Dearness Allowance – ডিএ মামলার রায় ঘোষণার পর তৎপরতা নবান্নে।
গত সপ্তাহে ডিএ মামলার (Dearness Allowance) রায় ঘোষণা হয়। আর গত বারের মত এবারও জয়লাভ করেছে রাজ্যের কয়েক লাখ রাজ্য সরকারী কর্মী ও শিক্ষক শিক্ষাকর্মী। আর আদালতের নির্দেশ মতো ৩১% ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারী কর্মীদের। আর সেই হিসাবে কত টাকা খরচ হবে, তার হিসাব নিকেশ শুরু হয়েছে নবান্নে।
সংবাদ সুত্রের খবর, এই টাকার হিসাব যাবে মূখ্যমন্ত্রীর কাছে, তারপর রাজ্য পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও কর্মীদের একাংশ আশংকা করছেন, যে রাজ্য সুপ্রীম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। আর সেই মত রাজ্য সরকারী কর্মীরাও প্রস্তুতি শুরু করেছেন। রাজ্য যদি সূপ্রীম কোর্টে যায়, তার ও পাল্টা দিতে প্রস্তুত কর্মীরা।
নবান্ন সুত্রের খবর, রাজ্যের কোষাগারে ডিএ-রায়ের (Dearness Allowance) প্রভাব কতটা পড়বে, তা বুঝে নিতে চাইছে প্রশাসন। আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই এ নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করবেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। ডিএ-র রায় মানতে হলে তার আর্থিক প্রভাব, টাকা জোগাড়ের উৎস কী হবে, ইত্যাদি সব নিয়েই চর্চা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থ বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, বকেয়া থাকা ৩১% ডিএ (Dearness Allowance) এখনই মিটিয়ে দিতে হলে সরকারকে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে। আর সমস্ত প্রকল্পের টাকা ও ঋণের কিস্তি মিটিয়ে তা আদৌ সম্ভব কিনা প্রশ্ন উঠছে।
সরকারী কর্মীদের মামলাকারী সংগঠনের এক কর্তা জানান, ৬ বছরের মামলার পর এবার সরকারী কর্মীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে, যে কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে ডিএ (Dearness Allowance) দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু রাজ্য আদালতে কিন্তু এই কারণটি একবারও জানায়নি। এর থেকে বোঝা যায়, কর্মীদের আন্দোলন প্রশমন করতেই এই চেষ্টা।
100 টাকার এই পুরাতন নোটটির দাম উঠলো ১ কোটি টাকা, আপনার কাছে নেই তো?
অন্যদিকে আরেকটি সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে, রাজ্য এখন দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবছে, প্রথমত কিছু শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance) দিয়ে আদালতকে জানানো যে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি দেওয়া সম্ভব নয়, এবং দীর্ঘকালীন সময় চেয়ে নেওয়া। অথবা সুপ্রীম কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে আরো সময় অতিবাহিত করা। যদিও এই দুটি কারণই কেবলমাত্র কর্মীদের ধারনা। সরকারীভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এদিকে এখনও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখানেও এখন গরমের ছুটি পড়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে খুলবে আদালত। তাই কোর্ট খোলার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে কর্মীদের মত, সূপ্রীম কোর্টে গেলেও মামলার রায় একই থাকবে। তাই রাজ্যকে কর্মীদের প্রাপ্য সময়মতোই দেওয়া উচিত। Dearness Allowance
তবে রাজ্য সরকারী কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য, ক্যভিয়েট রেডি রাখছেন। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জী জানান, গরমের ছুটির মধ্যেই কাগজপত্র রেডি হয়ে যাবে। রাজ্য যাতে একতরফা শুনানি করে স্টে না আনতে পারে, তার জন্য প্রস্তুত কর্মীরা।
নতুনভাবে সুদের হার বাড়ালো ব্যাংক, দেখে নিন কোথায় কত বাড়লো