DA কবে পাবেন সরকারি কর্মীরা? কি জানাল নবান্ন (Salary Hike Calculator)
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রসঙ্গ (Salary Hike Calculator) নিয়ে একের পর এক আলোচনা চলছে। সরকারি কর্মীরা DA পাবেন কি পাবেন না, দেওয়া হলেও কবে তারা পেতে পারেন, এই বিষয় নিয়ে একদিকে যেমন কর্মীরা আলোচনা করছেন, তেমনি জল্পনা চলছে অন্যান্য স্তরেও। তার কারণ কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া সময় সীমা প্রায় পার হতে চলেছে।
DA দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তারপরেও সেই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু এখনো পর্যন্ত সরকারীভাবে কিছুই জানা যায়নি। বর্তমানে রাজ্যের কোষাগরের যা পরিস্থিতি তাতে কর্মীদের DA মেটানো প্রায় অসম্ভব বলছেন অনেকেই। আবার হাইকোর্টের দেওয়া নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আদালত অবমাননার মামলা হতে পারে।
জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী,19 আগস্টের মধ্যে DA নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। মামলাকারী সংগঠন ইউনিটি ফোরাম জানিয়েছে, সরকারী কর্মীরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা (Salary Hike Calculator) করতে প্রস্তুত। কিন্তু কর্মীদের মৌলিক অধিকার তথা মহামান্য আদালতের নির্দেশনামা রাজ্যকে মেনে নিতে হবে।
এই বিষয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থ সচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়েছে কর্মীরা। অন্যদিকে রাজ্য যদি ডিএ (Salary Hike Calculator) না দেয় তবে সময়সীমা পার হতেই কন্টেম্প পিটিশন করতে প্রস্তুত। অন্যদিকে রাজ্য চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টে গেলেও তার জন্য কেভিয়েট দাখিল করেছে ইউনিটি ফোরাম। অন্যদিকে রাজ্য যদি কিছু শতাংশ ডিএ দিয়ে বাকিটা না দিতে চায়, তাতেও আদালত অবমানতার নালিশ জানাবে মামলাকারী সংগঠন।
মামলাকারী আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জী জানান, কেন্দ্রের সাথে ডিএর পার্থক্য ৩৪% এর মধ্যে ৩% রাজ্য দিয়েছে, বাকি ৩১% ডিএ রাজ্যকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। যদি রাজ্য তার কম ডিএ দেয় তবে সেটাও আদালত অবমাননা হবে। এদিকে সামনেই পুজো মরশুম। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য সরকার পুজোর আগে উপহার হিসাবে কর্মীদের জন্য মোট ৪ বার ডিএ (Dearness Allowance) ঘোষণা করেছে। তাই পুজোর আগে একটা ডিএ ঘোষণার (Salary Hike Calculator) আশা করছেন রাজ্য সরকারী কর্মীরা। আর হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া ডেড লাইন ও সেই জল্পনার রসদ যোগাচ্ছে।
অন্যদিকে সংবাদ সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আপাতত ২টি পথই খোলা রাখছে রাজ্য সরকার।
প্রথমত বিদ্যুৎ কর্মীদের যেমন কয়েক কিস্তিতে ডিএ দেওয়ার (Salary Hike Calculator) নির্দেশ দিয়েছে আদালত, সেই আবেদন জানাতে পারে। আর ৩১% ডিএ দিতে রাজ্যের কত খরচ হবে, সেই হিসাব ও ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে অর্থ দপ্তর। কিন্তু রাজ্য এই মুহুর্তে কিস্তিতে ডিএ দেওয়া যায় কিনা তার পরিকল্পনা করছে। আর তার জন্য আইনি পথটি ও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমে কিছুটা ডিএ এর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অর্থাৎ কিছু শতাংশ ডিএ দিলে কর্মীদের কি প্রতিক্রিয়া হয়, সেই জল মাপা হচ্ছে না তো? স্যোশাল মিডিয়ায়, প্রশ্ন তুলছেন খোদ রাজ্য সরকারী কর্মীরাই।
এমনকি বকেয়া ডিএ সরাসরি না দিয়ে PF একাউন্টে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা (Salary Hike Calculator) করছে। যদি রাজ্য সেই পথে হাটে, সেই দিক দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত কর্মীরা, তেমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে পেনশনারদের যেহেতু পিএফ নেই তাই তাদের নগদে মেটাতে হবে।
হাতে মাত্র ৯ দিন, আর এই সময়ে রাজ্য কি আদৌ ৩১% ডিএ দেবে? প্রশ্ন থেকে যায়। নুন্যতম ১০% ডিএ দিতেও যে খরচ (Salary Hike Calculator) লাগবে, সেই অর্থ দিতে রাজ্য কি প্রস্তুত? নাকি ফের কন্টেম্পট মামলা শুরু হবে? আর কন্টেম্পট শুরু হলে সেটাও কি ২, ৩ বছরে শেষ হবে? শেষে পুনঃ মূষিক ভব! এর মত অবস্থা হবে না তো? আপনার মতামত নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
Written by বকলম.
