মদ মিলবে রেশনে! সরকারের কাছে নয়া আবদার রেশন ডিলারদের।
এই মুহুর্তের বড় খবর, রেশন দোকানে মিলবে বিদেশী মদ!
বিপিন বাবুর কারণ সুধা, মেটায় জ্বালা মেটায় ক্ষুধা— বহু পুরনো বাংলা সিনেমার গানের লাইনটি মনে পড়ে গেল। কারণ দেশের রেশন ডিলাররা মদ বিক্রি করেই মানুষের ক্ষুধা মেটাতে চাইছেন বলেই মনে হচ্ছে। তাদের নয়া দাবিকে কেন্দ্র করে বিষয়টি সামনে এইভাবে উঠে আসছে। রেশন দোকানের মাধ্যমে (Ration Shop) সরকার দেশের সাধারণ মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ন্যূনতম মূল্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে।
গণবন্টন ব্যবস্থার (Public Distribution System) মূল লক্ষ্য গরিব মানুষকে সহায়তা করা। চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল সহ খাদ্য সামগ্রী এই গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, যেমন লকডাউনের সময় এই রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য পৌঁছে দিয়েছিল। বহু মানুষ উপকৃত হয়েছিলেন। এবার এই ব্যবস্থায় নতুন দাবি করেছেন রেশন ডিলারদের সংগঠন।
কি সেই দাবি?
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্সদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, দেশের রেশন দোকানগুলিকে বাঁচানোর জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত মদ বিক্রি (Alcohol Sale) করার অনুমতি দিতে হবে। অর্থাৎ এবার থেকে রেশন দোকানে চাল, ডালের পাশাপাশি মদ পাওয়া যাবে। যদি কিনা সরকার সেই সিদ্ধান্তে অনুমতি প্রদান করে।
এই চিঠির প্রতিলিপি রেশন ডিলারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব, কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব, কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী, সব রাজ্যের খাদ্য কমিশনার এবং সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
দেশে 5 লক্ষ 37 হাজার 868 টি রেশন দোকানে রয়েছে। এই দোকানগুলির উপরে প্রায় 2.5 কোটি মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। তাই রেশন দোকানগুলিকে বাঁচিয়ে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি বলে জানায় রেশন ডিলারদের সংগঠন। তাদের দাবি, রেশন দোকানগুলির উপর প্রায় 5 কোটি মানুষ নির্ভর করছে। রেশন দোকানগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই মুহূর্তে লাইসেন্স প্রাপ্ত মদ বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে।
শুধু তাই নয়, পাশাপাশি ওই রেশন দোকানগুলো থেকে যাতে 5 কেজির LPG সিলিন্ডার বিক্রি করা যায় সেই বিষয়টিও ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেছে তারা।
রেশন ডিলারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি রেশন দোকানে অন্ততপক্ষে 2 থেকে 4জন করে কর্মচারী রয়েছেন। তাদের পরিবারে আরও 3 থেকে 4জন করে সদস্য রয়েছেন। ফলে সবমিলিয়ে প্রায় 5 কোটি মানুষের জীবিকা জড়িত রয়েছে এই রেশন দোকানগুলির সঙ্গে।
অবশেষে ইলেকট্রিক বিল কমাতে বিরাট সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, পুজোর আগে বিরাট সুখবর।
তাই এই রেশন দোকানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। রেশন দোকানের মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের স্বার্থে এই দাবি জানানো হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারদের সংগঠনের এক কর্তা বলেন, রেশন দোকানে মদ বিক্রি (Alcohol Sale from Ration Shop) করতে পারলে শুধু দোকানগুলো বাঁচবে তাই নয়, তার সঙ্গে কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারেরই রাজস্ব বৃদ্ধি হবে।
এবার দেখার বিষয়, রেশন ডিলারদের সংগঠনের দাবি জানার পরে সরকার কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর সামনেই সারা দেশে উৎসবের মরশুম। তাই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলে সারা দেশের রেশন দোকানের হাল ফিরবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Written by Rajib Ghosh.
পশ্চিমবঙ্গের এই সরকারি প্রকল্পে আবেদন করলেই পাবেন, 1 লক্ষ টাকা, রাজ্যবাসীকে পুজোর সেরা উপহার।
Now decision will taken by the Central Government of India.