পশ্চিমবঙ্গে পেনশন বন্ধ? মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর কি জানা গেল?

হঠাৎ কেন পেনশন বন্ধের কথা তুললেন তিনি?

রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখনও পাননি বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance). যার দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন জারি রয়েছে কর্মীদের। এর মাঝেই রাজ্য সোমবার বিধানসভা থেকে পেনশন বন্ধ নিয়ে কি বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)?
যে কোন কর্মীর কাছে পেনশন হল অবসরকালীন সঙ্গী। যে কোনো প্রয়োজনে এই সঞ্চিত টাকাই কাজে আসে। একে তো বকেয়া ডিএ নিয়ে মামলা সুপ্রিমকোর্টে গড়িয়েছে। এবার হঠাৎ করে পেনশন কি বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের? কি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?

Advertisement

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা থেকে পদযাত্রার দরুন শহিদ মিনারে সরকারি কর্মচারীদের কড়া আন্দোলন মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তার কিছু সময় পর নওসাদ সিদ্দিকি বকেয়া DA-এর দাবিতে যৌথমঞ্চের অবস্থানে গিয়ে গলা মেলান। এরপরই বিধানসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় পেনশন বন্ধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

ঠিক কি বলেন তিনি?
সোমবার দুপুরে বিধানসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় বকেয়া ডিএ নিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যেই কার্যত পাল্টা প্রশ্ন করেন,
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের কোনও রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দেওয়া হয় না। এই রাজ্য দেয়। তাহলে কি পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হবে? বিরোধীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে বাজেট পেশ কড়া হয়েছিল। এদিন সরকারি কর্মীদের ডিএ আরো ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পাল্টা সরকারি কর্মচারীদের দাবি ছিল, ৩ শতাংশ ডিএ আসলে ভিক্ষাবৃত্তি। তাদের বকেয়া ডিএ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এর দাবিও জানান।

Advertisement

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পেনশন না দিলে রাজ্য সরকারের হাতে অনেক অনেক টাকা থাকবে। তাহলে ডিএ দেওয়া যাবে। ডিএ দিতেই হবে, এ নিয়ে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।রাজ্য যতটা সম্ভব দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের স্কেল একই নয়। তাই এটাকে একই ভাবলে চলবে না।

Advertisement

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর যৌথ মঞ্চের অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের জানান, ডিএ এর সাথে পেনশনের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যের সাড়ে ৩ লাখ পেনশনার দের পেনশন কেন্দ্র সরকার এজি এর মারফত দেয়। এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়া ৫% ডিএ কিভাবে ঘোষণা হলো সেই ব্যাখ্যা ও পাওয়া গেল না।
এদিকে গতকালের একাধিক বিবৃতির পর নওসাদ সিদ্দিকী জানান, সরকারী কর্মী শিক্ষকদের হাতে সুরি থাকে না কলম থাকে, মুন্ডু কাটা তাদের কাজ নয়। আপনি না দিতে পারলে ছেড়ে দিন, অন্য কেউ দেবে, তারা না মারলে মানুষ আবার অন্য কাউকে দায়িত্ব দেবে।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কাটিতে সহজেই ভালো রেজাল্ট করার উপায়।

আগামী ১০ মার্চ যৌথমঞ্চের ৩৫টি সংগঠনের অধীন রাজ্য সরকারি কর্মীরা ধর্মঘট ডাক দিয়েছেন। এর আগেও ডিএ এর দাবিতে অংশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কিছু কর্মী। তাও ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় কর্মীরা। তার ঠিক ৫ দিন বাদেই আরো বড়োসড় খবর পেতে চলেছেন কর্মীরা। গত ২০ মে রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টের তরফে ৩ মাসের সময় (১৯ আগস্ট) দেওয়া হয়েছিল, যাতে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি। বরং শীর্ষ আদালতে আপিল করা হয়েছিল। আগামী ১৫ মার্চ সুপ্রিমকোর্টে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Manika Basak.

এবার রেশন দোকান হবে ব্যাংকের মতো, টাকা তোলা, জমা, অনলাইন ব্যাংকিং সব করা যাবে।

Leave a Comment