Advertisement
West Bengal Dearness Allowance
Advertisement

বকেয়া মহার্ঘভাতা বা Dearness Allowance দেওয়ার জন্য ৫০০ কোটি টাকার বেশি তহবিল গঠন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে। তবে কাদের জন্য এই ডিএ। কবে থেকে কার্যকর (Salary Hike with Arrear), বিস্তারিত জেনে নিন।

Advertisement

বকেয়া Dearness Allowance কাদের জন্য?

নবান্ন সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই ৫০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে সরকার। তবে এটা সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য নয়। রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন এবং সংবহন সংস্থার কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য এই তহবিল গড়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্ল্যেখ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা একটি স্বশাসিত সংস্থা, এবং এই দপ্তরের অধিনের কর্মীদের বেতন সমগ্র রাজ্য সরকারী কর্মীদের নিয়মানুসারে হয়না। সংশ্লিষ্ট সংস্থা ঠিক করে।

Advertisement

হাইকোর্টে সরকারের তরফ থেকে বিদ্যুৎ বন্টন এবং সংবহন সংস্থার কর্মীদের ২০১৯ সাল পর্যন্ত DA দেওয়ার জন্য ৫০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ২০২০ সালের পর থেকে নতুন হারে Dearness Allowance দেওয়ার যে নির্দেশ রয়েছে সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

এইরকম একটা পরিস্থিতিতে সাধারন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আবার প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে তাদের Dearness Allowance না দিয়ে সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলো কেন? যেখানে বিদ্যুৎ বন্টন ও সংবহন সংস্থার কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য তহবিল গঠন করা হচ্ছে, সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA দেওয়া হচ্ছে না কেন? একই রাজ্যে দুই ধরনের কর্মীদের বেতন (Salary Hike) নিয়ে দ্বিচারিতা কেন?

প্রসঙ্গত গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিয়ে দেওয়ার জন্য তিন মাস সময়সীমা ঠিক করে দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে পিটিশন করে সরকার। সেই পিটিশনের পরেও আগের নির্দেশ বহাল রাখে আদালত। কিন্তু কর্মীদের DA দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত সেই রায় কার্যকর না হওয়ার জন্য একাধিক কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালতে ফের আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়।

EK24 News

সেই মামলায় ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিব হলফনামা জমা দিয়েছেন। সেই হলফনামায় পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে, আদালত যে DA দেওয়ার জন্য রায় দিয়েছে সেটি স্পষ্ট নয়। এইভাবে DA দেওয়া হলে আর্থিক সমস্যা রাজ্য জুড়ে তৈরি হতে পারে। তাই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে। এদিকে সুপ্রীম কোর্টে অ ভুলে ভরা আবেদন দাখিল করেছে। যার জন্য সেই আবেদন কেও গ্রহণ করা হয়নি। রাজ্যকে সংশোধনের সময় দিয়েছে।

Advertisement

বিনামুল্যে ইন্টারনেট, আজীবন ইনকামিং ফ্রি, Jio-র দাপট কমাতে বাজারে এল

তারপরেই আদালত অবমাননার যে মামলা চলছিল সেই মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এবার কলকাতা হাইকোর্টে বিদ্যুৎ বন্টন এবং সংবহন সংস্থার কর্মীদের Dearness Allowance দেওয়া নিয়ে যে মামলা চলছিল সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ দেওয়ার জন্য ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে ২০২০ সালের পর থেকে নতুন হারে Dearness Allowance দেওয়ার যে নির্দেশ সেটি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়।

লটারির টিকিট কাটার 2 টি বৈজ্ঞানিক কৌশল, মানলেই ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা।

সে ক্ষেত্রে আদালত জানায়, এই মামলায় যে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে সেই রিভিউ পিটিশনের শুনানির দিন ১৪ ই ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে। তবে নতুন হারে Dearness Allowance দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বন্টন এবং সংবহন সংস্থার কর্মীদের DA দেওয়ার জন্য তহবিল তৈরি করা হয়েছে।

সরকারি ছুটি বাতিল, বিশেষ পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্য সরকারী অফিস ও স্কুল কলেজে। কি কারনে জেনে নিন।

আর সরকারি কর্মীদের DA দেওয়া নিয়ে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। এটা ঠিক নয়। কর্মীদের Dearness Allowance দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছে তারা। তবে যেহেতু রাজ্যের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করা হয়েছে, সেহেতু ডিএ মামলার ফয়সালা হবে শীর্ষ আদালতেই।
Written by Rajib Ghosh.

Advertisement

বদলে গেল পোষ্ট অফিসে টাকা তোলার নিয়ম, এবার চাপ পড়বে মধ্যবিত্তের পকেটে।

Advertisement
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement