ডিএ র দাবিতে গলায় সুর চড়ছে সরকারি কর্মীদের, আর তাই নিয়ে কি জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী?
বকেয়া ডিএ তথা Dearness Allowance এর দাবীতে জোরদার আন্দোলন সংগ্রাম চালাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। কলকাতার শহীদ মিনার চত্বরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর এর মধ্যেই তাদের ৩ আন্দোলনকারী আমরণ অনশন (Hunger Strike) শুরু করেছেন। সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে আরো সরকারি কর্মীরা তাদের সঙ্গে অনশনে যোগ দেবেন।
ফলে আন্দোলনের তীব্রতা আরো বাড়াতে চাইছে সংগ্রামী মঞ্চ। যেন বকেয়া DA মেটানো ছাড়া অন্য কোনো কথাই তারা এই মুহূর্তে শুনতে চাইছেন না। এই অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেখানে তারা যাতে লাগাতার অবস্থান-বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচি চালাতে পারেন, তার জন্য আদালতের কাছে দাবী জানান। কারণ রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরনের লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলার ক্ষেত্রে জায়গা নিয়ে দ্বিমত ছিল। কিন্তু আদালত এক কথায় ওই সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনকে বকেয়া ডিএ এর দাবিতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।
শিক্ষকদের আর বাড়ির কাছে বদলী নয়, শিক্ষক বদলির নতুন নিয়ম রাজ্যে, কারা অগ্রাধিকার পাবেন?
আর তারপর থেকেই সরকারি কর্মচারীরা কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে একেবারে আন্দোলন জারি করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, তাদের দাবি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন।
শুধু যে পশ্চিমবঙ্গে তারা লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাই নয়, ত্রিপুরায় সামনেই বিধানসভা নির্বাচন Assembly Election তৃণমূল নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছেন।
এবার ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদেরকেও পশ্চিমবঙ্গের এই আন্দোলনকারীরা চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠি প্রসঙ্গে তারা জানান, যে ভুল পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা করেছিলেন, সেটা যেন তারা না করেন। তাই আবেদন করা হয়েছে, বিগত ১২ বছর ধরে আমরা ভুগছি। তাদের কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরা কলকাতায় বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানিয়ে চিঠি পাঠাবেন বলে দাবি করেছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা। ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরা তাদের আন্দোলনস্থলেও আসতে পারেন বলে দাবি করেছেন সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।
আর এই পরিস্থিতি নিয়েই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আদালতে যাব, আবার অনশন করব, সেটা আবার হয় নাকি? আদালতে মামলা চলছে। তার মানে আন্দোলনকারীদের আর আদালতের উপরে কোনো ভরসা নেই। যাদের আদালতের উপরে কোনো ভরসা নেই, তাদের আর ভারতে থাকারও অধিকার নেই।“
এর আগেও ফিরহাদ জানিয়েছিলেন, যারা আন্দোলনে নেমেছেন, তারা আদতে সিপিএমের কর্মী, সমর্থক। ওখানে সরকারি কর্মী বলতে কেউ নেই। সরকারের কোনো সমস্যা নেই। ঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
শহীদ মিনার চত্বরে অনশনরত এক সরকারি কর্মচারী সংবাদমাধ্যমে বলেন, দুই ন্যায্য মৌলিক অধিকারীর দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। সরকার সেটা মেনে নেয় নি। সরকার আমাদের দাবি শোনেনি বিগত ১৫ দিন ধরে। তাই আমরা বাধ্য হয়েছি। সরকার আমাদের এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে। সরকার যদি দাবি মেনে না নেয়, তার জন্য যতদূর যেতে হয় আমরা যাব।
প্রসঙ্গত, একদিকে সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে মামলা চলছে, তার শুনানি হওয়ার কথা আগামী ১৫ই মার্চ।
মার্চের মধ্যে PAN Aadhaar Link না করলে বাতিল হবে প্যান কার্ড, ঘরে বসে চেক করুন লিংক আছে কিনা।
কিন্তু তার আগেই দেখা গেল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষ থেকে কলকাতার শহীদ মিনার চত্বরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করা হয়েছে। তার আগে তারা কলকাতার রাস্তায় মিছিল করেছেন। পরপর লাইন দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি, পেন ডাউন সহ একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে।
এবার দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগেই রাস্তায় নেমে তাদের দাবি মেটানোর জন্য আন্দোলন তৈরি করে সরকারকে চাপে ফেলে বকেয়া ডিএ আদায়ে কতখানি সফল হতে পারেন, সেদিকেই নজর সবার।
সংবাদসুত্র, হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা।
Written by Rajib Ghosh.
এই রাজ্যের Constitutional Head Desher Constitution মেনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়েছেন।তিনি হাইকোর্টের নির্দেশকে উপেক্ষা করে ঐ নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে গেছেন।তিনি নিজেই Constitution মানেন না তো তাঁর সরকারের কর্মীরা যদি Constitution না মানে খুব অন্যায় হবে কি বাবু ফিরহাদ?আপনি নিজেই দেশের Constitution কে কতটা সম্মান করেন ???
As the ruling party in West Bengal is ignoring the verdict of the honourable court, they have no right to stay in the country themselves; let alone others.
Bina karon e bonchona korle ki hobe ? Mukhe gu mekhe gohre bose thak.
Uni ki amader Pakistan pathiye deben naki?
Jara sarkari kormocharider kaj koriye o prapyo dichche na sei satkar er neta montrider deshe thakar kono adhikar nai