বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) না বাড়ানোয় কর্মবিরতির ডাক, ২ সপ্তাহের আন্দোলনে ৩% ঘোষণা। দাবী পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন জারি। আর তার মাঝেই পাশে দাঁড়ালো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা।
বকেয়া ডিএ নিয়ে কি বক্তব্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের?
বকেয়া ডিএ ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্যঃ
বকেয়া ডিএ এখনও পাননি রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তার মাঝেই পেশ করা হল বাজেট। বহু আন্দোলন, কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি। শেষ পর্যন্ত আরো গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের দিন ৩% বাড়ানো হল DA. কিন্তু কর্মীদের মুখে কটাক্ষের সুরে এটিকে ভিক্ষার দান বলে শোনা গিয়েছে, বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। এরপর আবারও কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় কর্মীদের তরফে। আর এই কাজে এবার সঙ্গ দেবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরাও।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে আদালতের তরফে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় ৩ মাস সময়ও। যদিও গত ১৯ আগস্ট অর্থাৎ ৩ মাসের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরোলেও মেটানো হয়নি বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা। এরপরই রাজ্যের তরফে হলফনামা পেশ করে জানানো হয়েছিল, বকেয়া মেটাতে হলে রাজ্যের আর্থিক তহবিলে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং সুপ্রিমকোর্টে লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। আগামী ১৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
চলতি বছরের পেশ করা বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA ৩% বাড়ানোর পর মোট ৬% হারে ডিএ পাচ্ছেন কর্মীরা। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৮% হারে ডিএ পাচ্ছেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, নতুন বছরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ আরো ৪% বেড়ে ৪২% হতে পারে।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের কি দাবি?
কর্মীদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে তাদের ডিএ দিতে হবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারি কর্মী ইউনিয়নের ২৮ টি সংগঠনের আন্দোলনকারীরা শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা অভিযানের ডাক দেয়। এবার সেই বিধানসভা অভিযানের মিছিলে রাজ্যে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরাও সামিল হবেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে দাবি ন্যায্য এবং যুক্তিযুক্ত। সপ্তাহের সবথেকেও কর্মব্যস্ত দিন, আগামী সোম ও মঙ্গলবার গোটা রাজ্য জুড়ে কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের আমরণ অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই সরকারি কর্মী। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কর্মীদের দাবি, ন্যায্য দাবি না মেটালে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করবেন না। এনিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে তারা চিঠি দিয়েছেন। তাছাড়া রাজ্য সরকারি কর্মী ইউনিয়নের নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিককেও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, মোবাইল থেকে মাত্র 5 মিনিটে বানিয়ে ফেলুন নতুন প্যান কার্ড, আর 2 মিনিটে ভুল সংশোধন।
এই হুঁশিয়ারি সরকারকে একপ্রকার চাপের মুখে ঠেলে দিলো, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে। এদিকে রাজ্য সরকারী কর্মীরা ২০ ও ২১ শে ফেব্রুয়ারী গন ছুটির ডাক দিয়েছে। আর আজ পশ্চিমবঙ্গ অর্থ দপ্তরের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ঐ দুদিন কোনও কর্মী ছুটি নিতে পারবেন না। এমন কি ঐ দুদিন কোনও কর্মী ক্যাজুয়াল লিভ ছুটি নিতে পারবেন না। যে সমস্ত কর্মীরা ১৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন তাদের কেও ২০ তারিখ অফিসে উপস্থিত হতে হবে। আর এর পর কর্মীদের কর্মসূচীর কি সিদ্ধান্ত হয়, এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই সংক্রান্ত নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
ঋতু কালীন ছুটি নিয়ে, এই প্রথম সবেতন ছুটির আইন পাস, বড় পদক্ষেপ নিলো সরকার!