Advertisement
Private Tuition
Advertisement

Private Tuition – বন্ধ হয়ে গেল স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন।

স্কুলগুলিতে চাকরি করার পরেও নিয়মিত প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) করে থাকেন স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ অভিযোগ বার বার আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে এই চিত্রটি দেখা যাচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন প্রতি মাসে নেহাত কম নয়। তারপরেও তারা উপরি ইনকাম করার জন্য প্রাইভেট টিউশন করে থাকেন।

Advertisement

এর ফলে বহু শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা যারা প্রাইভেট টিউশন করে রোজগার করার চেষ্টা করেন, তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে রীতিমত প্রমাণ সমেত অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারপরেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।

Advertisement

সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে আর কোনো স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) করতে পারবেন না। সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, মডেল স্কুল, এবং এন আই জি এস গুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা কখনোই প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না। এমনকি কোনো কোচিং সেন্টারেও তারা পড়াতে পারবেন না।

Advertisement

ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানানো হয়েছে, এবার থেকে কোনো স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না।

যদি সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে কোনো শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেই ক্ষেত্রে ঐ শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি চলে যেতে পারে। আটকে যেতে পারে তার পেনশন।

EK24 News

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় খবর। ডিএ বাবদ কত টাকা পাবেন

রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। গৃহ শিক্ষকদের সংগঠনের তরফে একাধিকবার এই অভিযোগ করা হয়েছে। এটা ঠিক, সরকারি চাকরি করার পরেও উপরি ইনকামের লক্ষ্যে প্রাইভেট টিউশন করার মত কাজটি শিক্ষকদের কাছ থেকে কখনোই আশা করা যায় না।

Advertisement

তবুও তারা এই কাজটি চালিয়ে গিয়েছেন। বাম জমানায় আইন করে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়নি। বহু শিক্ষক শিক্ষিকা বহাল তবিয়তে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে গিয়েছেন। এই বিষয়ে মামলা চলছে আদালতে।

এই অভিযোগে গৃহ শিক্ষকদের একটি সংগঠন ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। তারপরেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাইট অফ চিলড্রেন টু ফ্রী এন্ড কম্পালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট ২০০৯ এর আইনের আওতায় এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

যদি কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা এই নির্দেশিকা অমান্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
Written by Rajib Ghosh.

Advertisement

বহু প্রাথমিক শিক্ষক সব ডকুমেন্ট দিতে পারলেন না, চাকরী খোয়ানোর সম্ভাবনা বাড়লো

Advertisement
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement