DA Agitation in West Bengal:
পশ্চিমবঙ্গে ঘোষণা হয়েছে ৩% মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance). বাজেট অধিবেশনের দিনেই অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করেছেন। দিনক্ষণও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্চ মাস থেকেই তারা এই মহার্ঘ ভাতা পেয়ে যাবেন।
কিন্তু AICPI হারে দাবী পূরণ হয়নি সরকারি কর্মচারীদের একাংশের। কারণ তারা যে চান ৩৯ শতাংশ DA তাই ৩ শতাংশ ডিএ দিয়ে কিভাবে মন ভরবে? আর তাই সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দিয়েছেন, লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি যেমন চলছে, তেমনি চলবে। সরকারি কর্মীদের মধ্যে থেকে একজনের বক্তব্য, বকেয়া ডিএ ৩৯ শতাংশ। আর সেখানে কর্মীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ শতাংশ। ফলে তারা যে DA Agitation আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তা চলবে।
West Bengal DA Agitation:
আর এর মধ্যেই নতুন করে আন্দোলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। নয়া কোন DA Agitation কর্মসূচি ঘোষণা করলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ?
আগামী ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে পূর্ণদিবস কর্ম বিরতির (Full Day Strike) ডাক দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীরা এর সঙ্গে আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কিছুদিন আগেই। তারা বলেন, যদি বকেয়া টাকা না পাওয়া যায়, তাহলে রাজ্যকে অচল করে দেওয়া হবে।
সরকারী কর্মী থেকে শিক্ষক, স্বাস্থ্য কর্মী থেকে পুরকর্মী তারা কোনো কাজ করবেন না। লাগাতার আন্দোলন করবেন। সরকারি কর্মীদের একাংশ যে আন্দোলন করছেন কলকাতার শহীদ মিনার চত্বরে বকেয়া ডি এর দাবিতে, সেই আন্দোলন অবস্থান কর্মসূচি ২১ দিন হতে চলল। ৭ দিন ধরে সেখানে মঞ্চের সদস্যরা অনশনে (DA Agitation Hunger Strike) বসেছেন। জানিয়ে দিচ্ছেন তারা দাবি না মিটলে অনশন জারি থাকবেই।
একেবারে রাজনৈতিক কায়দায় লাগাতার DA Agitation কর্মসূচি আন্দোলনের ঘোষণা করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আর এর থেকেই তৃণমূলের তরফে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, এই DA Agitation আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে, সেটাও ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। যদিও আন্দোলনকারী কর্মীদের বক্তব্য, বকেয়া ৩৯ শতাংশ ডিএ সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে এই লড়াই চালাচ্ছি আমরা। ভিক্ষার জন্য সংসার, বাড়িঘর ছেড়ে এখানে বসিনি। ওই কর্মীর কথায়, ৩৯ শতাংশ বকেয়া DA চাই। পাটিগণিত দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দেবো সরকারকে, ৩ শতাংশ দিয়ে ৩৯ শতাংশকে চাপা দেওয়া যাবে না। দাবি যতক্ষণ না আদায় হচ্ছে, ততক্ষণ লড়াই চলবে।
মোবাইল থেকে মাত্র 5 মিনিটে বানিয়ে ফেলুন নতুন প্যান কার্ড, আর 2 মিনিটে ভুল সংশোধন।
তৃণমূলের মন্ত্রী, নেতা, জনপ্রতিনিধিরা এর আগেই সরকারি কর্মীদের এই DA Agitation আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেছেন। সম্প্রতি সাধারণ মানুষওসরকারি কর্মীদের এই ধরনের আচরণকে ভালো ভাবে নিচ্ছেন না। শহীদ মিনার চত্বরে যে আন্দোলন ধরনা কর্মসূচি তারা চালাচ্ছেন, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, ওখানে সরকারি কর্মীরা সেই অর্থে কেউ নেই। সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকরা বসে রয়েছেন। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, যারা ডি এ নিয়ে আন্দোলন করে এই ধরনের ভাষা বলছেন, তারা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ করছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রেখেছিলেন, এটা তারা জানেন। আর এই জন্যেই রাজ্যের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। রাজ্য সরকারকে অনেক কষ্টে কাজ করত হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রান্তিক মানুষ, গরিব মানুষদের সামাজিক সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করছে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA প্রসঙ্গ রয়েছে এখন সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১৫ই মার্চ DA মামলার শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে।
ব্যাংকে KYC Documents নিয়ে সব ঝামেলা শেষ, সব গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য।
কিন্তু তার আগে রাজ্য সরকারের তরফে ৩ শতাংশ DA দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও সরকারি কর্মচারীদের একাংশ সেই পরিমাণ ডিএ নিতে রাজি নয়। এবার দেখার বিষয়, তারা এই লাগাতার কর্মসূচি আন্দোলনের ঘোষণা করে আগামী দিনে কতখানি সফল হতে পারেন, সেদিকেই নজর সকলের।
Written by Rajib Ghosh.
মানুষকে সঠিক জিনিষটা বোঝালে তারা আন্দোলনকারীদের পাশেই থাকবেন।এর পিছনে কোনো রাজনীতি নেই।
আন্দোলন চলছে চলবে।৩%ডি এ ঘোষণা সরকারি কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।
Ei dabi andolon sompurno juktisonhoto.manuske jokon kukur bola hoy ebar kamorto khetei hbe..kemn lage dekhi