ডিএ দেবে রাজ্য তবে শিক্ষকরা বাদ! Dearness Allowance নিয়ে কেন এই সিদ্ধান্ত? আদৌ যৌক্তিকতা কতটা? সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে একপ্রকার নাছোড়বান্দা হয়েই মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলা তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে ভারতের প্রধান এবং নব নির্বাচিত বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। তবে সেখানে কিছু ত্রুটি ছিল, যা রাজ্যকে সংশোধন করে পুনরায় নির্ভুল পিটিশন জমা দিতে বলা হয়। সেই পিটিশন সংশোধন করা হয়েছে বলে জানা গেছে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইট থেকে। একই সাথে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আজ অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর ডিএ মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।
Dearness Allowance মামলায় কাদের নাম এসেছে?
রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা SLP তে রাজ্য সরকার তার কর্মচারীর সংখ্যা উল্লেখ করেছে ৩,১৯,৭৫৯। এই ৩,১৯,৭৫৯ কর্মচারী রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে বেতন ও মহার্ঘ্য ভাতা পান বলে দাবি করা হয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে আনা হয়নি শিক্ষকমহলকে। আর এখানেই উঠেছে বিতর্ক। তবে কি শিক্ষকেরা এই মামলায় নেই? আর রাজ্য যদি Dearness Allowance বা মহার্ঘভাতা ঘোষণা ও করে তবে কি শুধুমাত্র ৩,১৯,৭৫৯ জন সরকারী কর্মীরা ই পাবেন?
এই তথ্য সামনে আসতেই জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষক মহলে। তাদের আশঙ্কা, তবে কি রাজ্য সরকার শিক্ষক শিক্ষিকাদের সংখ্যা আলাদা করে হিসেব করে বাদ দিয়েছে? সতবে কি তাদের ডিএ দেওয়া হবে না? নাকি অতিমারী সংক্রমণের সংখ্যার মতো Dearness Allowance মামলায় এই সংখ্যাটাও কমিয়ে দেখানো, প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী সরকারী কর্মীরা।
অনেকেরই ধারণা, যদি এই আশঙ্কা সত্যি হয় তবে, অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পেলেও শিক্ষক শিক্ষিকারা বা শিক্ষা কর্মীরা হয়তো রাজ্যের তরফে Dearness Allowance পাওয়া থেকে বাদ যাবেন। যদিও পুরবে যতবারই পশ্চিমবঙ্গ অর্থ দপ্তর বেতনবৃদ্ধি বা অন্য কোনও অর্ডার প্রকাশ করলে শিক্ষকদের জন্য আলাদা করে শিক্ষা দপ্তর থেকে অর্ডার বের করে। ROPA 2019 ও 3% Dearness Allowance এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে সত্যিই বাদ গেল? নাকি ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত ভুল!
প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার এবং হাইস্কুল শিক্ষক ২ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি। সরকার কীভাবে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষাকর্মীদের বাদ দিয়ে সরকারি কর্মীদের সংখ্যা পাঠালেন সুপ্রিম কোর্টে, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে, তাহলে কি রাজ্য সরকার সবকিছুই জেনে শুনে শিক্ষক- শিক্ষাকর্মীদের ডিএ দেওয়া থেকে বাদ দিতে চান ?
ফিক্সড ডিপোজিটে 9% সুদ পাবেন এই 5 টি ব্যাংকে, দেখুন নতুন সুদের হারের তালিকা।
এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন UUPTA জানিয়েছে- “সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার SLP এর আবেদনে সরকারি কর্মচারীর যে ভুল পরিসংখ্যান দিয়েছে এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনো কারন নেই। বরং এতে সুবিধাই হবে, সুপ্রিমকোর্টে আমরা অন্যান্য যুক্তির সাথেই রাজ্য সরকারের Suppression of fact তুলে ধরে SLP এর আবেদন খারিজের জোরাল আবেদন জানাবো।
যাতে পত্রপাঠ Dearness Allowance SLP এর আবেদন খারিজ হয় এবং হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকে। এছাড়াও সুপ্রিমকোর্টে এই মামলায় আমরা কোনো ভাবে যুক্ত হতে পারি কি না,সেই বিষয় নিয়েও আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ নিচ্ছি।”
অন্যদিকে এই মামলায় শিক্ষকদের সংখ্যা না উল্লেখ করায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বঙ্গীয় শিক্ষক শিক্ষাকর্মী সমিতির স্বপন মণ্ডল। তিনি এর আগেও শিক্ষকদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বার বার আন্দোলন করেছেন।
প্রত্যেক স্কুলে মিড ডে মিলের স্পেশাল অডিট, শিক্ষকদের ছুটিতে নিষেধাজ্ঞা, অডিটে কি কি দেখাতে হবে?
এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত ডিএ মামলায় কী রায় দেয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীমহল। কিন্তু শিক্ষকদের উল্লেখ না করায় নতুন করে আশংকায় শিক্ষকেরা। আপডেট আসছে। EK24 News এর সঙ্গে থাকুন।
Written by Antara Banerjee.
এতদিন তাহলে সরকার কেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের ডিএ দিতেন ? সরকার যদি থাকে তাহলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভোটে থাকবে; না হলে নিঃসন্দেহে শেষ হয়ে যাবে। সরকার কেন দ্বিচারিতা করছে। দিন শেষ হলে রাত্রির শুরু হয়।