কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণ (COVID 19) রাজ্য তথা সারা দেশের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় খথা হলো, এই ধাপে ফেটাল রেট বা মৃত্যুর হার বেশি। যদিও বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন শীত কমে গেলে আবার পরিস্থিতি ঠিক হবে। কিন্তু রিস্ক নিতে চাইছে না রাজ্য। সময় থাকতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নবান্নে ডাকা হলো জরুরী বৈঠক।
যদিও গঙ্গা সাগরের মেলা এবং উৎসব চলার কারনে নতুন বছরের আগে এখনই রাজ্য সরকার নাইট কার্ফু বা করোনার জন্য বিধিনিষেধের কোনো কথা ভাবছে না। ঠিক সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোভিড বিধি মেনেই গঙ্গাসাগর মেলা হবে। ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই প্রশ্ন উঠে যায়, তাহলে কি উৎসব কাটলে, ফের রাজ্যে বিধি-নিষেধ লাগু হতে চলেছে?
করোনা বাড়ছে, ফের কি লকডাউন?
সম্প্রতি চীন, ব্রাজিল, আমেরিকা সহ বেশ কিছু দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষ করে চীনে যেন করোনা ঝড় বইছে। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে ফের সেই পুরনো আতঙ্কের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গাইডলাইন জারি করেছে। ফের নিয়মিত মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার নিয়ম মানতে বলা হয়েছে দেশবাসীকে। পাশাপাশি যেভাবে আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হতো সেই ব্যবহার শুরু করতে বলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজভবন থেকে বেরিয়ে বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট দিল্লিতে পাওয়া গিয়েছে। তবে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসতে আর কতদিন লাগবে? বুস্টার দোজ সবার নিতে হবে। আমরা তো এক সময় ভেবেছিলাম করোনা শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার চীনে ফের করোনা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে ২০২০ সালের ২৬ শে মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যায়। তারপর দুই বছর ধরে দাপট দেখিয়েছে করোনা। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফের একটু একটু করে মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে শুরু করেছিল। ঠিক তার মধ্যেই আবার খবর পাওয়া যাচ্ছে, ২২ এর শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
2 সপ্তাহের জন্য বন্ধ সমস্ত ব্যাংক পরিষেবা। সারা দেশে নির্দেশিকা জারি।
জানা গিয়েছে, চীনে যে ওমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্ট দাপট দেখাচ্ছে, সেই বিএফ ৭-এর হদিশ এদেশের একাধিক মানুষের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। ওড়িশার একজন এবং গুজরাটের দুজনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস। স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে টিম গঠন করা হয়েছে। সেই টিমে কোভিড বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন। কোভিড নিয়ে সতর্ক রয়েছে নবান্ন।
নবান্ন সুত্রে জানা গেছে রাজ্য সরকার বিষয়টি নজরে রাখছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট ও বোর্ড পরীক্ষা রয়েছে। সেগুলো মাথায় রাখতে হবে। সংক্রমণের হার বাড়লে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাইট কার্ফু ও স্কুল কলেজ বন্ধ হতে পারে। তবে কড়া লকডাউনের পথে যাচ্ছে না রাজ্য। ICMR এর রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হয়ে গেছে। এবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটা দাপট দেখায় সেতাই দেখার।
আপনার কি মনে হয়, এখনই সতর্ক হওয়া উচিত? নাকি আরও অপেক্ষা করা উচিত? নিচে কমেন্ট করবেন।
Written by Rajib Ghosh.
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কৃষক ও গ্রামের মানুষদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Ok
Thanks for the updated news
And I think that this is the best time for drastic step to face the COVID 19