পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মীদের নভেম্বরেই মিলতে পারে বকেয়া ডিএ। যদিও কেন্দ্রীয় হারে আদৌ মিলবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে এই মুহুর্তে কতটা ঘোষণা হয়, সেই ব্যাপারে নজর রয়েছে সরকারি কর্মীদের।
কি হবে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ ভাগ্য?
কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা বকেয়া ডিএ এর পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। 34% থেকে বাড়িয়ে তা 38% করা হয়েছে বর্তমানে। আর কেন্দ্রের বকেয়া ডিএ ঘোষণা যতবার হচ্ছে, ঠিক ততবারই পার্থক্য বাড়ছে, রাজ্যের সঙ্গে। তবে সব কিছুর একটা শেষ রয়েছে। একাধিকবার মামলায় হেরে গিয়েও রাজ্য নিরব হয়ে কতদিন থাকবে?
আগামী ৪ নভেম্বর হাইকোর্টে সরকারী কর্মীদের কন্টেম্পট মামলার শুনানি রয়েছে, কিন্তু তার আগে রাজ্য সুপ্রীম কোর্টে গেলে সেই শুনানীর গুরুত্ব থাকবে না। যদিও রাজ্য যে সুপ্রীম কোর্টে যাচ্ছে, সেই ইঙ্গিত রায় ঘোষণার দিন মিললেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
নবান্ন সুত্রে খবর, পুজোর ছুটির পর অর্থাৎ ১ তারিখ থেকে ফের রাজ্য সরকার বেশ নড়ে চড়ে বসতে চলেছে। হাইকোর্ট সময় বেঁধে দিয়েছে ৪ই নভেম্বর পর্যন্ত। এক্ষেত্রে রাজ্য তিন পন্থা অবলম্বন করতে পারে।
এক হয় ৪ তারিখের আগে সুপ্রীম কোর্টে যাবে, অথবা হাইকোর্টে হলফনামা দেবে। অথবা রাজ্য বকেয়া ডিএ ঘোষণা করবে।
কিন্তু বাস্তবিক রূপে তিন নম্বর আপাতত সম্ভব নয়। এক্ষেত্রেও রাজ্যের নিরব থাকার সম্ভাবনা। আর এরপর সরকারী কর্মীরা আবার নালিশ জানাবে, আবার কিছুটা সময় অতিবাহিত হবে। কিন্তু তার পরিনামে আদৌ ডিএ মিলবে কিনা তা কেউ জানে না। অথচ ন্যায্য বকেয়া ডিএ পাওয়ার জন্য, মামলার পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে যা ঘুরে ফিরে সরকারের ঘরেই যাচ্ছে।
পোষ্ট অফিস স্কিম, দিওয়ালী অফার, এই সঞ্চয়পত্রে তিন বছরেই পাবেন দশ লাখ টাকা। সুযোগ সীমিত।
এইসময় পত্রিকা সুত্রে জানা গেছে, নভেম্বরে অর্থসচিবের ডাকা মিটিং এ বিভিন্ন দপ্তরের অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের ডাকা হয়েছে। সেখানে বকেয়া অর্থ নিয়ে একটা সমঝোতায় আসার আলোচনা হতে পারে। আর সেই লিস্টে বকেয়া ডিএ ও থাকার সম্ভাবনা। যদিও সমস্তটাই সম্ভাবনা মাত্র।
Written by Antara Banerjee.