Leave Rules – সরকারি কর্মীদের এতে বেশ সুবিধাই হবে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য এটি একটি নতুন খবর। প্রয়োজন অনুসারে ছুটি (Leave Rules) অনেকেই নেন। কিন্তু একদিন বা এক মাসের জন্য নয়। এই ছুটি একটানা 90 দিনের ছুটি এমনকি 240 দিন পর্যন্ত ছুটি। তবে এই ছুটি শুধু মাত্র পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের। আর শুধু সব কর্মীদের জন্যই নয়, এটি শুধুমাত্র মহিলা রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তার সরকারী মহিলা কর্মীদের জন্য এই সুবিধাটি রেখেছে। এই ছুটির নাম হচ্ছে মাতৃত্বকালীন ছুটি। এই মাতৃত্বকালীন ছুটি (Maternity Leave Rules) মহিলা সরকারি কর্মীরা উপভোগ করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত কলেজ পড়ুয়ারাও এই ছুটি পাবেন।
কারণ হিসেবে হতে হবে, তার আগত গর্ভের সন্তানের প্রতিপালনে অথবা সন্তানের পরিচর্যার জন্য। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি মায়ের জন্যই বরাদ্দ রয়েছে এই মাতৃত্বকালীন ছুটি (Maternity Leave Rules).
মায়েদের অগ্রাধিকার দিয়েই এই ছুটি, তবে এই ছুটির ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আসুন তবে জেনে নেই এই পরিবর্তনগুলো ঠিক কেমন? কারণ সঠিকভাবে ছুটির নিয়ম না জেনে ছুটি (Maternity Leave Rules) নেওয়াটাও অনেকটাই বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে।
মায়েদের গর্ভকালীন (Maternity Leave Rules) অবস্থায় অফিস তথা স্কুল-কলেজ অর্থাৎ সরকারি ক্ষেত্রে যাতায়াত করাটা একটু অসুবিধাজনক হয়ে ওঠে। সেই অসুবিধা যাতে কাটিয়ে উঠতে পারেন, সেজন্য গর্ভাবস্থার শেষ কয়েকটি মাস অথবা গর্ভবতী মহিলারা মাতৃত্বকালীন ছুটি নিতে পারেন সন্তান পালনের জন্য।
এই মাতৃত্বকালীন ছুটি হিসেবে একজন মা একসাথে 90 দিন অর্থাৎ তিন মাস ছুটি নিতে পারেন। যদি গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে মিসক্যারেজ অর্থাৎ বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে তিনি ছয় সপ্তাহের ছুটি (Maternity Leave Rules) নিতে পারেন। এতদিন সরকারি মহিলা কর্মীরা এই সুবিধা নিতে পারতেন কিন্তু এখন থেকে রাজ্য সরকারের আওতায় থাকা সকল মহিলা কর্মী এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
এছাড়াও পড়াশোনার ক্ষেত্রে যারা উচ্চ মাধ্যমিকের পরেও পড়াশোনা করে থাকেন তারাও এই ছুটি নিতে পারেন। এবারের নতুন করে এই ছুটি (Maternity Leave Rules) চালু হলো ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন অর্থাৎ ইউজিসি এর তরফ থেকে। এই ছুটি নিতে পারবেন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাঠরত ছাত্রীরাও।
এতদিন পিএইচডি বা এমফিল করার বিবাহিত ছাত্রী তথা মায়েরা এই ছুটির সুবিধা ভোগ করতে পারতেন। কিন্তু স্নাতক স্তরের ছাত্রীরা এই সুবিধা (Maternity Leave Rules) পেতেন না। এবার স্নাতক-স্নাতকোত্তর পাঠরত ছাত্রীরা এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
উচ্চশিক্ষায় পাঠরত মহিলাদের বিভিন্ন রকম ছুটি সংক্রান্ত (Maternity Leave Rules) সুবিধায় ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে সবসময়ই। এছাড়াও পরীক্ষার ফরম ফিলাপ থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজের সবকিছুতেই তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
এর কারণ হলো মায়েরা গর্ব অবস্থায় বিভিন্ন রকম অসুবিধা থাকার ফলে প্রচুর শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনা আর এগোতে চান না। যাতে নারীরাও উচ্চ শিক্ষার দিকে অগ্রাধিকার পেয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজকে উন্নত করে তোলে সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।
সমাজের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুরুষদের যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন মহিলাদের। পুরুষদের পাশাপাশি যখন মহিলারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠবে তখন সমাজ এগিয়ে যাবে আরও উন্নতির দিকে।
সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা ব্রতী হই সকলের উন্নতি কামনায়। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান কমেন্ট করবেন। আমাদের ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিয়ে নতুন করে কাজের আশ্বাস দেবেন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
ষ্টেট ব্যাংকের 67 তম জন্মদিনে সবাইকে 6000 টাকা দিচ্ছে? জেনে নিন সম্পূর্ণ তথ্য।