Advertisement
পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারী টেট মামলা (Primary Teacher Recruitment)
Advertisement

2014 ও 2017 সালে প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের প্যানেল ধরে টেট মামলা চলছিলো, যেখানে পুরো প্যানেল ধরে বাতিল করার দাবি উঠেছিলো, আর তারপর সব শিক্ষকদের ডকুমেন্টস ফের জমা করতে হয়েছিলো। সেই পুরো প্যানেল ধরে কার্যত স্বস্তির নিশ্বাস।

Advertisement

টেট মামলায় আদালতের রক্ষাকবচ

টেট মামলায় বাতিল হওয়া শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যে ২৬৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল সেই সমস্ত শিক্ষকরা চাইলেই বিদ্যালয়ে যোগ দিতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিকে বেআইনিভাবে এই সমস্ত শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছেন, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন।

Advertisement

সেই নির্দেশ অনুযায়ী টেট মামলায় রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ওই সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই বাতিল হওয়া শিক্ষকরা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। দেশের শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। তারপরেই শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের যে নোটিশ জারি করা হয়েছিল সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

টেট মামলার ২৬৯ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন শিক্ষক আগেই চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছিলেন। বাকি ২৬৮ জন শিক্ষক চাইলেই কাজে যোগ দিতে পারেন বলে জানিয়েছে পর্ষদ। এই বিজ্ঞপ্তিতে ২২ টি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে ২৬৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট, সেই সমস্ত শিক্ষকরা চাইলেই বিদ্যালয়ে ফের চাকরিতে যোগ দিতে পারেন।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে টেট মামলা চলছে। উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে একের পর এক নির্দেশ আসছে। এখানকার বেশ কিছু নির্দেশ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা যখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন, সেখানে হাইকোর্টের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি হচ্ছে। দেশের বিচার ব্যবস্থার নিয়মানুযায়ী নিম্ন আদালত বা হাইকোর্টের কোনো নির্দেশ সঠিক বলে মনে না হলে যে কেউ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।

EK24 News

এককালীন টাকা রেখে সারাজীবন প্রতিমাসে 20000 টাকা পেনশন পান

দেখা যাচ্ছে, সেখানে টেট মামলায় আবার হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি হচ্ছে। ফলে যে কোনো মামলাই দীর্ঘায়িত হবে। এটাই স্বাভাবিক। দেশের সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি নাগরিক বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে সঠিক বিচার আশা করেন এবং সেটাই পাবেন।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ বিল অর্ধেক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কোথায় বিল জমা দিলে কম টাকা লাগবে।

এক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যেভাবে ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে ফের সেই ২৬৮ জন বাতিল হওয়া শিক্ষককে চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। টেট মামলার নিষ্পত্তি হবে দেশের শীর্ষ আদালতে। আর এরপরই কার্যত হাফ ছেড়ে বাঁচল পুরো প্যানেল। কারন ঝড় কেটে গেছে।
Written by Rajib Ghosh.

Advertisement
Advertisement
One thought on “অবশেষে টেট মামলায় হাফ ছেড়ে বাঁচলেন, 40000 প্রাথমিক শিক্ষক, 2014, 2017 এর প্যানেল নিয়ে কি নির্দেশ দিলো আদালত?”
  1. বাংলার মানুষ এই সরকারের থাকলে কুনোদিন বিচার পাবে না। কারন বেআইনি কাজের আইনি স্বীকৃতি আদায়ির জন্য উকিলের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement