Cyclone Mandous ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে কোথায়? বাংলায় কি প্রভাব?
ফের একটি গভীর নিম্নচাপ Cyclone Mandous পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। আর সেই কারণে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। আগে চেন্নাই থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এই নিম্নচাপটি। ক্রমশ সেটি সরে আসতে শুরু করেছে। IMD-র Bulletin অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় Cyclone Mandous এ পরিণত হতে পারে।
আর তার ফলে তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরিতে মাঝারি এবং ভারী বৃষ্টিপাত হবে। একটানা তিন দিন ধরে এই দুর্যোগ চলতে পারে। সেই কারণে তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির প্রায় সমস্ত স্কুল কলেজ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিনের রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমস্ত পরীক্ষা আপাতত স্তগিত রাখতে। Cyclone Mandous এর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী নির্দেশ দিয়ে তা আবার শুরু হবে।
৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। যদিও এটি উড়িষ্যা উপকুলে আসার সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু গত ৮ ডিসেম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে ক্রমশ সরে যায়। এর ফলে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি এবং দক্ষিণ ভারতের কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রয়েছে। তার সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানানো হচ্ছে আইএমডির বুলেটিনে।
পকেট হবে গড়ের মাঠ, রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) নতুন সিদ্ধান্তে দুর্ভোগ বাড়ছে দেশবাসীর।
তবে ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার (West Bengal Kolkata) আশেপাশে কোনো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরিতে Cyclone Mandous-এর প্রভাবে অতিভারী বৃষ্টিপাত হলেও বাংলায় ভারী বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে রাজ্যের আকাশ জুড়ে মেঘলা আবহাওয়া ও হালকা হাওয়া থাকতে পারে।
মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, বাংলার অধিকাংশ আকাশ মেঘলা থাকবে। উড়িষ্যা সংলগ্ন উপকূলবর্তী কয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাজ্যের অন্যত্র বৃষ্টিপাত না হলেও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
Written by Rajib Ghosh.