কর্ম বিরতি ছেড়ে এবার DA Strike ধর্মঘটের পথে এবার সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কর্ম বিরতিতে কাজ হয়নি, তাই এবার আন্দোলনের আঁচ অফিসের বাইরেও প্রভাব বিস্তারের রণনীতি নিয়েছে সরকারী কর্মীদের একাংশ।
বকেয়া Dearness Allowance মেটানোর দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এই আন্দোলনের মাত্রা ধীরে ধীরে তীব্র হচ্ছে। একের পর এক লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে।
এদিকে গত ২০ ও ২১শে ফেব্রুয়ারী রাজ্যের সমস্ত অফিসে কর্মবিরতি পালন করার পর এবার আজ ও কাল মিউনিসিপ্যাল কর্মীরা কর্ম বিরতি পালন করছে।
এদিকে কলকাতার রাজপথে মিছিল থেকে শুরু করে শহীদ মিনার চত্বরে ধরনা বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। তারপর থেকে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠনের তরফে কখনো কর্মবিরতি, কখনো পেন ডাউন, কখনো বিক্ষোভ মিছিল (DA Movement DA Strike) এর ডাক দেওয়া হয়েছে। আর যখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন চালাচ্ছেন, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য বাজেটে সরকারের তরফে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে।
DA Strike in West Bengal:
মার্চ মাস থেকেই সেই DA লাগু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু তাতেও খুশি হতে পারেননি সরকারি কর্মচারীরা। তাদের দাবি অনুযায়ী AICPI হারে DA দিতে হবে। আর সেই দাবিতেই তারা জানিয়ে দিয়েছে বৃহৎ আন্দোলনের (DA Strike) পথে যাবে।
এবার রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের (DA Strike) ডাক দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগামী ৯ মার্চ প্রথমে মঞ্চের তরফে এই ধর্মঘটের (DA Strike) ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু ৯ মার্চ মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা থাকার কারণে সেই দিন বদল করে ১০ মার্চ DA Strike ধর্মঘটের ডাক দেয় সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।
রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি সমস্ত দপ্তরে ঐদিন সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে। আর তাদের পথে পা মিলিয়ে বাংলা বন্ধের রূপ দিতে চাইছে বাম রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়ীজের পক্ষ থেকে বকেয়া ডি এর দাবিতে স্যাটে (SAT) মামলা করা হয়। তাদের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৩৪% হারে ডিএ পান। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এক দফা DA ঘোষণা করলেও ৩১ শতাংশ DA কম পান।
পরবর্তীতে স্যাটের রায় হাইকোর্ট বহাল রাখে। আর তারপরেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি (SLP) দাখিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের সেই মামলার শুনানি এখনো শুরু হয়নি। আগামী ১৫ই মার্চ সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে।
যখন আইনি লড়াই চলছে, ঠিক সেই সময়েই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ রাস্তায় নেমে কাজকর্ম লাটে তুলে দিয়ে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন। আর ধীরে ধীরে সেই আন্দোলনের মাত্রা (DA Strike) তারা বাড়াতে চাইছেন। এবার ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
স্টেট ব্যাংক গ্রাহকদের সতর্কবাণী, মেসেজ খুললেই একাউন্ট ফাঁকা, এই মেসেজ দেখলেই ডিলিট করুন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে কোনোভাবেই কোনো বনধ করতে দেওয়া হবে না। কারণ ধর্মঘট সংস্কৃতির বিরোধী রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, ধর্মঘটের নামে পুরনো কালো দিন রাজ্যে ফিরিয়ে না এনে সকলে একসঙ্গে কেন্দ্রের বকেয়া মেটানোর দাবিতে সোচ্চার হোন। কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। কেন্দ্র টাকা দিয়ে দিলেই সকলের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, সোমবার এবং মঙ্গলবার তাদের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই দুটো দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের কর্মচারীদের একাংশের উপরে হামলা করা হয়েছে। ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ এসেছে। তবুও তাদের মনোবলে চিড় ধরে নি। এবার তারা ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এখন থেকে 0% সুদে যে কোন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী কিনুন, সম্পূর্ণ পদ্ধতি দেখে নিন।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিন পাহাড়ে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী জনসভা থেকে ঘোষণা করেছিলেন, কোনো ভাবেই বনধ করতে দেওয়া হবে না। জোর করে আটকানোর চেষ্টা হলে পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেবে। আর তারপরেই দেখা গিয়েছে, পাহাড়ের বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে রাজ্য সরকার বনধ, ধর্মঘট সংস্কৃতির বিরোধী। এটা একাধিকবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই মুহূর্তে সরকারী কর্মীদের ধর্মঘট রাজ্যে কতটা প্রভাব পড়বে, সেটাই দেখার।
Written by Rajib Ghosh.