Madhyamik HS Exam Preparation Tips – মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ৮০% নম্বর পেতে চাইলে টিপস গুলো অবশ্যই ফলো করো

অতিমারীর কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পরে অবশেষে 16 ই নভেম্বর থেকে খুলতে চলেছে স্কুল।(Madhyamik HS Exam Preparation Tips) আর সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এর মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, যার নির্ঘন্ট প্রকাশিত হয়ে গেছে 1লা নভেম্বরেই। স্কুল খুললেই ডিসেম্বর মাসে শুরু হবে টেস্ট । এইবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা Home Centre এ থাকলেও মাধ্যমিক(Madhyamik Exam) এর পরীক্ষার্থীদের হয়তো নিজের স্কুলে সিট নাও পড়তে পারে। অতিমারীর কারণে সিলেবাস ও বেশ কাটছাঁট করে কমিয়ে আনা হয়েছে। বাদ গিয়েছে বেশ কিছু চ্যাপ্টার। দীর্ঘ দুই বছর পর revised সিলেবাসে অফলাইন পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অনেকেই বেশ নার্ভাস। কারণ তাদের জীবনের প্রথম বোর্ড এর পরীক্ষা।।

Advertisement

Madhyamik HS Exam Preparation Tips, কে না চায় যে জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষায় 80% এর উপর নম্বর নিয়ে সফল হব!  হ্যাঁ বন্ধুরা, আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করব সেই সব দারুন টিপস এন্ড ট্রিকস যা খুব কম সময়েই অল্প পরিশ্রমেই তোমাদের হাতে এনে দেবে সাফল্য…

Advertisement

WBCHSE HS English Suggestion 2022 PDF Download – উচ্চ মাধ্যমিক ইংরেজি সাজেশন ক্লিক করুন

Madhyamik HS Exam Preparation Tips
চলো দেখে নেওয়া যাক সেই সব উপায়  যা তোমাদের অনেক কম সময়ের মধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে এবং 80% নম্বর অনায়াসে পেতে সাহায্য করবে। আর যারা এমনিতেই মনে করছো ভাল ফল করবে তারাও এই নিয়ম ফলো করলে আরো কিছুটা ভালো করতে পারবে। সবার মেধা সমান হয়না, পরীক্ষায় ভালো ফল করতে প্রয়োজন চেষ্টার আর পরিশ্রম। তবে বর্তমানে Hard Work থেকে Smart Work টা বেশি কাজে দেয়। তাই আজ কয়েকটি টিপস তমাদের শেয়ার করব, যেগুলো ফলো করতে প্রস্তুতি ভালো হবে, এবং তার সাথে পরিক্ষক ও তোমার খাতা দেখে সন্তুষ্ট হবেন।

Advertisement
  1. প্রথমেই যেটা বলছি, এটা হয়তো সকলেরই জানা, বিগত 10 বছরের প্রশ্ন সমাধান করা, তবে সিলেবাস যেহেতু কমেছে, তাই সেইতুকু বাদ দিয়ে বাকিটা করবে। তোমাদের সিলেবাসের অনেক অংশ বাদ দেওয়া হলেও বিগত বছরের প্রশ্নে যে অংশ টুকু আছে তা রিপিট হ‌ওয়ার সম্ভাবনা বেশি।  তাই সেগুলো যত তাড়াতাড়ি  সম্ভব তৈরি করতে হবে।
  2. পুরো সিলেবাসেকে সময় অনুযায়ী  ভাগ করে নিতে হবে। যদি তোমার হাতে 30 দিন সময় থাকে আর তোমার ব‌ই এর অধ্যায় সংখ্যা  হয় 5 থেকে 6 তবে তোমায় প্রতিদিন অন্তত একটা অধ্যায় পড়তেই হবে।  এভাবে তোমাকে তোমার সিলেবাস অনুযায়ী  নিজস্ব রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। তাতে বেশ revise ও হয়ে যাবে কয়েকবার।
  3. মক টেস্ট দেওয়া। এতে তুমি কতটা তৈরি হয়েছো বোঝা যাবে। টেস্ট পেপার বা যেকোনো মডেল প্রশ্ন অনায়াসে পেয়ে যাবে।

