Advertisement
WB Dearness Allowance Case in Supreme Court (ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে)
Advertisement

বকেয়া ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে (AICPI) Dearness Allowance. রাজ্য সরকারের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল, ৩৪% হারে ডিএ দেওয়া রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়। এর ফলে রাজ্যে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়।

Advertisement

পাশাপাশি Dearness Allowance মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। গতকাল, সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল।

Advertisement

Dearness Allowance মামলায় কি কি ভুল রয়েছে?

কিন্তু সেই মামলার কেস ফাইলে রয়েছে এমন কয়েকটি ভুল, যার জন্য বিচারপতির টেবিল অবদি ফাইল পৌঁছায় নি। রাজ্যকে ভুল সংশোধন করে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে Dearness Allowance মামলার ফাইল পুনরায় জমা দেবার নির্দেশ দেওয়া হলো সুপ্রিম কোর্টের তরফে। আর এখানেই অন্য রণনীতির সন্দেহ হচ্ছে সরকারী কর্মীদের। ইচ্ছে করে আরও ৯০ দিন পিছিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নয় তো? আর তারপরই ভোট, শীতের ছুটি, গরমের ছুটি পর পর রয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে 200 কোটি টাকা খরচে নতুন পরিষেবা চালু। রাজ্যবাসী আনন্দে আত্মহারা!

যে ভুলগুলি Dearness Allowance কেস ফাইলে রয়েছে, তার মধ্যে প্রথমটি হল , আদালতে কেস করলে কেস ফি দিতে হয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে 2,330/- টাকা বকেয়া রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, কলাম নাম্বার 4(B) তে (L/P) কিছু ত্রুটি আছে।
তৃতীয়ত, প্যারা নাম্বার 3, 7(I), 8(I), এর বয়ান I/O.(SLP) এর সাথে ট্যালি করা হয়নি।

EK24 News

চতুর্থত, অ্যানেক্সার নাম্বার P-1 এ কিছু কপি দেওয়া হয়েছে যা প্রিন্টের সময় কালির পরিমাণ কম থাকআর কারণে আবছা প্রিন্ট হয়েছে। ফলে তা বোঝা যাচ্ছে না।
পঞ্চমত, অ্যানেক্সার নাম্বার P-14 এ কিছু ভাষার সমস্যা দেখা গেছে। নথির অরিজিনাল টাইপ করা কপি চাওয়া হয়েছে।
ষষ্ঠত, 293-294 নম্বর পাতাগুলি অসম্পূর্ণ। 295 নম্বর পৃষ্ঠা ওলটানো আছে। 583 নম্বর পৃষ্ঠা ফাঁকা। কিছুই লেখা নেই।

Advertisement

এগুলি ছাড়াও আরও বেশ কিছু ভুল রয়েছে কেস ফাইলে। যেমন, SLP অনুপস্থিত। এবং এই বিশাল কেস ফাইলের সূচিপত্র অনুসারে পেজ নাম্বার মিলছে না। তাই একজন অভিজ্ঞ ও বিচক্ষন সরকারী আইনজীবীর পক্ষে এতগুলো ভুল চোখ এড়িয়ে যাওয়া কাকতালীয় নয় তো? প্রশ্ন উঠছে। এই প্রসঙ্গে ধীরে চলো নীতি কিম্বা সময় অতিবাহিত করার পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাচ্ছেন মামলাকারী রাজ্য সরকারী কর্মীদের পক্ষের আইনজীবীর।

স্কুলে মোবাইল রুখতে ও পড়ুয়াদের মোবাইলের নেশা কাটিয়ে বইমুখী করতে শিক্ষকদের জরুরী নির্দেশ।

এই ত্রুটিগুলি সংশোধন করে নব্বই দিনের মধ্যে রাজ্যকে পুনরায় Dearness Allowance কেস ফাইল জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তারপর কেসটি সুপ্রিম কোর্টে উঠবে। আদৌ সরকারি কর্মীরা বকেয়া ডিএ পাবে কিনা সেই নিয়ে তৈরী হয়েছে অনিশ্চিয়তার কালো মেঘ। তবে Dearness Allowance মামলা নিয়ে কর্মীরা আশাবাদী দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও তাদের পক্ষে রায় দেবে।
Written by Antara Banerjee.

Advertisement
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement