যারা এই কাজ করবেন তারা বাংলা আবাস যোজনার টাকা পাবেন না, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নতুন নিয়ম।

তিন ধাপে ভেরিফিকেশনের পর অবশেষে বাংলা আবাস যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনার সংশোধিত তালিকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যাদের তাদের উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ, বরাদ্দ অর্থেই তৈরি করতে হবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি উপভোক্তাদের নিজের পকেট থেকে দেওয়া যাবে না কোন টাকা। পাশাপাশি জানানো হয়েছে বাড়ির আয়তনও কোনও ভাবেই ২৭০ বর্গফুটের বেশি হবে না।

Advertisement

আবাস যোজনার নতুন নিয়মঃ

এই নিয়ম যাতে কার্যকরী হয়, সেদিকে নজরদারি করার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি বিশেষ দলও। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার নানা অজুহাতে বার বার আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে। এ বার যাতে কোনও রকম অজুহাত খাড়া করতে না পারে, তাই জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’’ তবে এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শনকালে সাধারন মানুষ জিজ্ঞেস করেন, মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় এক তলা বাড়ি হয় কিভাবে, সেখানে সাধারন মানুষ যদি তাতে একটু খরচ দিয়ে আরেকটু ভালো করতে চায়, তবে ক্ষতি কি?

Advertisement

সরকারের দেওয়া ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় আদপেই বাড়ি তৈরি সম্ভব কি না, তা নিয়ে সন্দিহান উপভোক্তাদের একাংশ। সম্প্রতি আবাসের কাজ নিয়ম মেনে হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে। মালদহ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যের কাছে নিজেদের এমন আশঙ্কা কথা জানিয়েছেন অনেকে। এরপরেই এমন সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।

এর আগে অবধি আবাস যোজনায় সরকারি অনুদানের সঙ্গে নিজস্ব তহবিল যোগ করে বাড়ি তৈরি করতে পারতেন উপভোক্তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সরকারি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এর ফলে বিশালাকার প্রাসাদের চেহারা নিয়েছে আবাস যোজনার বাড়ি! বছরখানেক আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সমীক্ষা চলাকালীন এ রকম বেশ কিছু প্রাসাদোপম বাড়ির অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসায় তা নিয়ে শুরু হয় জোরদার বিতর্কও।

Advertisement

বাড়িতে বসে জিও কাস্টোমারদের ফোন রিসিভ করে মাসে 30000 টাকার চাকরি করুন।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই বছর কোনো রকম ঝামেলা যাতে না হয়, তাই আবাস প্লাস যোজনার বাড়ি নির্মাণ নিয়ে এ বার ‘অতিসতর্ক’ রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। এই নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতেই বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার।

Advertisement

 নতুন বছরে এই 3 ব্যাংকে টাকা রাখলে পাবেন সর্বোচ সুদ, দেখতে দেখতে টাকা ডবল।

আবাস যোজনার বাড়ি নির্মাণের কাজ সময় মতো শেষ হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে বলা হয়েছে প্রতি জেলার বিডিও এবং মহকুমাশাসকদের। সাথে আরও বলা হয়েছে, প্রতি মাসে প্রোগ্রেস রিপোর্ট জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছেও পাঠাতে হবে।
Written by Antara Banerjee

Advertisement
শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment