নতুন বছরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একাধিক নিয়মের বদল আনতে চলেছে। Birth Certificate থেকে ভোটার কার্ড মোট ৬টি ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা যোগ হচ্ছে। এতে সাধারন মানুষের সুবিধাই হবে, তাই এক নজরে দেখে নিন।
Birth Certificate থেকে Death Certificate এর নতুন নিয়মঃ
১৮ বছর বয়স হলেই লাইন দিয়ে আর ভোটার লিস্টে নাম তুলতে যেতে হবে না। আপনা আপনি নাম উঠে যাবে ভোটার তালিকায়। ঠিক তেমনি কারো মৃত্যু হলে ভোটার তালিকা থেকে নিজে থেকেই সেই নাম বাদ হয়ে যাবে। শুরু হতে চলেছে নতুন নিয়ম।
এবার থেকে স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে ভোটার, আধার, প্যান তৈরি করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করা, সমস্ত কাজেই বাধ্যতামূলক হতে চলেছে জন্মের শংসাপত্র বা Birth Certificate. আগে স্কুলে ভর্তি হতে মায়ের লিখিত জবানের মাধ্যমে জন্মতারিখ মান্যতা পেত। তবে ২০২৩ সালের পর জন্মগ্রহন করলে Birth Certificate ছাড়া স্কুলে ভর্তি নেওয়া যাবে না। Birth Certificate কেন নেই, তার জবাব দিতে হবে।
Registration of Birth and Death, (RBD) ১৯৬৯ সালের আইনে বদল আনতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। নিয়ম অনুযায়ী জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই আইন লঙ্ঘন করা অপরাধ। সেই আইনকে আরো কঠোরভাবে বলবৎ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই কারণেই Registration of Birth and Death আইনকে সংশোধন করে Birth Certificate বাধ্যতামূলক করে নতুনভাবে আনতে চাইছে সরকার।
RBD আইনের সংশোধনী খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে এই বিল পেশ করা হতে পারে। এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে, ৭ ডিসেম্বর সংসদে পেশ হতে পারে জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্রের সংশোধনী বিল। তবে কোন কক্ষে প্রথমে পেশ করা হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এক কেন্দ্রীয় আধিকারিকের কথায়, গত বছর থেকেই জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করার জন্য সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছিল। দেশ জুড়ে বিভিন্ন ব্যক্তির মতামত নেওয়া হয়েছে। সেই মতামত বিশ্লেষণ করেই সংশোধনী বিলের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এবং বলা হয়েছে জন্মের ৩ মাসের মধ্যে Birth Certificate এর জন্য আবেদন করতে হবে। নতুবা এর পরে আবেদন করলে বাচ্চাকে সাথে নীয়ে যেতে হবে।
ডিসেম্বর থেকে মোবাইলের খরচ বাড়লো, আগের প্ল্যান সব বাতিল। নুন্যতম রিচার্জ কত?
অন্যদকে মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরীর ক্ষেত্রে নতুন নিয়মে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে যে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে সেখানে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করতে হবে। সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন, সংশোধন, বিয়োজনের কাজ শুরু হয়েছে। সেই জায়গায় নতুন নাম তোলা এবং মৃত ব্যক্তিদের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কাজ চলছে। সেখানেও জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই বিষয়ে সরকারিভাবে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকার Birth Certificate এবং মৃত্যুর শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করা নিয়ে যে সংশোধনী বিল সংসদে আসতে চলেছে সেই বিল পাস হয়ে গেলে দেশজুড়ে সমস্ত কাজেই জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার বাধ্যতামূলক হবে। ভোটার লিস্টের সঙ্গে এই শংসাপত্র সংযুক্ত করা হবে। যার ফলে কেউ ১৮ বছর হলে তাকে আর আলাদা করে আবেদন করতে হবে না। অটোমেটিক ভোটার কার্ড হয়ে যাবে।
পশ্চিমবঙ্গে ডিএ ঘোষণা হলেও বাদ যাবেন শিক্ষকেরা, নবান্নের অর্ডার আদালতে
অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর নিবন্ধন হয়ে গেলেই Death Certificate ইস্যু হয়ে যাবে। অনলাইন থেকেই সেটা ডাউনলোড করা যাবে। অন্যদিকে ২০২৬ সালের মধ্যে সমস্ত নাগরিকের আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাস্ট সার্টিফিকেটের এর জন্য আর অফিসে গিয়ে লাইন দিতে হবে না। অনলাইনে সমস্ত ব্যাপার হয়ে যাবে। আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন।
Written by Rajib Ghosh.
শিশু কিশোর বয়সে যদি কেউ মারা গেলে তার বেলা কি হবে। জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি হলে ভোটার তালিকায় নাম উঠবে ঠিক ব্যতিক্রম তো আছেই তার জন্য কি করতে হবে বলবেন।
জন্ম সার্টিফিকেট হয়ে গেলে অটোমেটিক তার আঠারো বছরে নাম ভোটার লিস্টে উঠে যাবে, তেমনি যখন সেই বাচ্চা মারা যাবে তার ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যাবে, ডেথ সার্টিফিকেট অনলাইনে যখন একটিভেট হবে তখন তাহার ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ যাবে এটাই নিয়ম হবে আশা করছি।
আমার পুত্রের জন্ম ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে 05/02/2009 পেয়েছে ম্যানুয়াল জন্ম সার্টিফিকেট। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে দরকার হয়েছে অনলাইন certificate। বারবার যোগাযোগ করে online certificate exchange করতে পারছি না। অথচ বিভিন্ন মিউনিসিপ্যালিটি এরিয়ায় জন্ম গ্রহণ করা অন্যান্য ছেলেরা ম্যানুয়াল certificate exchange করে online certificate করে নিয়েছে। একই রাজ্যে বাস করে দুটি নিয়মের ফাঁদ পাতা কোনো? কি করে এই জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারি জানালে খুশি হবো
ধন্যবাদান্তে
সঞ্জয় কুমার দেবনাথ
মোবাইল 9800580385(what’s up)
[email protected]
ধীরে ধীরে সমস্ত যায়গায় চালু হবে।
ABC
জন্ম সার্টিফিকেট হয়ে গেলে অটোমেটিক তার আঠারো বছরে নাম ভোটার লিস্টে উঠে যাবে, তেমনি যখন সেই বাচ্চা মারা যাবে তার ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যাবে, ডেথ সার্টিফিকেট অনলাইনে যখন একটিভেট হবে তখন তাহার ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ যাবে এটাই নিয়ম হবে আশা করছি।
ম্যানুয়েল জন্ম সার্টিফিকেটে অনেকের ভুল রয়েছে। সেগুলো মিউনিসিপ্যালিটি সংশোধন করতে চায়না। হাজার বাহানায় হিটলারি মনোভাবাপন্ন কর্মিরা হবেনা বলে।