রিভিউ পিটিশন বাতিল করে দেবে হাইকোর্ট। ইতিহাস বিচারে (DA Case Update) এমনটাই উঠে আসছে। জানুন বিস্তারিত।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মীদের ডিএ মামলা (DA Case Update) এখনও হাতের বাইরে চলে যায়নি। বরং পালটা চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। এমনটাই জানা যাচ্ছে কোলকাতা হাইকোর্ট থেকে। আজ ছুটির দিন হলেও পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গতকাল শুক্রবার অর্থাৎ ১২ই আগস্ট, ২০২২, এই সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বলা চলে। রাজ্য সরকারের হাই কোর্টের ডিএ মামলার (DA Case Update) রায় বাস্তবায়ন করার শেষ তারিখ অর্থাৎ ২০ আগস্ট, ২০২২ আসতে আর বাকি ছিল সপ্তাহ খানেক। কর্মচারীরা সকলেই বেশ আশা নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন যে তারা পুজোর আগেই তাদের বকেয়া ডি এ হাতে পাবেন? একবারে হাতে পাবেন নাকি কয়েকটি কিস্তিতে পাবেন? নাকি পেতে পারেন প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্টে? এই নিয়ে বেশ জল্পনা চলছিল তুঙ্গে।
কিন্তু আসলে কি হলো? আসুন পুরো ঘটনার একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে নিই। গতকাল ১২ই আগস্ট, ২০২২ সকল আলোচিত সম্ভাবনার অগ্নিশিখায় একেবারে বলতে গেলে জল ছিটিয়ে দেওয়া হল। কারণ, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হাইকোর্টে এই ডিএ মামলার (DA Case Update) রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল হয়েছে হাইকোর্টে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধারণা ছিলো যে সরকার হয়তো শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম করতে যেতে পারে। কিন্তু কেন তারা গেলেন না সুপ্রিম কোর্টে?
তাহলে এবারে কি হইকোর্ট তাদের এই অনলাইনে করা রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করবে? এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ২০১৯ সালে স্যাটে। স্যাট রায়দান করেছিল ২৬শে জুলাই, ২০১৯। নিয়মানুযায়ী রিভিউ পিটিশন দাখিলের সময়সীমা হয় ৩০ দিন। কিন্তু তারা এই রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল ১৯শে নভেম্বর, ২০১৯। হিসেব মত স্যাটের এই রিভিউ পিটিশন খারিজ করার কথা ছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে স্যাট তা গ্রহণ করেছিল ৯ই ডিসেম্বর, ২০১৯। এই মামলার শুনানি (DA Case Update) হাইকোর্ট দিয়েছিল গত ২০শে মে, ২০২২।
এবারে যে বিষয়টা ঘটলো যে গত ২০শে মে হাইকোর্ট যে রায় দিল তার রিভিউ পিটিশন দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৯শে জুলাই, ২০২২। কিন্তু সেই তারিখ তো পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। এতদিন কি করছিল রাজ্য সরকার? আসলে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনো সদিচ্ছাই নেই বলে মানতে বাধ্য হচ্ছেন সরকারি কর্মীমহলের একাংশ।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের অনেকের আবার এই ধারণাও ছিল যে তারা হয়তো সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে এই মামলা নিয়ে। কিন্তু সেই জল্পনাকে কার্যত নস্যাত করে দিলো রাজ্যের এই পদক্ষেপ। রিভিউ পিটিশন। অর্থাৎ এই নিয়ে একই মামলার দ্বিতীয়বার রিভিউ পিটিশন দাখিল হল এমনটাই বলা চলে। মামলাকারী আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জী জানিয়েছেন রাজ্যের এই আবেদন ধোপে টিকবেনা, কারন হাইকোর্ট বার বার নির্দেশ দিয়েছে ডিএ আইনী অধিকার। আর তাছাড়া যেখানে রিভিউ পিটিশন করার একমাস সময় থাকে, রাজ্য আড়াই মাস পর সেই আবেদন করলে তা খারিজ হবে বলেই তিনি আশা করেন।
এবার দেখার বিষয় হল, হাইকোর্ট কি আদৌ কি এই রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করবে? কারণ আগে হাইকোর্ট এই রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল। কিন্তু স্যাট রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করেছিল। যদিও কি সিদ্ধান্ত হয়, তার জন্য আমাদের বেশ কিছুটা সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে। কারন এখনও পর্যন্ত জানা যায় নি যে রাজ্য সরকার কি বক্তব্যকে সামনে রেখে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে।
বদলে গেলো ষ্টেট ব্যাংকে টাকা জমা ও তোলার নিয়ম, না মানলে চার্জ কাটবে, দেখুন কি
বাল্যকালের দিনগুলি যেন আবার ফিরে এলো। পূজাবকাশ, গ্রীষ্মাবকাশ বা জন্মদিন পালনের অপেক্ষার প্রহর গোনা যেন ছিল এক সময়ের নিত্যদিনের এক বিশেষ কাজ। এখন আবার যেন সেই দিনগুলিরই একটা দৃশ্যপটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। (DA Case Update)
কখনো বা স্যাট, তারপর অপেক্ষার প্রহর গোনা- হলো রায়দান। আবার কখনো হাইকোর্ট, আবার অপেক্ষা-হল রায়দান, আবার অপেক্ষা- আবার রিভিউ পিটিশন- এভাবেই (DA Case Update) কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। সমাধান মিলছে কি আদৌ? বা মিললে কবে আসবে সেই শুভক্ষণ? হাজারো প্রশ্নের মাঝে যেন সরকারি কর্মীরা আজ মরুদ্যানের উটের মতো জলপিপাসু দৃষ্টিতে জলের কাছে গিয়ে যেন থমকে যায় অবাক বিস্ময়ে। একি? জল কই? এতো মরীচিকা!
আমাদের সাথে থাকুন। আশা মানুষকে দেয় বেঁচে থাকার রসদ। আমাদের সাথে থাকুন। নতুন খবর পেলেই তা মুহূর্ত অপেক্ষা না করেই আমরা আপনাদের সামনে (DA Case Update) তুলে ধরার চেষ্টা করি। আপনাদের কি মনে হয় এই মামলা (DA Case Update) কি খারিজ হবে? নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
রাজ্যের সরকারি কর্মচারী দের উচিত এই সরকারের পার্টি কে ভোট না দেওয়া, কারণ প্রাপ্য বকেয়া ডিএ নিয়ে ছেলেখেলা করছে।
সরকারের উচিত ডিএ দিয়ে দেওয়া নচেত বিধানসভা ভেঙে নতুন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির
রাজ্য সরকার যে পিটিশন দাখিল করেছে তাতে কি বক্তব্য দিয়েছে তার কপি পেলে অনুগ্রহ করে আপডেট করুন