4. প্রতিদিন গণিত অনুশীলন করা। গণিতের সাথে যে কোন একটি সহজ বিষয় নিজের রুটিন রাখা যাতে একঘেয়ে না লাগে। আর যারা অঙ্ক ভয় পাও তারা যে চ্যাপ্টার গুলো ভাল পারবে, তার থেকে এক নম্বর ও যেন ছেড়ে না আসতে হয়, সেইভাবে প্রাকটিস করবে।

Advertisement
  1. এবার আসছি পরীক্ষার সময়ের টিপস নিয়ে, কথায় আছে, প্রথমে দর্শনধারী, তারপর গুনবিচারী। প্রথম দুই থেকে তিন পেজ খুব যত্ন সহকারে, পরিষ্কার ভাবে, আর হাতের লেখা সুন্দর করবে, পুরো প্রশ্ন পড়ে নিয়ে যে প্রশ্ন গুলো সবচেয়ে ভালো পারবে, সেই গুলো প্রথম দুই পেজে লিখবে। যাতে তমার খাতা দেখেই পরীক্ষকের মনে একটা ভালো ইম্প্রেশন তৈরী হয়।
  2. পরীক্ষায় সঠিক প্রশ্ন নির্বাচন করা। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হরেক রকম নম্বর বিভাজন সম্বলিত প্রশ্ন থাকে। যে প্রশ্নের পূর্ণ মান 05 তার থেকে 2+3 বা 1+1+3 বা 1+2+2 এমন নম্বর বিভাজনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব।
  3. একঢালা রচনামূলক প্রশ্নের চাইতে পার্থক্য,  বৈশিষ্ট্য ও পয়েন্ট ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর করা অনেক বেশি নম্বর পেতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বিজ্ঞান এর ক্ষেত্রে কোনো সংজ্ঞা বা জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর নিজের ভাষায় না লেখাই বুদ্ধিমানের কাজ।


8. অন্য কালি ব্যবহার করে পয়েন্ট করা বা যেখানে সংজ্ঞার সাথে চিত্র দেওয়া সম্ভব এমন প্রশ্নের উত্তরে চিত্র তুলে ধরা শুধু খাতার সৌন্দর্য বৃদ্ধিই করে না শিক্ষকের উত্তরপত্র দেখা সহজ করে যা বেশি নম্বর পেতে সাহায্য করে। মনে রাখবে, যত বেশি সঠিক পয়েন্ট, তত বেশি নম্বর। আর হ্যা, নির্দিষ্ট সময়ের কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে লেখা শেষ করবে, আর এই দশ মিনিটে বানান ভুল, দাগ নম্বর, সব লেখা হয়েছে কিনা সম্পূর্ণ চেক করবে। মনে রাখবে নিজের লেখায় নিজে সন্তুস্ট হলে পরের পরীক্ষায় বাড়তি কনফিডেন্স পাবে।
9. প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর দিনে এমন একটা সময় থাকে যখন সে সবথেকে বেশি মনোসংযোগ করতে পারে। এসময়ে সব থেকে কঠিন মনে হ‌ওয়া ও সহজে মনে না থাকা বিষয়গুলো রুটিনে রাখা উচিত।
10. রিভিশন! রিভিশন! রিভিশন!
যত বেশি বার রিভিশন করতে পারবে তত বেশি তা মনে থাকবে।  লিখে রিভিশন করলে সব থেকে বেশি সময় অবধি তা মনে রাখা সম্ভব।

Advertisement

11.হেলদি রুটিন মেনে চলা। পড়ার সময় মাঝে মাঝে হেঁটে নেওয়া, ৮ ঘন্টা ঘুমানো,  শাকসবজি ও জল বেশি পরিমানে  খাওয়া একদিকে শরীরকে সুস্থ  রাখতে যেমন সাহায্য  করে  তেমনি এটি পড়ায় মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে এবং অসুস্থতার জন্য সময় নষ্ট হ‌ওয়া কমাতেও সাহায্য করে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক সাজেশন পেতে ক্লিক করুন

Advertisement

আশা করি বন্ধুরা সবাই এই টিপসগুলো তোমাদেরকে ভবিষ্যত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আর অনায়াসেই 80% পেতে সাহায্য করবে। শুভকামনা সকলকে।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment