মিড ডে মিল প্রকল্প চলে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই মিড ডে মিল প্রকল্পের যথেষ্ট গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এবার সেই প্রকল্পের মধ্যে নিয়মিত আহারে পুষ্টি বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনের তরফে খাদ্য তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই খাদ্য তালিকা মেনেই সমস্ত স্কুলগুলিকে Mid-Day-Meal প্রকল্পে ছাত্রছাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।
যেহেতু শীতকাল শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে বাজারে আনাজ সবজির জোগান রয়েছে যথেষ্টই। আনাজ এর দাম একেবারে নাগালের মধ্যেই। ফলে এই সময়ে স্কুলগুলির মিড ডে মিলে যথেষ্ট পরিমাণে আনাজ সবজি ব্যবহার করা যাচ্ছে। পাশাপাশি জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মিড ডে মিলে সপ্তাহে তিন দিন ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুলকেই সেই নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মিড ডে মিল এর নতুন মেনুঃ
জেলার প্রতিটি স্কুলে সোম, বুধ এবং শুক্রবার পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হবে। এছাড়াও বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে একদিন ছাত্র-ছাত্রীদের মুরগির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে বাজারদর অনুযায়ী খুচরো বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৫ টাকা কেজি। সেখানে পাইকারি কিনলে ১০-১২ টাকা কেজি পাওয়া যাবে। ফুলকপি, বাঁধাকপি খুচরো ৫ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
যদি বেশি পরিমাণে বা পাইকারি নেওয়া যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে আড়াই থেকে ৩ টাকা করে পাওয়া যাবে। ঠিক একইভাবে সিম, মূলো, পালং শাক সহ বিভিন্ন সবজির দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে। ফলে মিড ডে মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত যেকোনো সবজির তরকারি দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরে মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য পড়ুয়াদের মাথাপিছু বরাদ্দ ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অর্থাৎ প্রাথমিকের পরবর্তী স্তরে পড়ুয়াদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ৮ টাকা ১৭ পয়সা।
এবার জেলা প্রশাসনের তরফে আগামী তিন মাস পড়ুয়াদের প্রতি সপ্তাহে তিন দিন করে ডিম দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ৭ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ পাইকারি দরে বাজার করে যথেষ্ট সাশ্রয় করতে পারছেন। সেখানে বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন Mid Day Meal প্রকল্পে তাদের পড়ুয়াদের জন্য সপ্তাহে একবার পোল্ট্রির মুরগির মাংস দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের তরফে যে খাদ্য তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে তিন ধরনের মেনু নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ডাল, ভাত, তরকারি, ডিমের তরকারি বা ডাল, ভাত,তরকারি, সয়াবিন তরকারি অথবা খিচুড়ি, তরকারি, ডিম সিদ্ধ। জেলার হরিহরপাড়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, শীতের মরশুম তাই আনাজের দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে। পাইকারি দরে বাজার থেকে সবজি কিনলে যথেষ্ট সাশ্রয় হচ্ছে।
সপ্তাহে তিন দিন পড়ুয়াদের ডিম দেওয়া হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে একদিন পোল্ট্রির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হরিহরপাড়া হাই স্কুলে প্রতিদিন গড়ে ১২৫০ থেকে ১৩০০ পড়ুয়া মিড ডে মিল প্রকল্পে খাবার খায়। এই স্কুল জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী তিন নম্বর মেনু অনুসরণ করে। আর সার সাথে আয়রন ফোলিক এসিড ত্যাব্লেট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলার নওদা বালি গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুল একইভাবে সবজির তরকারির সঙ্গে সপ্তাহে তিন দিন ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার দিন এই স্কুলে ডাল, ভাত, তরকারি এবং ডিম দেওয়া হয়েছে। নওদার সরযুবালা বিদ্যাপীঠের তরফেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই স্কুলে সোমবার দিন ডাল,ভাত, তরকারি, ডিম দিয়েছে পড়ুয়াদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানালেন, শীতকালের জন্য আনাজের দাম সস্তা।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে সস্তার মোবাইল রিচার্জ প্ল্যান করে বাজিমাত করলো BSNL.
তাছাড়া স্কুলের বাগানেও ফুলকপি, বাঁধাকপি,মূলো চাষ হয়। ফলে মিড ডে মিলের বরাদ্দ অনেকটাই সাশ্রয় হয়। সেই কারণে সপ্তাহে তিন দিন ডিম দেওয়ার পাশাপাশি একদিন করে মুরগির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলার সমস্ত প্রাথমিক স্কুলেও একইভাবে সবজির তরকারি, ডিম দেওয়া হচ্ছে। মিড ডে মিলে সপ্তাহে একদিন করে মুরগির মাংস খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশিত হলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নতুন রুটিন, কি পরিবর্তন হলো জেনে নিন।
এই প্রসঙ্গে হরিহরপাড়ার বিডিও রাজা ভৌমিক জানান, শীতকালে আনাজপত্রের দাম কম। ফলে মিড ডে মিলের পড়ুয়াদের খাদ্য তালিকায় পুষ্টি বাড়ছে। আহারের মান বাড়ছে। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে তিন দিন ডিমের পাশাপাশি একদিন করে মুরগির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা যথেষ্ট ভালো ব্যাপার।
অন্যদকে এতো কম টাকায় ৩ দিন ডিম ও গ্যাসের জোগান দিয়ে সত্যিই কি এই মেনু চালানো সম্ভব? প্রশ্ন উঠছে? এই ব্যপারে শিক্ষকদের কি মত, নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Rajib Ghosh.
অবশেষে স্কুল বন্ধ রেখে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালুর নির্দেশ।
Takata ki prosasoner bap debe?
৩০ জন ছাত্রছাত্রী তে কি মেনু হতে পারে জানালে উপকৃত হব।
Ekta eggs whole sale rate 6.50 , government dibe 5.50 paise remaining amount who will paid ,bola sahaj , extra 7₹ dile ok
All schools should have this kind of MDM structure