School Teacher – শিক্ষকদের নিয়ে প্রকাশিত খবর ঘিরে শোরগোল নেটদুনিয়ায়।
এই মহুর্তে নেট দুনিয়ায় আলোচনার শীর্ষবিন্দু শিক্ষকদের (School Teacher) নিয়ে। সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায়, শিক্ষকদের নিয়ে যে ট্রলিং চলছে, সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই মুহুর্তে সেই লিস্টে নাম লেখালো আরেকটি বিজ্ঞাপন।
নারী স্বাধীনতার কথা মুখে বলা হলেও অধিকাংশ মহিলারাই যে আর্থিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত পাত্রের খোঁজে নিয়মিত খবরের কাগজ এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে নিজের বায়োডাটা তুলে ধরেন, সেটা বর্তমান সময়েও বিরাট পরিমাণে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। (School Teacher)
অর্থাৎ মহিলারা একটা সরকারি চাকুরিজীবি পাত্রের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারলেই জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত রসদটুকু তারা জোগাড় করতে পারবেন, তাই নিজের বায়োডাটা তুলে ধরে ভালো পাত্রের খোঁজ করতে থাকেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কোনো নারী আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও যদি সেই অর্থে সচ্ছল নয় এমন কোনো পাত্রকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার সাহস না দেখান, তাহলে তার থেকে একটা জিনিস প্রমাণ হয়ে যায়, অধিকাংশ নারীরাই পাত্র পাত্রীর বিজ্ঞাপনে অনেকটা কর্মসংস্থানে নিজেকে চাকরিপ্রার্থীর মত করে নিজেকে তুলে ধরেন একটা নিশ্চিত চাকরি পাওয়ার লক্ষ্যে।
লটারি কাটার গোপন কৌশল, এই নিয়মে একবার লটারি কেটে দেখুন, জ্যাকপট লেগে যাবে।
সেই চাকরিটি হলো, একটি সরকারি চাকুরিজীবি পাত্রের সঙ্গে জীবনসঙ্গী হিসেবে আবদ্ধ হওয়া। এতদিন সরকারী চাকুরীজীবী পাত্রের মধ্যে শিক্ষকের (School Teacher) চাকরি করেন, এরকম পাত্রের চাহিদা যথেষ্ট বেশি ছিল। তাদের সামাজিক সম্মান এবং মর্যাদার বিষয়টি অনেকেই মনে করত। কিন্তু বর্তমানে SSC এবং TET-এর অনিয়মের অভিযোগে বহু শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশে 269 জন শিক্ষক চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে।
রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল হয়েছে। মামলাকারীকে সেই চাকরি দেওয়া হয়েছে। আদালতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (School Teacher) অভিযোগে মামলা চলছে। সেই মামলায় শিক্ষকদের (School Teacher) অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে ফের ভেরিফিকেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন শিক্ষকের চাকরি থাকবে, আর কোন শিক্ষক বাতিল হয়ে যাবে, এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরগরম।
এদিকে এই প্রসঙ্গে নেটদুনিয়ায় একটি বিজ্ঞাপনকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাত্রের খোজে পাত্রী বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। পাত্রী সরকারি চাকরি করেন। অথচ তার সরকারি চাকুরীজীবী পাত্র চাই। কর্মসূত্রে থাকেন ধুপগুড়িতে। বাড়ি তার উত্তর দিনাজপুর। 32 বছর বয়সী ওই পাত্রী উত্তরবঙ্গ সংলগ্ন এলাকার সরকারি চাকরিজীবী পাত্রের খোঁজ করছেন। কিন্তু সেখানে একটি বিশেষ শর্ত দেওয়া রয়েছে, শিক্ষকের চাকরি করা পাত্র চলবে না অর্থাৎ পাত্রের তালিকায় শিক্ষকদের প্রবেশ নিষেধ।
চাপে পড়ে বিদ্যুৎ বিলের দাম কমালো রাজ্য সরকার, কত কমলো দেখুন
এই বিজ্ঞাপন পোস্ট হওয়ার পর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, এতদিন যে পাত্রীদের কাছে শিক্ষক পাত্ররা মোস্ট এলিজিবল ছিলেন, তাদেরকে আর বর্তমানে প্রার্থীরা সুপাত্রের তালিকায় রাখছেন না। একেই বোধহয় বলে খেলা ঘুরে যাওয়া। আরেক নেট নাগরিক বিজ্ঞাপনটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, কারণ যাই হোক না কেন, মনে হচ্ছে যেন কেউ মধুর প্রতিশোধ নিচ্ছেন।
এবার ছুটি না নিয়ে, জমিয়ে রাখলে টাকা পাবেন সমস্ত কর্মচারী
এতদিন যে সমস্ত শিক্ষক জ্যাঠা, দাদা, কাকুরা গদগদ ভাব নিয়ে মাটিতে পা ঠেকাতেন না, এই ভিডিওটি দেখার পর তাদের কি প্রতিক্রিয়া হয়, সেটাই জানার অপেক্ষায় রয়েছি। টু মাচ ফান।
নেট দুনিয়ায় শোরগোল পড়লেও পাত্রীটি কেন শিক্ষকতার চাকরি করা পাত্র চাইছেন না, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে নেটদুনিয়ায় নিজেদের মতো করে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
Written by Rajib Ghosh.
5 টাকার এই পুরোনো নোট বেচে লাখ টাকা পান, প্রতারণা ছাড়া কিভাবে বেচবেন দেখুন।