তবে কি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা নয়া বছরের শুরুতেই DA (Salary Hike) পেতে পারেন? এরকম একটা সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা (Salary Hike) করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, DA নিয়ে রাজ্য সরকার অবহেলা করছে এমনটা নয়। তবে ডিএ দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটা অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার কৌশল নিলে সেটা সঠিক হবে না। তাতে কোনো লাভ হবে না কারো। রাজ্যের তরফে সরকারি কর্মীদের যে ডিএ দেওয়া হচ্ছে না এই দাবিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একাংশ যে ডিএ নিয়ে কৌশলে সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন, তাতে কোনো লাভ নেই বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
DA Salary Hike News in West Bengal.
এদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে। সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এবার শুনানি শুরু হবে। ডিএ মামলার ফয়সালা হবে সুপ্রিম কোর্টেই। কিন্তু তার মধ্যে এই জল্পনাকে ঘিরে সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন। সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একাংশের দাবি অনুযায়ী, গত বছর ১ জানুয়ারি রাজ্য সরকারের তরফে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার হয়তো ১ জানুয়ারি সরকার ফের ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করতে পারে।
রাজ্য যদি সত্যিই DA ঘোষণা করে, তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৬% হারে DA পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এই মুহূর্তে ৩৮ শতাংশ হারে Dearness Allowance পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র পার্থক্য দাঁড়াবে ৩২ শতাংশে। রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ মামলায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানকার নির্দেশে অস্পষ্টতা রয়েছে। আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করা হোক।
DA মামলার মধ্যেই বর্ষশেষে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বড় উপহার নবান্নের, এবছরেই পাবেন।
কিন্তু হাইকোর্ট নির্দেশ বহাল রাখায় সুপ্রিম কোর্টে যায় সরকার। সেখানে SLP দাখিল করা হয়। অভিজ্ঞ মহলের মতে, যদি রাজ্য সরকারের তরফে ৩ শতাংশ DA ১ জানুয়ারি ফের ঘোষণা করা হয়, তাহলে সরকারি কর্মচারীদের DA দেওয়ার বিষয়ে সরকার যে একেবারে অনাগ্রহী নয়, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। রাজ্যজুড়ে বহু সামাজিক প্রকল্প চলছে। সেখানে সরকারের একটা ব্যাপক পরিমাণে বরাদ্দ রয়েছে।
রবিবারেও খোলা থাকবে স্টেট ব্যাংক, ছুটির দিনেও পরিষেবা পাবেন SBI গ্রাহকেরা।
ফলে শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য DA দিতে গিয়ে যদি প্রচুর টাকা বরাদ্দ করতে হয়, তাহলে সামাজিক প্রকল্পে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই প্রথমেই রাজ্য সরকার চাইছে সামাজিক প্রকল্পগুলি যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে পারে। কারণ সাধারণ মানুষ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন। যদিও ১ জানুয়ারি ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে শোনা গেলেও সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সরকারের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সংবাদ সুত্র, হিন্দুস্তান টাইমস ও টিভি 9বাংলা।
Written by Rajib Ghosh.
পশ্চিম বঙ্গের কর্ম চারীরা কি সমাজের জন্য শত্রু?ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা এবং তাদের জীবন বাজি রেখে কাজ করতে হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্য সরকার পারলে এরাজ্য পারবে না কেন? বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প করার জন্য মানুষ কত দ্রুত অলস হয়ে গেছে। কাজের বিনিময়ে দিলে রাজ্যের উপকার। তার জন্য চাই কল কারখানা শিল্প চাকরি।যারফলে রাজ্য সরকার ওরাষ্ট্র উন্নয়ন হবে। এভাবে চললে কিছুদিন বাদে সবাই অর্থ সঙ্কটে পড়বে।
রাজ্য সরকার কি কর্মচারীদের দয়া করে DA দেন ? ওটা অধিকার । সেই অধিকার খর্ব করে সেই টাকায় সরকারের খেলা,মেলা চলে । আর মার খায় প্রাপকরা । আর গণমাধ্যমগুলির চাটুকারীতার জন্য লজ্জা হয় ।
এত বেশি পরিমাণে ডি.এ. না দিয়ে আর ও কম দিলেই তো চলতো কারণ কর্মচারীদের আবার হজমের সমস্যা হতে পারে ?