চলছে হলি, দোল ও শবে বরাত এর মৌসুম, রাজ্য সরকারী কর্মী ও শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের ছুটি চলছে। আর এরই মধ্যে একাধিক দপ্তরের সরকারী কর্মী ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) থেকে জরুরী ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারি করেছে। কি নির্দেশিকা এসেছে এক নজরে দেখে নিন।
১) স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের ছুটি বাতিলঃ
রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসে পর পর শিশুর মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ১৫ দফা অ্যাডভাইসরি প্রকাশ করেছে। আর এবার, অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সমস্ত মেডিকেল কলেজ সহ সমস্ত সরকারী হাসপাতালের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, হাসপাতাল সুপার, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডেপুটি সুপার, শিশুরোগ, শিশুরোগ ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ, শিশুদের শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত সমস্ত সরকারি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী ও সাধারণ কর্মীদের ছুটি সোম বার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাতিল করা হয়েছে।
না জানিয়ে কোনও কর্মী CL নিতে পারবেন না। একান্তই ছুটির প্রয়োজন হলে সেই দপ্তরের কর্তব্যরত আধিকারীকের অনুমোদন হলে তবেই Leave নিতে পারবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং পরিবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে। গতকাল স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২) হাই স্কুলের শিক্ষকদের ছুটি বাতিলঃ
এদিকে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই সংসদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি তুঙ্গে। তবে SSC মামলায় কয়েকশো শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটিতে কর্তব্যরত থাকতেন। সেই কারনে শিক্ষক ঘাটতি হওয়ার আশংকা থেকে যাচ্ছে। শিক্ষক ঘাটতি হলে প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী স্কুল থেকে শিক্ষকদের ডিউটির দ্বায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তাই পরীক্ষার দিনগুলোতে শিক্ষকদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ এসেছে। ছুটির প্রয়োজন হলে বিদ্যালয় পরিদর্শকের অনুমতিক্রমে ছুটি নিতে হবে।
আরও পড়তে ক্লিক করুন, পশ্চিমবঙ্গে পেনশন বন্ধ? মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর কি জানা গেল?
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য জুড়ে সাজো সাজো রব। অতিমারীর পর এই প্রথম পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হচ্ছে। যদিও এই পরীক্ষার্থীরাই মাধ্যমিকে অতিমারীর কারনে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই অনেকের মনে ভয় থাকতে পারে। আর এই পরীক্ষা ভালো করে কিভাবে দেবেন, জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
ক্লিক করুন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করতে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখ।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারী কর্মীদের ডিএ আন্দোলন চরম পর্যায়ে গিয়েছে। গত ৬ই মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর ডিএ, পেনশন ও ছুটি নিয়ে বিবৃতির পর, সরকারী কর্মীদের সাথে সাথে রাজ্যের সমালোচনায় বিরোধীরাও। আগামী ১০ই মার্চ রাজ্য জুড়ে ডিএ ধর্মঘট। আর এই ধর্ম ঘটের নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি ও বাম দলগুলো। এই পরিস্থিতিতে ১০ মার্চ সরকারী পরিষেবায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে আপডেট পেতে সঙ্গে থাকুন।
এবার রেশন দোকান হবে ব্যাংকের মতো, টাকা তোলা, জমা, অনলাইন ব্যাংকিং সব করা যাবে।