পয়শ্চিমবঙ্গের ছুটির লিস্ট থেকে দুটি ছুটি বাতিল, দেখুন কোন কোন দিন
যদি বকেয়া DA এবং এরিয়ার না দেয় সরকার খুব তাড়াতাড়ি downfall এর দিকে এগিয়ে যাবে। সব কিছুর সীমা আছে কিন্তু রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে সব লিমিট ক্রস করে গেছে। কত বয়স্ক মানুষ আছেন যারা পেনশন বা ফ্যামিলি পেনশন পান তারা অনেক আশায় বুক বেঁধে আছেন হয়তো এবার পুজোর আগে বকেয়া পেলে একটু আনন্দের মুখ দেখবে। মানুষের মনে DA এরিয়ার নিয়ে টালবাহানা প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে সরকারের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা অনীহা দেখা দিয়েছে আর নেতা মন্ত্রীদের কোটি কোটি টাকা চুরি তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে এবং সেই সুযোগ বিরোধী দল কাজে লাগাচ্ছে। যদি সত্যি DA না দেওয়া হয় তাহলে হয়তো মানুষ বিকল্প খুঁজবে। সরকারের উচিত অবিলম্বে এগুলো মিটিয়ে দেওয়া।
পেনশনার ও ফ্যামিলি পেনশনারদের অবিলম্বে আপ টু ডেট ডিএ অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হোক।সরকারের আর্থিক অসুবিধা এখানে বিবেচ্য হবেনা কারণ অনেকদিন টালবাহানা করেছে।হাইকোর্টের রায়বিরূদ্ধ কিছু করতে গেলে পুনরায় হাইকোর্টের কাছেই আবেদন করতে হবে।
D.A. নিয়ে ছেলেখেলা নয়।মিটিযে দেওয়া টাই ভালো এবং সেটা নগদ G.P.F. এ জমা করা চলবে না। কারণ জমা টাকা পাওয়ার কোনো নিয্চযতা নেই।
রাজ্যের সরকারি কর্মচারী ও পেনশন প্রাপকদের সংখ্যা কমবেশি ১০লক্ষ । ১০ লক্ষ পরিবার ধরলে হয়ত ৩০ লক্ষ ভোটার। সরকারি কর্মচারীদের ১৮-২০ শতাংশ বর্তমান সরকারকে ভোট দেন ( পোষ্টাল ব্যালটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী) । পশ্চিমবঙ্গের মোট ভোটার প্রায় ৬ কোটি। ৮০% ভোট দিলে হয় ৪.৮ কোটি। সুতরাং ৬ লক্ষ সরকারি কর্মচারীও যদি ভোট না দেন ৪৬-৪৭% প্রাপ্ত ভোটে সরকার গড়া যাবে। প্রসঙ্গত ১০ কোটি রাজ্যবাসীর ৪০লক্ষ ( ১০×৪) মানুষের জন্য সরকার বেতন ও পেনশন বাবদ বাজেটের ৪১% খরচ করছে। ১৮% ঋণ পরিশোধ করতে আর ৫-৬% প্রশাসনিক খরচ। অর্থাৎ ৩কোটি ৬০লক্ষ মানুষের জন্য ৩৫% খরচ করা হয় পরিকাঠামো নির্মাণ সহ।
একজন অবসর প্রাপ্ত হিসেবে বলতে চাই , মানবিক মূল্য বোধ হারিয়ে ফেলবেন না । জনপ্রিয় সরকারের চৈতন্য হোক্ । সব জিনিষ পত্রের দাম লাগাম ছাড়া । দয়া করে লাগাম ছাড়া অমানবিকতা ত্যাগ করুন ।
Order iholona
PF এর সঙ্গে DA জুড়ে দিলে বর্তমানে যা দ্রব্যমূল্য তা সরকারি কর্মচারিরা কিভাবে চালাবে। নগদ টাকা দেওয়া হোক।
সমস্ত রাজ্য সরকার তার কর্মীদের ডিএ দিচ্ছে আর পশ্চিমবঙ্গের সরকার কেন পারবে না ? পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্য সরকার কি ভারতের বাইরে ? শুধু ধাপ্পাবাজি আর বদমাইশি
Eta banglar lojja, hoker taka atke rekhe horilut cholche. Ekoda Bihar State er thekeo jaghana rajniti, sob nich monnata lokgulo rajya sason korche. Kormocharider beton kathamoi jekono protisthaner ogrogotir proman kore. Thik, erato sob murkhara gadite boseche sudhu lute pute khete, Je mukhayamuntri kukurer songe tulana kore se manush hote pare? Sudhu manush dhari mukhash porohot manush matra.
