রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে এবার দিল্লি পৌঁছে গেল ডিএ আন্দোলনকারীরা (Dearness Allowance), কড়া ব্যবস্থার ঈঙ্গিত।
ডিএর (Dearness Allowance) দাবি নিয়ে এবার পৌঁছে গেছেন সোজা দিল্লি। কেন্দ্রীয় হারে DA মেটানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের একাংশ কলকাতায় বসে বিক্ষোভ ধরনা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে মাঝেমধ্যেই কর্মবিরতি, ধর্মঘট, ডিজিটাল স্ট্রাইক এর মত কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমস্ত করেও যখন সেরকম কোনো লাভ হচ্ছে না, তখন তারা সোজা পৌঁছে গেলেন এবার দিল্লির দরবারে।
এবার বকেয়া ডিএ এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রায় ৫০০ সদস্য সোমবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেছেন। এই ধর্না কর্মসূচি যৌথ মঞ্চের তরফে দুই দিনের ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
বকেয়া ডিএ এর মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে। সেখানে এখনো পর্যন্ত শুনানি শুরু হয় নি। আর তার মধ্যেই কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে একেবারে রাস্তায় নেমে কেন্দ্রীয় হারে ডি এ মেটানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা। রাজ্য সরকারকে কলকাতা হাইকোর্ট ডিএ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থ সচিব এর উপস্থিতিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তার আগেই কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া Dearness Allowance যাতে খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, তাই একেবারে পৌঁছে গেলেন দিল্লির দরবারে।
দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ ধর্না কর্মসূচির বিষয়ে রাজ্য সরকার মনে করছে, একেই রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে একশ্রেণীর সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে সরকারের পরিষেবা দিতে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। তার উপরে আবার দু’দিনের জন্য দিল্লিতে গিয়ে ধর্নায় বসার কারণে বিভিন্ন দপ্তরের কাজে তার প্রভাব পড়তে পারে।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে ভোটের ডিউটি করবেন না, রাজ্য সরকারি কর্মী ও শিক্ষকেরা।
তাই এবার নবান্নের তরফে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সেই দাবি তুলেছে নবান্নের একাংশ। পাশাপাশি, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দেবার কর্মসূচির পিছনে যে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ইন্ধন রয়েছে, সেই বিষয়টিও মনে করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক নেতা জানান, আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবার দিল্লিতে এসে দুদিনের জন্য ধর্না কর্মসূচি করা হচ্ছে। তারপরে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সেখান থেকে ডাকা হলে প্রতিনিধি দল গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেবে।
বেঁচে গেল চাকরি, নিয়োগ বাতিলের স্থগিতাদেশ সুপ্রিমকোর্টের, জোর ধাক্কা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এদিন শিয়ালদাহ স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস ধরে ৩০০ জন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্য দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন। তার আগেই আবার যৌথ মঞ্চের একাংশ পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজধানীতে। এবার নবান্ন সূত্রে খবর, যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দিল্লি গিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
Written by Rajib Ghosh.