চলতি মাসেই রয়েছে টানা ব্যাংক ধর্মঘট, যার জেরে বেতন ও পেনশনভোগীদের পেমেন্ট পেতে দেরী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হলো। আর এই তথ্য জানা গেছে খোদ ব্যাংকের তরফ থেকে। মাসের শেষে সাপ্তাহিক ছুটি ও জাতীয় ছুটি রয়েছে, আর তার মধ্যেই ব্যাংক ধর্মঘট এর কারনে ব্যহত হবে স্বাভাবিক ব্যাংকিং পরিষেবা। আর তার মাঝেই কয়েক কোটি একাউন্টে স্যালারি ও পেনশন প্রসেস করাতে বিঘ্ন ঘটার আশংকা তৈরী হয়েছে। কি জানা গেল বিস্তারিত জেনে নিন।
সরকারি চাকরীজীবী, পেনশনভোগী ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মী যারা প্রতিমাসের নির্দিষ্ট দিনে বেতন বা পেনশন পেয়ে থাকেন, তাদের পেমেন্ট প্রতিমাসে ২০ তারিখের পর প্রসেস করাহয়, আর সেই অটো পেমেন্ট অপশন মাসের শেষ দিকে কিম্বা পরবর্তী মাসের প্রথম দিকে কর্মীদের একাউন্টে ক্রেডিট হয়। কিন্তু ছুটি ও ব্যাংক ধর্মঘট এর কারনে লম্বা কর্মবিরতি থাকায় এই প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই স্যালারি দেরি হতে পারে।
কিছু সংস্থার কর্মী একেবারে মাস পয়লাতেই বা কিছু ক্ষেত্রে তারও আগে মাইনে পেয়ে যান সরকারি চাকরিজীবীরা। আর তার উপরে হিসাব করেই মাসের সমস্ত পরিকল্পনা করেন তারা। সরকারি চাকরিজীবীদের (Government Employees) জীবনযাপনের ক্ষেত্রে এটাই প্রচলিত রীতি। এবার যদি ধরুন মাস পয়লায় বেতন না হয়, অথবা সেই মাস মাইনে পেতে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়, তাহলে সরকারি চাকরিজীবীদের একেবারে মাথায় হাত পড়ার মত অবস্থা। কারন অনেকের ই মাস পয়লায় কিম্বা ২ তারিখে EMI, Bill Payment, Auto Payment, ECS এর সিস্টেম করা। তাই একাউন্টে টাকা না থাকলে চেক বা লেনদেন বাউন্স করলে আর্থিক জরিমানা হবে। এবার তারা কি করবেন, ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না।
হ্যাঁ, এবার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমেই এরকম ঘটতে চলেছে। কারণ জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক ধর্মঘটের কারনে ব্যাংকের পরিষেবা ব্যাহত হতে চলেছে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি ও ২৬ তারিখ বন্ধ থাকায় লম্বা ছুটি রয়েছে। তার উপরে Bank ইউনিয়নগুলো ২ দিনের জন্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ব্যাংক ধর্মঘট এর ফলে ব্যাংকের যাবতীয় পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্যাংকিং পরিষেবার সঙ্গে ATM থেকে নগদ টাকা তোলার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সমস্যা তৈরি হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পুজায় অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা, স্কুল কলেজ সরকারী অফিস বন্ধ।
ব্যাংক ধর্মঘট এর কারণ কি?
ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়ন UFBU মুম্বইতে একটি সভা অনুষ্ঠিন করেছিল। সেখানে ২ দিনের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের উপর চাপ তৈরি করতেই ব্যাংক ইউনিয়নগুলো এই ধর্মঘট করছে।
৩০ এবং ৩১শে জানুয়ারি ব্যাংক ইউনিয়নগুলি ধর্মঘট (Bank Strike) ঘোষণা করেছে। এবার ২৮ জানুয়ারি চতুর্থ শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তারপরে ২৯ জানুয়ারি রবিবারের কারণেও ব্যাংকগুলি বন্ধ থাকবে। ফলে শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ না করতে পারলে ১ ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে কাজ করতে হবে।
সারা দেশে ব্যাংক ধর্মঘট, মহাসংকটে দেশবাসী। কবে কবে ব্যাংক বন্ধ জেনে নিন।
ইউনিয়নগুলোর দাবিঃ
কর্মচারীদের দাবি রয়েছে বেতন বাড়ানোর। এনপিএস বাতিল করে বেতন বাড়ানোর জন্য আলোচনা করা উচিত বলে কর্মচারীদের দাবি। এছাড়াও ইউনিয়নের তরফে ক্যাডার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি উঠেছে। এছাড়া ইউনিয়নগুলোর দাবি সপ্তাহে ৫ দিন ব্যাংকিং পরিষেবা করা হোক। ইউনাইটেড ফোরামের সভায় ২ দিনের জন্য ব্যাংক ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের ইউনিয়নগুলো।
প্রতিমাসে 3000 টাকা করে পাবেন কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে, নাম নেওয়া শুরু হয়েছে, নিয়ম
এমপ্লয়ীজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ব্যাংক ইউনিয়নগুলোর দাবি, ব্যাংকিং কাজ যেন ৫ দিন হয়। যার জেরে বেতন সহ একাধিক ফান্ডিং পরিষেবা ব্যহত হতে পারে। আর বেতন না পেলে, তার জেরে আটকে যেতে পারে EMI, Loan, Autometic Bill Payment, আর তাতে গ্রাহকদের লেনদেন বা পেমেন্ট রিকোয়েস্ট ব্যাল্যান্স কম থাকার কারনে আটকে গেলে ফাইন দিতে হবে।
Written by Rajib Ghosh.
RBI Rules না মানায় আরও 5 টি ব্যাংকে জরিমানা, আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিল, আপনার একাউন্ট নেই তো?
Tana chhuti katanor dhanda sab..maser seshe salary hoy seta Jane na…sab Bank private kore deyoa uchit ..8a.m to 8 p.m Bank open thak…tabe eder service valo hbe…ekta kaj niye gele 5 days er age sesh hbe na…tader aber strike..