হাঁফ ছাড়লেন চাকরিজীবীরা, হচ্ছে না Bank Strike স্বস্তিতে সবাই।
আপাতত প্রত্যাহার হয়ে গেল ৩০ ও ৩১ তারিখের ব্যাংক ধর্মঘট বা Bank Strike Called Off. একটানা ৪ দিন ব্যাংক ও ATM বন্ধ থাকায় যে অর্থনৈতিক সমস্যার সম্ভাবনা ছিলো, আপাততা তা থেকে রেহাই মিলছে।
দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি ও ২ দিন Bank Strike সব মিলিয়ে টানা ৪চার দিনের ব্যাংকিং পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এমনকি তার প্রভাব পড়তে পারতো ATM ব্যবস্থার উপর। যেখানে মানুষ প্রয়োজন পড়লেই টাকা তুলতে যান। তার কারণ, আগামী সপ্তাহের শুরুতে সোম ও মঙ্গলবার ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ব্যাংক কর্মীদের সংগঠনগুলি। তবে ব্যাংক ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও ব্যাংক কর্মীদের ৯টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, সমস্ত দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন চলবে। নিজেদের দাবি থেকে এতোটুকু সরতে রাজি নয় তারা।
Bank Strike ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছিল আশঙ্কা। কারণ জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ ২৮ ও ২৯ তারিখ শনি এবং রবিবার স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক বন্ধ। তারপরে সোমবার এবং মঙ্গলবার ৩০ ও ৩১ তারিখ ধর্মঘটের জেরে ব্যাংকের সমস্ত পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কারণ ব্যাংক কর্মীদের ৯টি সংগঠন এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে টানা ৪ দিন ধরে Bank এবং ATM পরিষেবা ধাক্কা খেতো।
বিশেষ করে মাসের প্রথম দিকে মাইনে, পেনশন সহ বিভিন্ন লেনদেনের উপরে তার প্রভাব পড়তো। লোন, ও বিভিন্ন কিস্তির টাকা আটকে যেত।
তাই ব্যাংক ধর্মঘটের খবর পেয়েই দেশবাসীর চিন্তা বেড়েছিল। যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে পারেন ভাবছিলেন তারা। তবে তাদেরকে স্বস্তি দিয়ে ব্যাংক কর্মীদের সংগঠন ৩০ ও ৩১ শে জানুয়ারির ব্যাংক ধর্মঘট প্রত্যাহার Bank Strike Withdraw করে নিয়েছে।
বাংলার ছেলে মেয়েদের 1500 টাকা করে দিচ্ছে সরকার, নাম লেখাতে ক্লিক করুন।
শুক্রবার মুম্বই এর লেবার কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরেই ব্যাংক কর্মীদের সংগঠন Bank Strike ব্যাংক ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। ফলে শনিবার এবং রবিবার ব্যাংক বন্ধ থাকলেও পরবর্তী সোম, মঙ্গলবার ব্যাংকের সমস্ত কাজই করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
ব্যাংক কর্মচারীদের ৯টি সংগঠনের দাবি, সপ্তাহে ৫ দিন কাজ, পুরনো পেনশন স্কিমসহ বিভিন্ন দাবি রয়েছে। সেই দাবি দাওয়ার ভিত্তিতেই এই ২ দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে লেবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে তারা ব্যাংক ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও পরবর্তীতে এই দাবি নিয়ে আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে। তাদের দাবিদাওয়ার কোনো সমাধান সূত্র বেরিয়েছে কিনা সেই বিষয়টি এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
নতুন ব্যবসা, বিরাট লাভ। ছোট্ট মেশিন কিনে এই ব্যাবসা শুরু করলে কাস্টোমার হামলে পড়বে।
সে যাই হোক, সবচেয়ে বড় স্বস্তি পেলেন দেশবাসী। বিশেষ করে মাইনে, পেনশন সঠিক সময়েই ব্যাংক থেকে তুলতে পারবেন তারা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে যারা নিয়মিত ব্যাংকে যান তাদেরও চিন্তা অনেকটাই দূর হলো।
Written by Rajib Ghosh.