প্রাথমিক শিক্ষকদের কি কি ছিল সুবিধা আর কোন সুবিধাগুলি বন্ধ হল, জেনেনিন ।
পশ্চিমবঙ্গের সকল প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য খারাপ খবর। নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আর এই সুবিধা পাবেন না। বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমান সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ট্রান্সফার এর বিষয়ে নজরদারি চালাতে শুরু করে। এরপর ২০১২ সালে, ২০১৪ সালে এবং ২০১৭ সালে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা সংঘটিত হয়।
সরকারি কর্মীদের জন্য এবার ট্রেন ফ্রি করে দিলো সরকার, লাগবে না আর টিকেট।
কিন্তু বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে পোস্টিং হয় অনেকেরই। আবার শোনা গেছে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন অন্য জেলায়। ফলে সেই সকল প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয় যাতায়াতের ক্ষেত্রে। কারণ এতে ক্লাসের ব্যাঘাত হচ্ছিল।
কিছু কিছু ট্রান্সফার হলেও বৃহত্তরভাবে তেমন কোন সক্রিয় ট্রান্সফার হয়নি। পরবর্তীকালে এই বর্তমান সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে। পরবর্তীকালে ২০২১ সালে একটি উৎসশ্রী নামের পোর্টাল চালু করে। সেই পোর্টালের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অনলাইনে এই ট্রান্সফার চালু হয়।
এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি অপশন রাখা হয়। জেনারেল, মিউচুয়াল এবং মেডিকেল- এই তিন পদ্ধতিতে
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে যে, এই উৎসশ্রী পোর্টালে বেশ কিছু সংশোধন আনা হতে পারে। কারণ, এখানে ৫ বছরের একটি লক-ইন পিরিয়ড থাকার ফলে অনেক প্রাথমিক শিক্ষক মিউচুয়াল ট্রান্সফার পাচ্ছেন না। এছাড়াও আরো অন্যান্য নতুন নিয়মের সংযোজন হতে পারে বলে খবর।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ট্রান্সফার চালু করা হয়। তবে এখনো অনেক প্রাথমিক শিক্ষক এরই ট্রান্সফার নেওয়া পেন্ডিং হয়ে আছে। এর মধ্যেই উৎসশ্রী পোর্টাল আপাতত বন্ধ করা হল। এর কারণ কি?
সম্প্রতি আদালত ১৮৭ জন যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ করতে বলেছে। কারণ এই সকল প্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে মামলা করেছিলেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেই জন্যও আপাতত এই উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ রাখা হতে পারে। কারণ এর ফলে সঠিক শূন্যপদের সন্ধান পাওয়া যাবে।
২০১৪ সালের এই প্রার্থীরা ৬টি ভুল প্রশ্নের জন্য বাড়তি নম্বর পেয়েছেন। যার ফলে প্রথমে এরা টেট অনুত্তীর্ণ হলেও পরে উত্তীর্ণ হয়েছেন। অভিযোগ ছিল যে, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এদের নিয়োগ স্থগিত রেখেছে এই বর্তমান রাজ্য সরকার। কিন্তু এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এখন আর কেউই উৎসশ্রী পোর্টাল ব্যবহার করতে পারবেন না।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তার রায়ে বলেছেন, পুজোর আগে এদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ভবিষ্যতের শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে এই সকল প্রার্থীদেরকে। আদালতের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংসদ।
রাজ্যের এই 1টি Scheme এ আবেদন করলেই মিলবে নিজের এলাকায় চাকরি।
আগামী 19শে সেপ্টেম্বর সকল নথি সহকারে এই সকল প্রার্থীদের ডেকে পাঠিয়েছে পর্ষদ। সেখানে তাদের নথিপত্র যাচাই হবার পর নিয়োগ করা হবে। এমন আরো আপডেট পেতে আমাদের পেজটির সাথে থাকার অনুরোধ জানাই। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.