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল তথা মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসেই সরকারি কর্মীদের অসম্মান করতে শুরু করেন। সরকারি কর্মীদের বৃহৎ অংশ বামপন্থী এই অজুহাতে। তারপর ভোটের অঙ্ক শুরু হয়। সরকারি কর্মি, শিক্ষা কর্মী, পঞ্চায়েত ও পুরকর্মী এবং সকল পেনশনার ও ফ্যামিলি পেনশানার মিলিয়ে দশলক্ষ ভোটার হতে পারে।তাদের পারিবারিক ভোট মিলিয়ে সব সমেত ২০/২৫ লাখ ভোটার হতে পারে। সমাজে এমন ছবি তুলে ধরা হয়েছে প্রচ্ছন্ন ভাবে যে রাজ্যের ৯০% ভোটার উপরোক্ত কর্মচারীদের উপর ক্ষুব্দ। সব ক্ষেত্রে তারা দায়ী না হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের একাংশ ভীষণ ভাবে দায়ী। ঘুষ নেওয়া, সময়ের কাজ সময়ে না করা, স্কুল কলেজের পঠন পাঠানকে অবহেলা করে কোচিং চালিয়ে অবৈধ রোজগার, চিকিৎসকরা হাসপাতালের কাজে ফাঁকি দিয়ে নানা জায়গায় খেপ খেটে উপার্জন করে আয়কর ফাঁকি দেওয়া– বর্তমানের ভোট সর্বস্ব সরকার জনগনের ক্ষোভ ধরতে পেরে ঐ সব কর্মীদের প্রতি উদাসীন হতে পেরেছে। নিয়োগ বন্ধ করেছে, মহার্ঘ ভাতা বন্ধ করেছে কেবল নানা ভাবে ছুটির সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছে।
ভারতের কোন রাজ্যে সরকারি বা পেনশানারদের এমন দুরাবস্থা ঘটেনি।তবে এর জন্য প্রাথমিক ভাবে বামফ্রন্ট দায়ী ছিল। তাদের শাসনে ত্রিপুরার কর্মীদেরও এমন অবস্থা হয়েছিল। এখন সেখানকার কর্মীরা অনেকটা স্বস্তিতে। সরকার যাদের বেতন দেয় তাদের আবশ্যিক ভাবে সরকারি কর্মির মর্যাদা দিতে হবে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে বিশুদ্ধ সরকারি কর্মি ২ লক্ষেরও কম।বাম সরকার রাজনৈতিক সুবিধা পাবার জন্য ১৯৮১ সালে বেতন কমিশনে পঞ্চায়েত, পুরসভার, শিক্ষাকর্মিদের বেতনের কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে। কিন্তু তাদের দলীয় ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে তাদের সরকারি কর্মি হবার সুযোগ দেয় নি।
যাই হোক মহার্ঘ ভাতার জন্য বামপন্থী ইউনিয়ানগুলির এই লড়াইকে দুহাত তুলে অভিনন্দন জানাই। তৃণমূল প্রভাবিত ইউনিয়ানগুলির সমর আত্সমমর্পনকে ঘৃণা করি। সরকার মহার্ঘ ভাতা প্রদান করলে তখন দুহাতে নেবে। সীমিত ক্ষমতায় দূরন্ত লড়াই করেছে মামলাকারীরা