে যান অথৈ জলে। কারণ মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ বিল এত বেশি পরিমাণে চলে আসে যে সাধারণ গৃহস্থের পক্ষে সেই বিল মেটানো প্রায় কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে।
কারেন্ট বিল বা বিদ্যুৎ বিল কম আসবেঃ
একেই দেশ জুড়ে আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, বাজারে দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে হাত দিতে গেলেই ছ্যাকা লাগছে, আর তার উপরে Electricity Bill মাঝে মধ্যে দেখলেই চিন্তা শুরু হয়ে যায়, কিভাবে এত টাকা মেটানো সম্ভব হবে?
এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। আর রাজ্যবাসীকে অতিরিক্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ বিলের জন্য টাকা খরচ করতে হবে না। রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে বাংলার মানুষের জন্য ইলেকট্রিসিটির ক্ষেত্রেও উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের বেশি পরিমাণে কারেন্ট বিলের খরচ থেকে রেহাই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাধারণত বর্তমানে নিয়মানুযায়ী বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মচারীরা প্রতিটি বাড়িতে, দোকানে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে Electric Bill তৈরির জন্য মিটার রিডিং সংগ্রহ করেন। তারপরে কারেন্ট বিল তৈরি করেন। সেই বিল অনুযায়ী গ্রাহককে টাকা প্রদান করতে হয়। এবার যেহেতু প্রতি তিন মাসে বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়, ফলে সাধারণ মানুষের বিদ্যুত বিলের প্রদেয় টাকার পরিমান অনেকটাই বেড়ে যায়। এবার সেই নিয়মে পরিবর্তন আসতে চলেছে।
আর কোনো বাড়িতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মচারীরা মিটার রিডিং নিতে যাবেন না। অফিসে বসেই গ্রাহকের বিদ্যুতের রিডিং দেখতে পাবেন। আর সঙ্গে সঙ্গে কারেন্ট বিল তৈরি করে দেওয়া সহজ হবে। গ্রাহকেরাও এই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে যথেষ্ট সুবিধা পাবেন।
বিধানসভায় রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার মোট ২ কোটি ২০ লক্ষ গ্রাহক রয়েছে। তার মধ্যে CESC-র অধীনে রয়েছে ৩৩ লক্ষ। রাজ্যের ৩৭ লক্ষ ঘরে স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।
বিদ্যুৎমন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস আরো জানান, ৩৭ লক্ষ Smart Meter বসানোর সাথে সাথে ৮৭ টি সাবস্টেশন তৈরি করা হবে। এর জন্য RDSS- এর মাধ্যমে ১১৮৯৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে। যার ৬০% দেবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ৪০ শতাংশ দেবে রাজ্য সরকার। আর এর ফলে রাজ্যবাসী বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রে উন্নত পরিষেবা পাবেন।
Smart Meter বসানো হলে বিদ্যুৎ কর্মচারীদের আর বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডিং দেখে তিন মাস অন্তর বিল তৈরি করার ঝামেলা থাকবে না।
কম বিনিয়োগে এই সময়ের 11টি লাভজনক ব্যবসা, দোকানে কাস্টোমার উপচে পড়বে।
গ্রাহককেও বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না। প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মচারীরা অফিসে বসে গ্রাহকদের বিল তৈরি করে দিতে পারবেন। সঙ্গে সঙ্গে টাকা জমা দিতে পারবেন গ্রাহক। ফলে কারেন্ট বিল বা বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণও অনেকটাই কমে যাবে।
মোবাইল রিচার্জের মত গ্রাহকেরা প্রিপেইড রিচার্জ করতে পারবেন। প্রয়োজন না হলে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে না। ফলে এই উন্নত পরিষেবা পাবেন রাজ্যের মানুষ। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে এরকম স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে। তাতে প্রায় ১০% বিল কম আসছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ নিগম। এবার বাংলার মানুষও সেই উন্নত পরিষেবা পেতে চলেছেন।
Written by Rajib Ghosh.
ওহে, ৺চাদু আসল কথাটি বলছেন না কেন❓ বিদ্যুৎ এর দাম প্রতি ইউনিটে কত কমছে। ঠিক এখানে আপনি বোবা।
How is the calculation of half electricity bill….please publish an example for easy understanding of readers….or stop writing such imaginary cious stories.
Thanks W.B Government for taking this new technology to compute the electric Bill.
Hon’ble Chief Minister’s preparation regarding the electricity bill of the common people of West Bengal through digital meter is truly unparalleled
Cesc bill ki kombe