Advertisement
জাল ওষুধ (how to idebtify fake medecine)
Advertisement

বর্তমানে চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নতির সাথে সাথে জাল ওষুধ তৈরির প্রবনতা ও বেড়েছে। আর জেরে অনেকের জীবন সংশয়ের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। আপনি অনলাইন কিম্বা দোকান থেকে যে ওষুধ কিনলেন, সেটি জাল নয় তো? কিভাবে বুঝবেন সেটা? তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন আইন সরকারের।

Advertisement

সূত্রের খবর, দেশীয় ওষুধের বাজারের অন্তত ৪% ইতিমধ্যে জালিয়াতদের দখলে। ফলে আমজনতার স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা পড়েছে বড় প্রশ্নের মুখে। আর এই সমস্ত জাল ওষুধের কারণে রোগীর অসুস্থ হয়ে পড়ার পাশাপাশি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
দেশের জনগনের স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে তাই এবারে এই সমস্ত জাল ওষুধের বিক্রি রোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক অভাবনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

Advertisement

জাল ওষুধ কিভাবে চিনবেন?

দেশজুড়ে নকল ওষুধের ব্যবসার রমরমা বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ওষুধ উৎপাদনকারী সমস্ত কোম্পানিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা তাদের ওষুধের ওপর বারকোড কিংবা কিউআর স্ক্যানের ব্যবস্থা করেন। এবং শুধু QR Code বা বার কোড রাখলেই হবে না, সেগুলো তাদের ডেটাবেজে থাকতে হবে। যেন যে কেউ সেটা মোবাইলে স্ক্যান করলে দেখতে পারে, সেই নম্বরটি কোম্পানীর তৈরি কিনা। তাহলেই নিশ্চিত হতে পারবে গ্রাহক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা।

Advertisement

আগামী দিনে এই কিউআর কোড বা বারকোড স্ক্যান করলেই গ্রাহকরা ওই ওষুধ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন। বারকোডে দেখতে পারবেন ওই ওষুধের নাম। এখানে ওষুধের নামের সাথে জেনেরিক নামও দেওয়া থাকবে। এরই সাথে ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার নাম এবং ঠিকানা জেনে নেওয়া যাবে এই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই। ওষুধের ব্যাচ নম্বরও জানতে পারবেন গ্রাহকরা। এছাড়াও ওষুধ কবে তৈরি হয়েছে এবং কতোদিন পর্যন্ত ওই ওষুধ বৈধ থাকবে তাও জানা যাবে ওই কোডের মাধ্যমে।

রেশনকার্ড ধারীদের জন্য আবারও সুখবর, বিনামূল্যে মিলবে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী।

এসবের পাশাপাশি, গ্রাহকরা ওষুধের সর্বোচ্চ রিটেল দামও দেখে নিতে পারবেন। সরকার মারফত খবর, নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকেই সমগ্র ভারতে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি তরফে দেশের ৩০০ টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা তাদের ওষুধের ওপরে এই কিউআর কোড বা বারকোড প্রিন্ট করার ব্যবস্থা করেন। আগামী দিনে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ওষুধগুলির ওপরেও কিউআর কোড প্রিন্ট হতে চলেছে।

EK24 News

Cigarette বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, প্যাকেট খুলে লুস সিগারেট আর বিক্রি করা যাবে না।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকরী ভাবে নকল ওষুধের কারবার রুখতে সক্ষম হবে, তা দেখতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে সমগ্র দেশবাসীকে। তবে দেশে শুধু আইন জারি করলেই জাল ওষুধ তৈরী বা বিক্রয় রোখা যাবে না। তার সাথে আইন প্রনয়ন ও জাল ওষুধ তৈরির কারখানা ও চিহ্নিত করে তা বন্ধ করতে হবে। এই ব্যাপারে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Antara Banerjee.

Advertisement
Advertisement
Advertisement
2 thoughts on “বাজারে ছেয়ে গেছে জাল ওষুধ, কিভাবে চিনবেন আসল ওষুধ, জানিয়ে দিলো সরকার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement