পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নিউজপ্রিন্ট খরচ হয়েছে প্রচুর, টাইম স্লটে নিয়মিত সময় বরাদ্দ হয়েছে টিভি চ্যানেলে, ডিজিটাল মিডিয়ায় ভুরি ভুরি কপি লেখা হয়েছে এই বিষয়ে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। আদালত নির্দেশ দিলেও টাকাটা পাওয়া যায়নি। উপরুন্ত সরকারের উদাসীনতা ও কালবিলম্বের মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে।
মহার্ঘ ভাতা এর সর্বশেষ খবর
হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হলে হাইকোর্ট পূর্বের নির্দেশ বহাল রাখে। রায় কার্যকর না হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে হলফনামা জমা দিতে বলে আদালত।
সেই হলফনামায় রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের নির্দিষ্ট পরিমাণের DA বা মহার্ঘ ভাতা দিতে গেলে রাজ্যে আর্থিক বিপর্যয় হতে পারে। কারণ এই মুহূর্তে রাজ্যে সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক কল্যাণমূলক প্রকল্প চলছে। সেখানেই আগে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এই কথাটি কিছুদিন আগে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও বলেছিলেন।
হলফনামায় এও জানানো হয়েছে, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য, সেখানে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি। কোন হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। রাজ্য সরকার DA মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে। স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও কর্মীদের দাবী আদালত ইতিমধ্যেই AICPI হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলে দিয়েছে। কিন্তু জেনে বুঝে রাজ্য অযৌক্তিক যুক্তি খাড়া করছে।
এরপর দেখা যায়, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে SLP দাখিল করেছিল সেটি গ্রহণযোগ্য হয়নি। তার কারণ, সেই পিটিশন ত্রুটিপূর্ণ। তাই ফের পিটিশন দাখিল করার জন্য রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এরপরেই সরকারের পক্ষ থেকে ফের পিটিশন দাখিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার যেহেতু শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল হয়নি, এর মধ্যেই বুধবার আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
জানা গিয়েছে, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হবে।
তবে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হতে পারে যেহেতু সুপ্রিমকোর্ট SLP দাখিল করা হচ্ছে, তাই যেন শুনানি না হয়। কিন্তু যেহেতু মামলাটি এখনও গ্রহণই হয়নি, তাই হাইকোর্টে আবেদনে বাঁধা থাকার কথা নয়।
সরকারি কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ নভেম্বর জবাবি হলফনামা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্যের পিটিশন গ্রাহ্য হয়নি। সেটি ত্রুটিপূর্ণ। ফের পিটিশন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে যেন আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হয়।
মধ্যবিত্তেরা অল্প অল্প করে কোথায় টাকা রাখলে সব দিক থেকে বেশি লাভবান হবেন?
কর্মচারীদের আরেক সংগঠন কনফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যে SLP শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছিল সেটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণে গ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীতে ফের জমা দেবে রাজ্য। হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানানো হবে, আদালত অবমাননার যে মামলা রয়েছে সেটির যেন শুনানি হয়।
ঘরে এই পুরনো নোট থাকলে হাতে হাতে লাখ টাকা পাবেন, প্রতারণা ছাড়া বিক্রয় করার উপায়।
আদালতে আইনজীবীরা থাকবেন। তবে DA মামলা নিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলে সেখানেও লড়াই করা হবে। সরকারি কর্মীদের DA দিতে হবে। কিন্তু আজ অবশ্যই নজরে থাকবে কোলকাতা হাইকোর্টে কি নির্দেশ আসে। আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন।
Written by Rajib Ghosh.
Ur.news fantabulas also ur.all new’s & views mind-blowing..