ডিএ মামলার আপডেট, যা জানা গেল সুপ্রিম কোর্টে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এবার কি Dearness Allowance পেতে চলেছেন? সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার (DA Case Update) শুনানির দিনক্ষণ ঠিক হতেই জল্পনা বাড়ছে। কারন পর পর ৩ দিন তারিখ পেছনোর পর এবার নির্দিষ্ট দিন দেওয়া হয়েছে। আর কজ লিস্টে মামলা এনলিস্টেড ও হয়েছে। আর এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, এই দিন দুই পক্ষ তাদের নিজের স্বপক্ষে সুপ্রীম কোর্টে হলফনামা জমা দেবে। আর এখানেই রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে রায় ঘোষণা হবে বলে, আশায় রয়েছেন সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। হয়তো এবার তাদের পক্ষেই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিতে পারে। মিলতে পারে এতদিনের বকেয়া DA.
জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে ১৬ ই জানুয়ারি ডিএ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার এই ডিএ মামলাটি শুনানির জন্য ওঠার কথা রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত মামলার নতুন বেঞ্চ গঠন করা হয়নি। এই সপ্তাহেই গঠন হয়ে যেতে পারে। তবে সুপ্রিম কোর্ট আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মামলা শুনতে পারে।
কলকাতা হাইকোর্ট গত মে মাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে বকেয়া DA দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু সেই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তাদের যুক্তি ছিল, যদি হাইকোর্টের নির্দেশে এই DA রাজ্য সরকারকে দিতে হয়, তাহলে ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্যের পক্ষে একেবারেই এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডি এ দিয়ে দিতে গেলে একটা মোটা অংকের টাকার বোঝা চাপবে। এটা সঠিক। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের ডিএ প্রাপ্য অধিকার। সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবেন কেন?
রাজ্য সরকারের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। প্রথমে শুনানির জন্য গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলাটি ওঠে। কিন্তু সেটা পিছিয়ে ১৪ ই ডিসেম্বর করা হয়। তারপর নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানে দুইজন বাঙালি বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ছিলেন। কিন্তু বিচারপতি দত্ত মামলার শোনার আগেই সরে দাঁড়ান। তাই শুনানি হয়নি। এবার জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী নতুন বেঞ্চ গঠন করা হবে। সুপ্রিমকোর্টে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৬ই জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ভারতীয় নোটে কিছু লেখা থাকলেই বাতিল! RBI Clean Note Policy নতুন নিয়ম জেনে নিন।
এক্ষেত্রে সরকারী কর্মীরা জানাচ্ছেন, রাজ্য রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়েছে, কিন্তু সরকারী কর্মীদের বেতনের জন্য যে বরাদ্দ কৃত টাকা, এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অনেক টাকাই নাকি খরচ হয়নি। আর সেই টাকায় সহজেই Dearness Allowance এর কয়েক কিস্তি মিটিয়ে দেওয়া যেত। তবে রাজ্য কেন ডিএ দিলো না, কিম্বা অর্থনৈতিক কারন টা যে ধোপে টিকবেনা, অভিযোগ কর্মীদের।
Income Tax সংক্রান্ত আপডেট, নতুন স্ল্যাবে সরকারী কর্মীদের কি হবে?
এই প্রসঙ্গে মামলাকারী আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জী জানিয়েছেন রাজ্য হেরে যাবে জেনেই অহেতুক কারন দেখিয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত করছে। কিন্তু এবার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আগামী ৩ দিন পরেই সুফল মিলতে শুরু করবে। আর ৩%, ৬% DA দেওয়ার গুজব রটিয়ে রাজ্য সরকারী কর্মীদের মনোভাব বোঝা কার্যত একপ্রকার জলা মাপার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই ডিএ মামলা এবার শেষের পথে।
Written by Rajib Ghosh.
Jodi S.C.r verdict employee der favour e jai ebong govt. verdict na mane,sekhetre ki habe ?
DA না দিয়ে দিয়ে বোঝা বেশি করে ফেলেছে। সেটা তো সরকারী কর্মীদের দোষ না। ঐসব বিভিন্ন প্রকল্প, যোজনা বন্ধ করে, বেশী করে চাকরী দিলে, পেট্রোল,ডিজেলের ও সারের দাম কমিয়ে দিলে এবং ফ্রিতে জল সেচের ব্যবস্থা করে দিলেই সকলের ব্যবসা, গাড়ীঘোড়া, আবাদ্, নিজের টাকায় সাইকেল কেনা, বাড়ী বানানো ইত্যাদি সবকিছু ভালোভাবে চলবে। কাউকে ভিক্ষিরি হয়ে বাঁচতে হবে না।