রাজ্যের পনেরো লক্ষ জনগনকে ফ্রিতে হাঁস, মুরগি দেবে সরকার, দেখুন কিভাবে পাবেন

Poultry Distribution – উৎপাদনশীলতা ও উন্নয়ন এবার রাজ্যের দোরগোড়ায়, নতুন পদক্ষেপের পথে রাজ্য

রাজ্যের সাধারন মানুষ কে স্বনির্ভর করতে পশ্চিমবঙ্গের নতুন পদক্ষেপ। এবার রাজ্যের পনেরো লক্ষ জনগনকে ফ্রিতে হাঁস, মুরগি দেবে সরকার (Poultry Distribution), দেখুন বিস্তারিত।

Advertisement

‘সানডে হো ইয়া মানডে, রোজ খাও আন্ডে’, এই কথাটির সঙ্গে আমরা অনেকেই বহুদিন আগে থেকে পরিচিত। আর শুধু পরিচিত হলেই হবে না, চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, ডিম মানব দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে আরও নানা রোগ থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই শরীরে তেমন কোন অসুবিধে না থাকলে ডাক্তারের প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া যেতেই পারে।

Advertisement

তাই প্রতি বছরের মতো এ বছরেও রাজ্যে ডিমের উৎপাদন এবং জোগান বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিলেন একটি বড় পদক্ষেপ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় মোট কতজন উপভোক্তা আছেন এবং তাঁদের জন্য কত সংখ্যক ছানা বরাদ্দ করা হবে তা নির্ধারণ করেছে। এ বছর প্রায় ১৫ লক্ষ উপভোক্তার হাতে হাঁস ও মুরগির বাচ্চা তুলে দেওয়া হবে।

অর্থাৎ, সব মিলিয়ে দেড় কোটি ছানা বণ্টন হবে গোটা রাজ্যে। প্রতিবারের মত এবারেও গোটা রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। তবে জানা গেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সবথেকে বেশি উপভোক্তা রয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে এই জেলার উপভোক্তাদের জন্য হাঁস ও মুরগির ছানার সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি পরিমানে রাখা হয়েছে।

Advertisement

জেলার এক আধিকারিকের কথায়, গত বছরের তুলনায় এ বছরে কমপক্ষে চার লক্ষ ছানা বেশি দেওয়া হবে (Poultry Distribution) দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। অনেকেই হয়তো জানেন, গরম বাড়লে পাখিদের মধ্যে বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। তার ফলে সদ্যজাত বাচ্চা থেকে বয়স্ক- যেকোনো বয়সের হাঁস এবং মুরগিও মারা যেতে পারে। সেই সময় স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতাদের মধ্যে একটি আতঙ্কও কাজ করে।

Advertisement

অনেকেই মনে করেন অসুস্থ হাঁস বা মুরগির ডিম বা মাংস খেলে তাঁর দেহেও সেই রোগ বাসা বাধবে। তাই অনেক সময় দেখা গেছে, সেই সময় স্বাভাবিকভাবেই ডিম ও মাংস বিক্রি একটু কমে আসে। যাইহোক, গত বছরের তুলনায় এ বছরে ছানার (Poultry Distribution) বরাদ্দ সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।

Advertisement

আশা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে একাধারে রাজ্য ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতিও আরও উন্নত (Poultry Distribution) হবে। আজকের একবিংশ শতকে এসেও এখনও অনেক স্থানে মেয়ে মহিলাদের নিচু চোখে দেখা হয়। কর্তব্যরত আধিকারিকরা মনে করছেন এই পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রামের গরিব ও দুঃস্থ মহিলাদের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হবে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এ বছর প্রত্যেক উপভোক্তা ১০টি করে হাঁস ও মুরগির ছানা (Poultry Distribution) পাবেন। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, একদিন বয়সের ছানা কিনে তা প্রথমে প্রাণী পালকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরাই সেই সদ্যজাত ছানাগুলিকে ২৮ দিন পর্যন্ত বড় করে তারপর উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেবেন। প্রসঙ্গত, এবছরে হাঁসের থেকে মুরগির ছানার উপভোক্তার সংখ্যা বেশি রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন, হিসেবি সংসারে খরচা বাঁচাতে জেনে নিন সেরা রিচার্জ প্ল্যান কোনটি

অর্থাৎ সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ১৩,৪৬,২৪০ জন মহিলাকে মুরগির ছানা দেওয়া হবে। অন্যদিকে হাঁসের ছানা দেওয়া হবে মোট ১,৪৬,৯৩৮ জন (Poultry Distribution) উপভোক্তাকে। হাঁস মুরগির ছানা বন্টন দক্ষিণ ২৪ পরগনা সবচেয়ে এগিয়ে থাকলেও, মুর্শিদাবাদ হাঁস ও মুরগি ছানা বণ্টনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে। এছাড়া অন্যান্য জেলাগুলোতেও কমবেশি এই সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানা গেছে।

এমন আরও নিত্যনতুন খবরের আপডেট পেতে ফলো করতে ভুলবেন না এই ওয়েব পোর্টালটি।
Written by Manisha Basak.

Advertisement

আরও পড়ুন, বাড়িতে বসে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? জানুন বিস্তারিত

আরও পড়ুন, এই বিশেষ পুরনো কয়েন বা নোট থাকলে হতে পারেন রাজার রাজা, কিভাবে জানুন

Leave a Comment