ডিএ বা Dearness Allowance ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। হাইকোর্ট থেকে জল গড়িয়েছে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের চাকরিজীবি থেকে পেনশনভোগীরা কেউই খুশি নন রাজ্য Dearness Allowance ইস্যুতে। তারা এর বারবার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজের কাজ না হওয়াতে তারা আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছে। আজ শনিবার ও কাল রোববার ২৪ ঘন্টার প্রতিকী অনশন পালন করছেন ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের সরকারী চাকুরিজীবিরা।
Dearness Allowance
প্রায় ২৮টা সংগঠনের নেতৃত্বে এই আন্দোলন চলছে। আজই তারা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Central Finance minister) কে চিঠি দিয়েছেন বলে যৌথ মঞ্চের পক্ষ থকে জানানো হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে আদালতের নির্দেশের পরও AICP হারে Dearness Allowance না দিয়ে বরঞ্চ ২ বছর ডিএ বন্ধ করে রেখেছে রাজ্য সরকার।
শুধুমাত্র কেন্দ্রের চাকুরিজীবিরা নয় বিভিন্ন রাজ্যের সাথে Dearness Allowance এর পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। কেন্দ্রের ষষ্ঠ পে কমিশন (6th Pay Commission) যুক্ত হওয়ার পর এই রাজ্যের চাকুরিজীবিদের সাথে কেন্দ্রের চাকুরিজীবিদের পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ। আগে ঐই পার্থক্য ছিল প্রায় ৩৪ শতাংশ মতো।
বিগত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় শহীদ মিনারের পাদদেশে এই ধর্ণা চলছে। সময়ের সাথে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ছে। সেখান থেকে ঠিক করা হয়েছে আন্তজার্তিক লেবার অরগানাইজেশনকে চিঠি দেওয়ার কথা। রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। কলকাতার মেয়র বলে এই আন্দোলন শুধুমাত্র সিপিএম পোষিত কিছু লোকের ডিএ নিয়ে ক্ষোভ। এই প্রসঙ্গে আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যদিও রাজ্যের দাবি সরকার কর্মীদের মহার্ঘভাতা নিয়ে সংবেদনশীল, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ, সঠিক সময়ে রাজ্য সিদ্ধান্ত জানাবে।
আরও একটি জনপ্রিয় ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করল RBI রিজার্ভ ব্যাংক। টাকা তোলায় নিষেধাজ্ঞা।
তাই আদালতে জয় পাওয়ার পরও Dearness Allowance না পাওয়ায় এবার রাস্তার আন্দোলন বেছে নিয়েছে কর্মীরা। যদিও ডিএ মামলা এখনও সুপ্রীম কোর্টে চলছে। তবে এই মুহুর্তে বকেয়া ডিএ নিয়ে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেছে কর্মীরা। এদিকে সর্বশিক্ষার টাকা রাজ্য খরচ করেনি বলে আজ জানিয়েছেন স্মৃতি ইরানী। আর সেই সুত্র ধরেও রাজ্যের কর্মীরা সুর চড়াচ্ছেন, এই টাকা শিক্ষার কাজে খরচের জন্য, এখান থেকেই শিক্ষকদের মাইনে দেওয়া যেত। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষকেরাও কেন্দ্রের শিক্ষকদের তুলনায় প্রায় অর্ধেক বেতন পান।
SBI তে অ্যাকাউন্ট থাকলেই মিলবে উচ্চহারে রিটার্ন, বিস্তারিত জানুন।
এদিকে ডিএ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে আগামী ১৫ ই মার্চ। রাজ্যের ভুল হলফনামার জন্য কেসের শুনানি অনেক পিছিয়ে গেছে। সর্বোচ্চ আদালতের তরফে রাজ্যকে সঠিক হলফনামা পেশের কথা জানানো হয়েছে।
আর তার মধ্যে কর্মীদের এই সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব পড়ে, এটাই দেখার।