রাজ্য সরকার কর্মীদের 105% Dearness Allowance দেয় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
কেন্দ্রীয় সরকার ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ দিলেও রাজ্য সরকার দেয় ৩ শতাংশ হারে, এই অসম Dearness Allowance এর বন্টন নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা সরব হয়েছেন। বকেয়া ডিএ মেটাবার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এই বিষয়ে সায় মিলেছে কলকাতা হাইকোর্টেরও। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল বকেয়া ডিএ কর্মীদের মিটিয়ে দেবার। তবে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সরকার মামলাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর বর্তমানে Dearness Allowance বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
এমতাবস্থায়, সোমবার ধর্মতলার বিক্ষোভ মঞ্চে গিয়ে কর্মীদের সমর্থন জানিয়ে এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই বিধানসভায় এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার ডিএ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে টেনে আনেন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের ছুটির ফারাকের প্রসঙ্গ। উঠে আসে দুই সরকারের কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর ফারাকের কথাও। সাথে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি , ‘‘৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলিয়ে রাজ্যে ১০৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে!’’
সোমবার বিধানসভায় ডিএ প্রসঙ্গটি টেনে আনেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ডিএ নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। তা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘোষণা হয়েছিল Dearness Allowance. প্রস্তাব হয়নি। পঞ্চম পে কমিশনে (5th Pay Commission) যা বকেয়া রেখে গিয়েছিল তাও দিয়েছি। কোনও রাজ্যে পেনশন দেওয়া হয় না। আমাদের রাজ্যে দেওয়া হবে। সেটা কি বন্ধ করে দেওয়া হবে? এটাই কি চাইছেন বিরোধীরা?’’ এরপরে আরও একধাপ এগিয়ে চন্দ্রিমা বলে বসেন, পেনশন না দিলে রাজ্যের ২০ হাজার কোটি টাকা বাঁচত।
ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য বাজেট পেশের দিন বক্তৃতা শেষ হয়ে যাবার পরে চন্দ্রিমা ঘোষণা করেন মার্চ মাসের বেতন থেকে ৩ শতাংশ হারে বর্ধিত ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। আজকের বিধানসভা বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রীর চিরকুট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস চন্দ্রিমাকে দেওয়ার পরে চন্দ্রিমা ডিএ নিয়ে কথা বলেন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী নিজেও তাঁর বক্তব্য জানান। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো আলাদা রাজ্যের থেকে। আর কেন্দ্রের সরকার কত দিন ছুটি দেয়? আমরা দুর্গাপুজোয় দশ দিন ছুটি দিই। ছট পুজোয় ছুটি দিই।’’
এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাম আমলের প্রসঙ্গও টেনে এনে বলেন, ‘‘সিপিএম আমলের Dearness Allowance বাকি ছিল। ৩৪ বছরে পুরো ডিএ দেয়নি। ৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলিয়ে আমরা ১০৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছি!’’
মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বিধানসভায় উল্লেখ করেন, ত্রিপুরা ও উত্তর প্রদেশ Dearness Allowance দেয় না। তাঁর আরো বক্তব্য, ‘‘টাকা আকাশ থেকে পড়বে না।’’এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আর কী কী সরকারি সুবিধা পান, সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘দশ বছরে একবার সরকারি কর্মচারীদের শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড যাওয়ার সুযোগ দিয়েছি।’’
তবে, আদতে ডিএ বাড়ানো হবে কিনা সেই নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। যদিও কর্মীরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যে ডিএ আদায় তাঁরা করেই ছাড়বেন।
Written by Antara Banerjee.
পশ্চিমবঙ্গে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লো, জেনে নিন 14.2KG ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম কত?