এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের (WB Employees) সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে, কি নির্দেশ নবান্নের?
বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্নীতি ও হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্য। অভিযোগ বিভিন্ন দুর্নীতিতে নেতাদের সাথে সরকারী আধিকারিকদেরও (WB Employees) নাম জড়িয়েছে। তাই এবার সরকারী কর্মীদের সম্পত্তির উপর নজর রাখছে প্রশাসন তথা নবান্ন।
সরকারি অফিসারদের (WB Employees) সঠিক সময়ের মধ্যে সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে হবে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার কিছু দিনের মধ্যেই গরু পাচার কান্ড নিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
জানা যাচ্ছে, কয়লা কাণ্ড নিয়ে তদন্তের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে সিবিআই এবং ই ডি। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্ত করছে CBI এবং ED শাসক দল তৃণমূল এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার হওয়ায় রীতিমতো ব্যাকফুটে সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে দল এবং সরকারের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছেন।
পার্থকে মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় স্তরে সাংগঠনিকভাবে ব্যাপক রদবদল করা হচ্ছে। মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরকারি অফিসারদের (WB Employees Govt Officers) ঠিক সময়ের মধ্যে তাদের সম্পত্তির হিসাব দাখিল করার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হলো নবান্নের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, কয়েকজন আইপিএস অফিসারের দিকে নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের 8 জন IPS অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। 15 ই আগস্ট এর পরে এই IPS অফিসারদের দিল্লিতে ED-র দপ্তরে তলব করা হয়েছে। 21 থেকে 31 শে আগস্ট এর মধ্যে তাদের হাজিরা দিতে হবে বলেই ED সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সমস্ত আইপিএস অফিসাররা হলেন, রাজীব মিশ্র, সুকেশ জৈন, জ্ঞানবন্ত সিং, কোটেশ্বর রাও, তথাগত বসু সহ আরো কয়েকজন।
ED-র নজরে রয়েছেন এই IPS অফিসাররা। ফলে এইরকম একটা পরিস্থিতিতে নবান্নের পক্ষ থেকে সরকারি অফিসারদের সম্পত্তির হিসাব দাখিল করার নির্দেশিকা জারি করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। আর শুধু তাই নয়, কোনও দপ্তরের অফিসার দোষী প্রমানিত হলে, উক্ত দপ্তরের নিচুতলার কর্মীদের দিকেও (WB Employees) নজর দেওয়া হবে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক সরকারি অফিসারদের (WB Employees) সঠিক সময়ে নিজেদের সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে হয়। কিন্তু সেই নিয়ম থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় বহু সরকারি অফিসার (WB Employees) সঠিক সময়ে তাদের হিসাব দাখিল করেন না। কিম্বা বাস্তবের চেয়ে অনেক কম দেখিয়ে নথি দাখিল করেন।
আরও পড়ুন, ভারতে লঞ্চ হচ্ছে Jio 5G, কত রিচার্জ করতে হবে, কারা পাবেন ফ্রিতে?
ফলে সেখান থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। যার দায় গিয়ে পরে সরকারের উপর। পাশাপাশি যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে, সরকার চালায়, সেই দলের উপরেও সমানভাবে তার প্রভাব পড়তে থাকে। CBI এবং ED-র তৎপরতা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার বহু অভিযোগ রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে।
তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রের অঙ্গুলীহেলনে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলোর উপরেই তারা বেশি সক্রিয়। রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্র তাদের ব্যবহার করে। তবে রাজ্য সরকার কড়া হাতে সরকারি পর্যায়ে রাশ ধরতে চাইছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এই বিষয়ে আপনার মতামত নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
Written By Rajib Ghosh.
This scrutiny should be by central government as well as State governments. This is welcome by democracy.
সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির হিসাবের আগে সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে পার্টির সঙ্গে যুক্ত সকলের হিসাব নিলে পুরো পার্টি টাই জেলের ভিতরে থাকবে।