Advertisement
Mid Day meal (মিড ডে মিলের বরাদ্দ)
Advertisement

মিড ডে মিল এখন প্রধানমন্ত্রী পোষণ স্কীম। আর সেই ঘোষণা হতেই মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়লো। সেই সাথে এটাও বলা হয়েছে, মিড ডে মিল এ এবার থেকে আর চিড়ে, মুড়ি, শুকনো খাবার, এক প্যাকেট বিস্কুট, কিম্বা বাপুজি কেক, চিপস এর প্যাকেট দেওয়া যাবে না।

Advertisement

এদিকে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। দিনের পর দিন সেই দাম লাগাতার বেড়েই চলেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন করা দুঃসহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি উঠছিল, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) জন্য যে বরাদ্দ রয়েছে তা বাড়াতে হবে।

Advertisement

পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিল এর বরাদ্দ বৃদ্ধি।

অবশেষে মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু যে পরিমাণে এই বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আগে Mid Day Meal এর বরাদ্দ ছিল কমবেশি 5 টাকা। বর্তমান চড়ামুল্যের বাজারে সেই টাকায় কিভাবে Mid-Day-Meal দেওয়া যায়? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।

Advertisement

এবার যখন কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়েছে তাই নিয়েও যথেষ্ট সন্দিহান সকলে। কারণ প্রাথমিকে মাথাপিছু মাত্র 48 পয়সা বাড়ানো হয়েছে এবং উচ্চ প্রাথমিকে মাথাপিছু মাত্র 72 পয়সা বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, 1 অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া এই নতুন বরাদ্দ প্রাথমিকে মাথাপিছু 5 টাকা 45 পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকের মাথাপিছু 8 টাকা 17 পয়সা দেবে সরকার।

কেন্দ্র এবং রাজ‍্য উভয় সরকার নিজেদের মধ্যে ভাগ করে দেবে। কিন্তু এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, যে পরিমাণে বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র তাতে এই চড়ামূল্যের বাজারে ছাত্র-ছাত্রীদের খাবার পাতে কি দেওয়া যাবে? এক শিক্ষকের প্রশ্ন, সাড়ে 5 টাকায় একবেলায় পুষ্টিকর খাবার কি দেওয়া যেতে পারে?

EK24 News

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত এই মুহূর্তে ক্ষুধা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। দেশের লক্ষ লক্ষ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। বহুদিন ধরে মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু মিড ডে মিলে যা বাড়ানো হয়েছে তা যথেষ্টই অবাক করেছে। এই মুহূর্তে মাথাপিছু 20 টাকা করার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষকদের একাংশ। সেক্ষেত্রে গ্যাস বা জ্বালানির জন্য আলাদা বরাদ্দ দাবি করা হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে করোনা পরিস্থিতির সময় মিড-ডে-মিলের বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে Mid Day Meal এর যে পরিমাণে বরাদ্দ বৃদ্ধি হওয়া উচিত ছিল সেটা হয়নি বলেই জানাচ্ছেন অভিজ্ঞরা।
করোনা পরিস্থিতিতে বহু গরিব ছাত্র-ছাত্রীর বাবা-মা কাজ হারিয়েছেন। অনেকেই মিড ডে মিলের উপরেই নির্ভর করেন।

হিন্দি জানা বাধ্যতামুলক, English বাদ, সরকারি কাজে ভারতের Official Language হতে চলেছে হিন্দি।

এই বিষয়ে সর্বশিক্ষা মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোদি সরকারের মিড-ডে-মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি দেখে বোঝা যাচ্ছে, এই বিষয়ে তারা কতটা উদাসীন। রীতিমতো তারা ছেলে খেলা করছে। যে পরিমাণে বাজারের সমস্ত জিনিসপত্রের দাম সেখানে যা বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে তা নিতান্তই সামান্য।

দীপাবলিতেও বোনাস! পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের

Advertisement

একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের প্রচার করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ করছে না, এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
Written by Rajib Ghosh.

Advertisement
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement